কোনো শিল্পীই তাঁর প্রাপ্য ঠিকমতো বুঝে পান না

‘ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী’, ‘মাঝরাতে চাঁদ যদি আলো না বিলায়’, ‘নিঝুম রাতের আঁধারে’, ‘কাল সারা রাত’, ‘তোমায় খুঁজেছি’—‘ফিতা’ ক্যাসেটের যুগে প্রকাশিত হওয়া অবসকিওর ব্যান্ডের সাঈদ হাসান টিপুর গাওয়া এসব গান আজও গানপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে। এসব গান ইউটিউবেও আছে। ইউটিউবে প্রকাশিত এসব গানের মন্তব্যের ঘরে কেউ লিখেছেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম আসবে, কিন্তু এই গান রয়ে যাবে অম্লান। আবার কেউ লিখেছেন, এই গানের কোনো দিনও বয়স হবে না বরং দিন দিন নতুন হবে। এসব গান সৃষ্টির পেছনে যে মানুষটির নাম জড়িয়ে আছে, সেই টিপু গতকাল রোববার জীবনের আরেকটি বছর পূর্ণ করলেন। জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংগীতাঙ্গনের নানান বিষয় তুলে ধরলেন।

প্রশ্ন :

শুভ জন্মদিন

ধন্যবাদ।

সাঈদ হাসান টিপু
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

জন্মদিনে ফেসবুকে সবাই আপনাকে নিয়ে নানান কথা লিখছেন, কেমন লাগছে?

বয়স হয়েছে, তারপরও অসম্ভব ভালো লাগার একটা দিন। ফেসবুকে সবার লেখার উত্তর দিচ্ছি। কোনো কোনো জায়গায় খুবই ক্লান্তিকর কিন্তু অসম্ভব ভালো লাগার ব্যাপার, কারণ অনেক মানুষের ভালোবাসা। আমি সব সময় একটা কথা বলি, বাংলাদেশের মানুষ আমাকে আর কিছু না দিক, আমাকে তাঁরা ভীষণ ভালোবাসেন। এর কোনো প্রতিদান দেওয়ার উপায় তো নেই। তাই ভালো গান করে চেষ্টা করি এসবের প্রতিদান দিতে।

প্রশ্ন :

আপনার গানবাজনা কেমন চলছে?

নতুন করে তো গানবাজনা শুরু হয়েছিল। করোনা আবার সবকিছু থামিয়ে দিল তো। কী যে হবে, বুঝতে পারছি না।

প্রশ্ন :

নতুন গান প্রকাশিত হবে কি?

মাঝখানে একটা গান প্রকাশ করলাম। এ বছর অ্যালবাম করব, যত যা–ই হোক না কেন, চেষ্টা করছি। গান নিয়ে আমরা বসা শুরু করেছিলামও, কিন্তু হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এখন ভিন্নভাবে ভাবতে হচ্ছে।

প্রশ্ন :

শেষ কয়েকটা অ্যালবামে আপনারা দেশাত্মবোধক গানকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মনে হলো!

প্রতিটি অ্যালবামেই কিন্তু রোমান্টিক গানের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গান রাখছি। এমন নয় যে রোমান্টিক গান থাকছে না। নতুন অ্যালবামেও আটটা গানের মধ্যে দেশের গান থাকছে দুটো, আর ছয়টা আমাদের স্বাভাবিক গান যেগুলো হয়, সেগুলো। সেভাবেই পরিকল্পনা করেছি, জানি না এখন কতটা করতে পারব।

প্রশ্ন :

কেন সন্দিহান?

এখন তো ভালো গানের পৃষ্ঠপোষকতা একদমই সেভাবে হচ্ছে না। শিল্পীদের নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে গান তৈরি করতে হচ্ছে। অডিও কোম্পানির কথা বলে লাভ নেই।

অবসকিওর ব্যান্ডের সদস্যদের সঙ্গে সাইদ হাসান টিপু (মাঝে)
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

কেন এমনটা হচ্ছে?

আমি আসলে জানি না, কী হবে। কোম্পানিগুলো সেই আগেও টাকাপয়সা মেরে দিত, এখনো দেয়। কোনো শিল্পীই তাঁর প্রাপ্য ঠিকমতো বুঝে পান না। গীতিকার–সুরকারেরা তো আরও না। কোম্পানি যদি স্বচ্ছতা বজায় রাখত, তারা যদি ঠিক থাকত—আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি অন্য রকম হতে পারত। এখন অডিও কোম্পানি যদি নিশ্চিত করত, যে কাজ শিল্পীরা করছেন, সেখান থেকে প্রাপ্য সম্মানী তাঁরা পাবেন, তখনই তো শিল্পীরা আন্তরিক হয়ে কাজ করতেন। গত দুই বছরের করোনায় আমার যেটা মনে হয়, অনেক শিল্পী আর মিউজিশিয়ান তাঁদের অনেক যন্ত্রও বিক্রি করে দিয়েছেন। কী করবেন, খেতে তো হবে। এইভাবে কীভাবে গান হবে? আমরা তো নিজের খরচে গান করি। এভাবে তো বেশি দিন করা যায় না।

প্রশ্ন :

কোম্পানিগুলোর কি কোনো দায় নেই?

