'পৃথিবী একদিন বইয়ের হবে'

অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আয়োজনে পাঠকের মুখোমুখি হলেন সময়ের তিন জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন, আবদুল্লাহ আল ইমরান ও কিঙ্কর আহ্‌সান। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নিজেদের লেখক হয়ে ওঠার গল্পের পাশাপাশি পাঠকের নানা প্রশ্নেরও জবাব দেন তিন লেখক। 


ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবিরের সঞ্চালনায় বৈঠকি ঢঙের এই আড্ডার প্রথমেই নিজের গল্প শোনান কিঙ্কর আহ্সান। বলেন, ‘মধ্যবিত্ত জীবনের নানা অভিজ্ঞতাই আমার লেখক হওয়ার প্রেরণা। জঙ্গিবাদসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে তরুণদের দূরে রাখতে সর্বস্তরে বই ও সৃজনশীল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা দরকার। তাহলেই পৃথিবী একদিন বইয়ের হবে।’

লেখক সাদত হোসাইন বলেন, ‘সম্পর্কের সংকট ও সংযোগ নিয়ে দীর্ঘ পরিসরে আমার যে ভাবনা, তা উঠে এসেছে আমার সাম্প্রতিক উপন্যাসে। বর্তমান সময়ের তরুণেরা ইউটিউবার, অভিনেতা, এমনকি গানের শিল্পীদের চিনলেও লেখকদের সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। কেননা, সমাজে পাঠাভ্যাসহীন একটা বিপুল শ্রেণি গড়ে উঠছে।’

আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, ‘এক জীবনের বাইরেও যে আরও অসংখ্য জীবন আছে, তা জানতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। নদীপারের পাটকল শ্রমিক এলাকায় বেড়ে ওঠা প্রান্তিক মানুষের জীবন ও গল্প আমাকে টানে। সেসব গল্পই তুলে আনি উপন্যাসে। সর্বশেষ উপন্যাস ‘চন্দ্রলেখায়’ও দুই নারীর সংগ্রাম এবং তাঁদের ঘিরে আরও কিছু জটিল মানুষের গল্প বলেছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম চক্রবর্তী এবং সংগঠনের তিন তরুণ লেখক অসিত দেবনাথ, তৈমুর রহমান মৃধা ও তানি তামান্না শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। শেষে অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ডাকসুর সদস্য রাকিবুল হাসান, মাহমুদুল হাসান ও রাইসা নাসের।