শিশুদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে নাটক

‘বইপোকার পাঠাগার’ নাটকের মহড়ার দৃশ্য
সংগৃহীত

একটা সময় ছিল, গ্রাম কিংবা মহল্লার অঙ্গ ছিল একটি পাঠাগার। বই পড়ার অভ্যাসটা গড়ে উঠত সেখানে। প্রযুক্তির উন্নতিতে পাঠাগারে বই পড়ায় ভাটা পড়ে। তরুণেরা মেতে উঠেছেন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে। বই পড়ার দিকে তরুণদের উৎসাহিত করতে দনিয়া সবুজ-কুঁড়ি কচি-কাঁচার মেলা নিয়ে এল মঞ্চনাটক। ‘বইপোকার পাঠাগার’ নামে নাটকটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে ১২ মার্চ বিকেল পাঁচটায় রাজধানী দনিয়ার দনিয়া স্টুডিও থিয়েটারে।

‘বইপোকার পাঠাগার’ নাটকের গল্প গড়ে উঠেছে একটি পাঠাগারকে কেন্দ্র করে। বইয়ের পোকা গিট্টু আর জিনিয়াস বই কাটার ফাঁকে ফাঁকে বই পড়ে। আর তাঁরা বই পড়ার মধ্য দিয়ে নানা জায়গা থেকে ঘুরে আসে। তাঁরা চলে যায় হোয়াইট হাউসে। কোথাও দেখা পায় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার। এভাবেই গিট্টু ও জিনিয়াসের মাধ্যমে নাটকটিতে তরুণ ও কিশোরদের পাঠাগারের প্রতি আগ্রহী করার গল্প বলা হয়েছে।

নাটকটি লিখেছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আবু আজাদ।
নির্দেশক বলেন, ‘আমরা দনিয়া পাঠাগারের মধ্য দিয়ে বই পড়া এবং পাঠাগার স্থাপন আন্দোলনে যুক্ত। ফলে “বইপোকার পাঠাগার” নাটক নির্মাণ আমাদের ভাব ও আদর্শ সম্প্রসারণের সহায়ক। মহড়া চলাকালে শিশু-কিশোরদের অভিভাবকের বিপুল উপস্থিতি এবং আনন্দ–উল্লাস আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এই নাটক যদি অধিক বই পড়া এবং পাঠাগার স্থাপন আন্দোলনকে বেগবান করে, তবে সেটা হবে নির্দেশক হিসেবে আমার পরম পাওনা।’

‘বইপোকার পাঠাগার’ নাটকের মহড়ার দৃশ্য
সংগৃহীত
‘বইপোকার পাঠাগার’ নাটকের মহড়ার দৃশ্য
সংগৃহীত

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ইকবাল হাফিজ, তানিশা, ইসরাত, নদিয়া, ইনিশা, নাদিয়া, ইশাল, হামিম, অপু, অন্যা, সোহা, অন্তি প্রমুখ। নাটকের নেপথ্য শিল্পীরা হলেন মঞ্চ ও আলো পরিকল্পনায় আবু আজাদ, আবহসংগীত পরিকল্পনায় এস এম অঙ্গন, পোশাক পরিকল্পনায় জান্নাতুল ফেরদাউস, মুখোশ পরিকল্পনা ও তৈরি করেছেন শাকিল আহম্মেদ, কোরিওগ্রাফিতে ফারজানা নাসরিন, পোস্টার ডিজাইন আইনুল হক, রূপসজ্জায় কামাল হোসেন ও পপি জামান। নাটকটির প্রযোজনা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মো. শাহনেওয়াজ ও এইচ আর অনীক।

উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আতাউর রহমান, শারদীয় নাট্যোৎসবের আয়োজক ও রাজনীতিবিদ লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস ও নাট্যজন মীর জাহিদ হাসান।