আমরা ওপর দিয়ে অনেক কথা বলি, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করি না। করপোরেটে নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, দিন শেষে তারা দেখে, তাদের ব্যবসা কতটা হচ্ছে। অবস্থা এখন যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে, এভাবে আর কত দিন? তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের মতো গান করে যাচ্ছি। আজ হয়তো এসব গান মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, কিন্তু ১০ বছর পর হলেও তো পৌঁছাবে। পৌঁছাতে তো একসময় হবেই। বিশেষ করে দেশের জন্য এখন গান করছি, এসব গান করে রাখা খুব জরুরি। কারণ, ধীরে ধীরে তো আমরা সবাই সবকিছু ভুলতে বসেছি। মুক্তিযুদ্ধই মনে রাখার অবস্থা নেই আজকাল। কেউ কেউ তো বলেও, ওই একটা যুদ্ধ হয়েছিল আরকি! অবস্থাটা তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে!

অবশ্যই বলতে পারি। দুটোই—শ্রোতা নষ্ট হয়েছে, আমরাও শ্রোতাদের নষ্ট করেছি। তবে আমরা যদি ভালো গান দিতে পারি, শ্রোতারা নেবেন, এটাও ঠিক
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

রোমান্টিক গানের পাশাপাশি দেশের গান তৈরির ভাবনাটা কেন ভেবেছিলেন?

অবসকিওরের প্রথম অ্যালবামেও বিষয়ভিত্তিক গান ছিল। ‘ভন্ডবাবা’, ‘বানের জলে লাগল আগুন’, বন্যা নিয়েও গান করেছি। আমার কাছে সব সময় যেটা মনে হয়, বিষয়ভিত্তিক গান লেখা খুব কঠিন। তবে অমিত গোস্বামীকে যখন পেলাম, যেকোনো বিষয়ে লিখতে বললে সঙ্গে সঙ্গে লিখে পাঠান। লেখাও অসম্ভব ভালো। ওর সঙ্গে আমাদের মিলটাও ভালো হয়। দেশের গান গুরুত্ব দিয়ে করা শুরু করলাম শাওনের (শাওন মাহমুদ, শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে) সঙ্গে বিয়ের পর। মুক্তিযুদ্ধে বাবা হারানো একটা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটতে থাকল। স্বাভাবিকভাবেই আমি মায়ের কাছে, শাওনের কাছে অনেক গল্প শুনেছি। শুনতে শুনতে একটা সময় মনে হলো যে আমরা তো অনেক সময় ধরে মিউজিক করছি, আমরা আসলে কী রেখে যাচ্ছি? রোমান্টিক গান ‘মাঝরাতে চাঁদ যদি’ যেহেতু চিরসবুজ হয়ে আছে, বাকি জীবনও সেভাবে থাকবে। কিন্তু দেশের জন্য আমাদের দায়বদ্ধতাটা কোথায় তাহলে? ধরলাম, দেশ আমাকে হয়তো পয়সা দেয়নি, কিন্তু দেশের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেটারও তো একটা দায়বদ্ধতা আছে, তাই না? তখন আমরা দেশ নিয়ে চিন্তা শুরু করলাম। আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিলাম, বাংলাদেশ আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। কারণ, শাওনের মুখ থেকে ক্র্যাক প্লাটুনের গল্প, বাবার গল্প—এসব শুনতে শুনতে আমরা ২০১৪ সাল থেকে ইনফ্যাক্ট অবসকিওর ও বাংলাদেশ নামে যে অ্যালবাম করলাম, সেটার উদ্দেশ্য ছিল, আমাদের চোখে বাংলাদেশ। অবসকিওর, বাংলাদেশকে কীভাবে দেখি। তারপর তো ২০১৮ পর্যন্ত টানা অ্যালবাম করেছি। প্রতিটি অ্যালবামে দেশের গান রাখতে চেয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি, সেটা যে–ই হোক, ‘আজাদ’ হোক, ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ হোক, টিটো হোক—আমাদের ব্যান্ডের সিদ্ধান্তই হয়ে গেল, আমরা আমাদের চিরচরিত গান করার চেষ্টা তো করবই, সঙ্গে অবশ্যই একটা–দুটো করে হলেও দেশের গান করব। এখন যেহেতু শ্রোতাদের অবস্থাও খুব খারাপ, ভালো গানও কেউ শোনেন না। কিন্তু আশা করি, ১০ বছর পর পরিস্থিতি বদলাবে।

প্রশ্ন :

১০ বছর পর বদলাবে?

