কনটেন্টের জোর না থাকলে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেবেন

কুয়াকাটায় নতুন একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু করেছেন ইরেশ যাকের। আগামী মাসে শুটিং শুরু করবেন গিয়াস উদ্দিন সেলিমের গুণীন চলচ্চিত্রের। এসব নিয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে

প্রশ্ন :

আপনি কি এখনো কুয়াকাটায়?

শুরুর তিন দিন শুটিং করেছি। এরপর তিন দিনের বিরতি পেয়ে ঢাকায় এসেছি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। সোমবার আবার যাব।

ইরেশ যাকের
ছবি : প্রথম আলো

প্রশ্ন :

নতুন ওয়েব সিরিজের শুটিং কেমন হচ্ছে?

অনেক অ্যারেঞ্জমেন্ট। যে তিন দিন শুটিং করলাম, মনে হচ্ছে খুব যত্ন নিয়ে কাজটা করা হচ্ছে।

প্রশ্ন :

এই সিরিজে আপনার অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেন?

না না। চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে অনেকে বিপদে পড়েছেন। চুক্তিতে অনেক বিধিনিষেধ আছে, তাই চুক্তি ভঙ্গ করে কিছুই বলা ঠিক হবে না।
কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে নাটক, চলচ্চিত্র, এমনকি ওয়েব সিরিজের শুটিংয়ে

প্রশ্ন :

কড়াকড়ি আরোপ থাকে। কিছুই আগাম জানাতে চায় না। এতে সুবিধা কী?

এর আগে দুটি সিরিজে এই প্রক্রিয়ায় কাজ করেছি। একটা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছি। এই যেমন ওয়েব সিরিজ বলির জন্য প্রস্তুত হতে দুই থেকে তিন মাস লেগে যায়। শুটিং শুরুর এক মাস লুক সেট হয়। এটা অবশ্যই হেল্প করে, কাজের মনঃসংযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে কাজে দেয়। তবে অভিনয়শিল্পীর পারফরম্যান্স কতটা ভালো হচ্ছে, সেটার বিচার করবেন দর্শক।

ইরেশ যাকের
ছবি:সংগৃহীত

প্রশ্ন :

মনঃসংযোগ স্থাপন নাহয় হলো, দর্শকের আগ্রহ বাড়াতে এমন পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয় কি?

অনেস্টলি একটা কথা বলি, আমাদের দুনিয়ায় এখন এত এত কনটেন্ট। এসব লুক নিয়ে প্রথম কয়েক দিন মানুষ আলোচনা করবে। কদিন পর সবাই ভুলে যাবে। দিন শেষে ফিনিশড কনটেন্ট ভালো হওয়াটা জরুরি। যতই পিআর আর পত্রিকায় আর্টিক্যাল ছাপানো হোক—কনটেন্টের জোর না থাকলে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তবে এটা একটা এনগেজমেন্ট। ওয়েব বা চলচ্চিত্রে অভিনয়শিল্পীদের কি দুর্দান্ত লুক, চমৎকার পোস্টার—কিন্তু এপিসোড দেখতে গিয়ে মনে হলো ভুয়া, তাহলে তো লাভ নেই। এখন যে মানুষটা ডিজিটাল মাধ্যমে কনটেন্ট দেখছেন, তাঁর কাছে চরকি, হইচই, জি ফাইভ, নেটফ্লিক্স ও আমাজন প্রাইম তো আছেই। এর বাইরে আছে ইউটিউবের লাখ লাখ কনটেন্ট। এসব খুব বেশি ডিফারেন্স তৈরি করে বলে মনে হয় না। তবে প্রমোশন ডাজ মেক আ ডিফারেন্স, তখন একটা কিউরিসিটি রেজ করে।

প্রশ্ন :

এই সময়ে এসে কী মনে হয়, নাটকের কাজের জায়গায় গুণগত পরিবর্তন হচ্ছে কি?

আমার মনে হয় হবে। ওটিটির একরকম দর্শক, টেলিভিশন ও ইউটিউবের আরেক রকম দর্শক। আমার কাছে মনে হয়, নাটকের জায়গা নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হবে। ওটিটি মানুষ টাকা দিয়ে দেখে, টেলিভিশনে ও ইউটিউবে তো বিনা পয়সায়। যে মানুষটা ৫০০ টাকা খরচ করে একটা জিনিস দেখে, তার কোয়ালিটি এক্সপেক্টেশন খুবই ভিন্ন। ওটিটির কারণে নাটকের গুণগত মান বদলাবে কি না, জানি না। তবে নাটকের মানুষকে ভাবতে হবে, আমরা যদি গুণগত মানে পরিবর্তন না আনতে পারি, দর্শক হারাব। এটাও ঠিক, এখনকার অনেক নাটক কিন্তু খুব সাকসেসফুল।

ইরেশ যাকের
প্রথম আলো

প্রশ্ন :

‘গুণীন’ চলচ্চিত্রের কাজের প্রস্তুতি কেমন?

আগামী মাসে শুটিং শুরু করব। এই চলচ্চিত্রের জন্য ভিন্নভাবে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।