>আগামীকাল ২৭ ডিসেম্বর ৫০ বছর পূর্ণ করছেন কত্থক নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ। এই জন্মদিনে মেয়ে অপরাজিতাকে নিয়ে একটি যুগলবন্দীতে অংশ নেবেন তিনি। ছায়ানট মিলনায়তনে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় আরও নাচ করবেন তাঁর দল রেওয়াজের শিল্পীরা। জন্মদিন সামনে রেখে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

বয়স হিসেবে পঞ্চাশ হয়তো কিছু না, কিন্তু সংখ্যা হিসাবে একটা ব্যাপার বটে। আপনার কাছে ব্যাপারটা কেমন?
ব্যাপারটা অদ্ভুত। আমি তারুণ্যে বিশ্বাসী; বয়স বাড়ছে, সেটা আমি অনুভব করি না। এখনো সাইকেল চালাই, সাঁতার কাটি।
জন্মদিনের সন্ধ্যায় আপনারা মা-মেয়ে ছাড়া আর কে কে নাচ করবেন?
আমাদের দলের ছেলেমেয়েরাই নাচ করবে। আমার মেয়ে অপরাজিতা ছাড়াও থাকবে মাসুম, সোমা, অনন্যা, শামীম, শর্মিষ্ঠা, ঐশ্বর্য ও পরিমিতা।
উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে নাচ পরিবেশনের প্রতিক্রিয়া কেমন?
দর্শকেরা খুব গর্ববোধ করেছেন। ভারতীয় বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে একই মঞ্চে আমরা সমানতালে নাচ করেছি, সেটা এ দেশের দর্শকদের চমৎকৃত করেছে। যাঁরা এই উৎসবে আমাদের পরিবেশনা দেখেছেন, তাঁরাও অভিভূত। তা ছাড়া বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ভালো যন্ত্রী দিয়েছিল। ভালো তবলচির অভাবে কত্থক নাচ করা মুশকিল। কত্থকে নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে সঙ্গে তবলচিও সমান গুরুত্ব পান। আমাদের দেশে আরও ভালো তবলচি তৈরি হওয়া দরকার।
শাস্ত্রীয় নৃত্যে পোক্ত হতে বয়স কতটা জরুরি?
অল্প বয়সে শুরু করতে পারলে দ্রুত পোক্ত হওয়া যায়। সেটা নির্ভর করে শিল্পীর চর্চার ওপর। আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞতা বাড়ে বলে এতে পোক্ত হতে একটু বয়স্কও হতে হয়।
বলিউডের ছবিতে যেভাবে শাস্ত্রীয় নাচ ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে কত্থক, তাতে শুদ্ধ ঘরানাগুলো কি টিকবে?
ঘরানা টিকবে। কেননা, সেগুলো মৌলিক। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ফিউশনের পর মানুষকে মৌলিক জায়গায় ফিরতেই হয়।
সামনের দিনগুলোর জন্য কোনো লক্ষ্য ঠিক করেছেন?
গোল ঠিক করে রেখেছি, কিন্তু বল ছুড়তে পারছি না। নাচের কত কত প্রযোজনার পরিকল্পনা করে রেখেছি, স্পনসর পাচ্ছি না। তাতে হয়তো লক্ষ্যে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হবে। হয়তো নিজেকে টাকা জমিয়ে কাজগুলো করতে হবে।
সাক্ষাৎকার: রাসেল মাহ্মুদ