১০ বছর পর না বদলালেও ১৫ বছর পরও বদলাতে পারে। তার আগেও বদলাতে পারে। আমি হয়তো থাকব না, কিন্তু আমার গান তো থাকবে। যেমন ‘আজাদ’ গানটার কথা বলি; এই গানের জন্য এমন এমন মানুষও আমাকে টেক্সট করেছেন, অবাক হয়েছি। তাঁরা বলেছেন, ‘আজাদ’ সম্পর্কে জানতে চাই, আমি সরাসরি তাঁদের বলে দিলাম, ‘আনিসুল হকের “মা” পড়ো, তাহলেই তো আজাদকে পেয়ে যাবে।’ এই যে একটা গান, তা থেকে মানুষের জানার ইচ্ছা তৈরি হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চাইছে—এর চেয়ে বেশি কিছু তো আমি চাই না। এটাই আমার স্বীকৃতি।

এখনো অবসকিউরের হাল ধরে আছেন সাইদ হাসান টিপু
ছবি : ফেসবুক থেকে

প্রশ্ন :

তাহলে কি আপনি বলতে পারেন, শ্রোতা নষ্ট হয়ে গেছে? নাকি মানহীন গানের কারণে শ্রোতা নষ্ট করা হচ্ছে?

অবশ্যই বলতে পারি। দুটোই—শ্রোতা নষ্ট হয়েছে, আমরাও শ্রোতাদের নষ্ট করেছি। তবে আমরা যদি ভালো গান দিতে পারি, শ্রোতারা নেবেন, এটাও ঠিক। ব্যাপারটা হচ্ছে কি, আমাদের গান প্রকাশের সিস্টেমটা আগে কী ছিল? ক্যাসেট ও সিডি। বাংলাদেশে এখন সিডি আর ক্যাসেট কোনোটাই নেই। তাহলে আমরা কোথায় যাব, ইন্টারনেটে? ইন্টারনেটে গেলে শিল্পী–গীতিকার–সুরকারেরা তো টাকাপয়সা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যেহেতু আমরা কোনো পয়সা পাচ্ছি না, তাই গানও প্রকাশ কমিয়ে দিয়েছি। দেশে এই মুহূর্তে কয়টা ব্যান্ড সক্রিয় আছে? বলা যেতে পারে, হাতেগোনা চার–পাঁচটার বেশি না। কারণটা হচ্ছে, গান তৈরি করতে টাকা খরচ হচ্ছে। এই টাকা খরচ করে গান বানিয়ে যখন লগ্নিটাও ফেরত আসছে না, তখন আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমরা ভাবছি, দরকার নেই গান করার। অনেক তো হয়েছে। এ–ই হচ্ছে প্রথমত সমস্যার শুরু। আর এই সুযোগটা কিছু মানুষ নিলেন, যাঁরা গান দিয়ে জনপ্রিয় হতে চান। কী গান করছেন, কীভাবে গাইছেন—গানের কোনো কিছুতেই যাঁদের কোনো যোগ্যতা নেই, তাঁরা সম্মুখসারিতে চলে এসেছেন।

দেশের গান গুরুত্ব দিয়ে করা শুরু করলাম শাওনের (শাওন মাহমুদ, শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে) সঙ্গে বিয়ের। ছবিতে স্ত্রী শাওন মাহমুদের সঙ্গে টিপু

প্রশ্ন :

তাহলে শিল্পীদের করণীয় কী?

আমাদের আগের প্রজন্ম ও আমরা ব্যর্থ হয়েছি একটা সুষ্ঠু সিস্টেম দাঁড় করাতে। সিস্টেমটা হচ্ছে কপিরাইটের সুষ্ঠু প্রয়োগ। অথচ এটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারছি না। পাশের দেশ ভারতেও কঠোরভাবে কপিরাইট সিস্টেম মানা হয়। আমরা করছি না কেন, আমাদের সবাই তো চোর। কোম্পানি মুখে আমাদের বলছে, তারা ১০০ টাকা পেলে ৫০ টাকা আমাদের দেবে আর বাকি ৫০ টাকা তারা রাখবে। কিন্তু বাস্তবে পাঁচ টাকাও দিচ্ছে না। কারণ, তাদের ব্যবসায়িক সততা একদমই নেই। সিস্টেমটা যদি দাঁড় করাতে না পারি, আমাদের গানবাজনার ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

অবশ্যই পারব। আমাদের পারতেই হবে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে

প্রশ্ন :

দাঁড় করাতে পারবেন বলে মনে হয়?

