সারা দেশে ‘গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার’
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারদের জুলুম আর নৃশংস হত্যার স্মৃতি রয়েছে দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে। সেসব স্মরণ করিয়ে দিতে প্রতিটি জেলায় আয়োজন করেছে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে মো. মেহেদী তানজিরের রচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি নাট্যদল পরিবেশন করে বোধন। নির্দেশক বলেন, ‘আমাদের নাটকে প্রত্যক্ষদর্শী, জুলুমের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়ান ও অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করা হয়েছে মেহেরপুর সরকারি কলেজের আবহে। বোধন ইতিহাসের বয়ানকে অতিক্রম করে অনুধাবনের পর্যায়ে পৌঁছাতে চায়।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রতিটি জেলায় হবে গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার। দেশব্যাপী এই নাট্যযজ্ঞের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তাঁর ভাবনা ও পরিকল্পনায় দেশের নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতাদের অংশগ্রহণে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই আয়োজন।
লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা এক সৌভাগ্য। মুজিব বর্ষের পরপরই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে যাচ্ছি গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার নিয়ে। শিল্পের সব শাখাই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাজ করেছে, স্বাধীনতার ৫০ বছর যে গণহত্যারও ৫০ বছর, তা এই পরিবেশ থিয়েটারের মাধ্যমে দেশব্যাপী তুলে ধরতে চাই। শিল্প-সাহিত্য ইতিহাসকে সজীব রাখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। সারা দেশে এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা গণহত্যা-বধ্যভূমি তথা মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে শৈল্পিকভাবে পৌঁছাতে চাই।’