অবশ্যই পারব। আমাদের পারতেই হবে। আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে অবশ্যই সিস্টেম দাঁড় করাতে হবে।

প্রশ্ন :

কত সময়ের মধ্যে এই সুফল পাবেন সংগীতসংশ্লিষ্ট মানুষেরা?

এ ব্যাপারে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। সবাই চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোথাও গিয়ে তা দাঁড়াচ্ছে না। এখানে একটা মৌলিক সমস্যা আছে। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে কোনো একাত্মতা নেই। দেখা গেছে, আমরা সব শিল্পী মিলে একটা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলাম, কাল থেকে আমরা এইটা করব। দুঃখজনক হচ্ছে, ওই বৈঠকে থেকে বের হয়ে অর্ধেকই বলেন, নাহ এইটা তো করা যাবে না।

প্রশ্ন :

শিল্পীরা তো একটা সময় একাত্ম ছিলেন বলে গল্প শোনা যায়!

ছিলেন। হয়েছে কি, টাকা দিয়ে সবকিছু সহজেই কিনে নেওয়া যায়। আমাদের কেউ কেউ বিক্রি হয়ে যান তো। আজ সারা বাংলাদেশের সব শিল্পী যদি সিদ্ধান্ত নেন, আমাদের গান কোথাও থাকবে না—যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করতে না পারছে, আমাদের গানের টাকা আমরা সঠিকভাবে বুঝে পাব, আমাদের সব গান ইন্টারনেট থেকে নামাতেও হবে। রেডিও–টেলিভিশন কোথাও আমাদের গান থাকবে না। তাহলে কী হবে? দেখা যাবে রাতারাতি একটা দেশের সব ধরনের গানবাজনা বন্ধ। তখন বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরাও শিল্পী–সুরকার–গীতিকারদের সঙ্গে বসে এর সমাধান করবেন।

সমাধান খুবই সহজ, আবার খুবই কঠিন। এই জায়গায় তো আমরা সবাই এক হতে পারছি না। আমাদের অনেককে এক হতেও দিচ্ছে না।

প্রশ্ন :

সমাধান তো তাহলে খুবই সহজ!

সমাধান খুবই সহজ, আবার খুবই কঠিন। এই জায়গায় তো আমরা সবাই এক হতে পারছি না। আমাদের অনেককে এক হতেও দিচ্ছে না। যাঁরা ইউটিউবে এখন ‘কাঁচা বাদাম’ শুনছেন, তাঁর গানও তো শুনতে পাবে না, কারণ তাঁকেও আমাদের সঙ্গে আসতে হবে। তাঁকেও বলতে হবে, আমার গান প্রাপ্য সম্মানী ছাড়া কোথাও উঠবে না। কিন্তু এটা কি করতে পারব?

আমাদের অঙ্গনের অর্ধেক লোকই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অর্ধেক লোক বলবেন, ‘আরে ভাই, গানবাজনা বন্ধ থাকলে আমরা কী করে খাব?’ তাদের বলতে চাই, আরে ভাই, একটা মাস অন্তত কষ্ট করে সিস্টেম দাঁড় করাতে পারলে তো আজীবনের একটা সুফল আসবে

প্রশ্ন :

আপনাদের দুর্বলতা কোথায়?

আমাদের অঙ্গনের অর্ধেক লোকই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। অর্ধেক লোক বলবেন, ‘আরে ভাই, গানবাজনা বন্ধ থাকলে আমরা কী করে খাব?’ তাদের বলতে চাই, আরে ভাই, একটা মাস অন্তত কষ্ট করে সিস্টেম দাঁড় করাতে পারলে তো আজীবনের একটা সুফল আসবে। কিন্তু আমরা তা ভাবছি না। সমাধান খুবই সহজ, যদি আমরা একত্র হতে পারি। আমাদের সিদ্ধান্ত হতে হবে—টেলিভিশন, রেডিও কোথাও আমরা গাইব না। সরকার যতক্ষণ নিশ্চিত করতে না পারছে, ততক্ষণ আমরা কোথাও আমাদের গান বাজতে দেব না। কপিরাইট অফিস আমাদের কপিরাইটের নিশ্চয়তা দিতে হবে। দেখা যাবে, এক মাসের মধ্যে সবাই সোজা হয়ে গেছে।