‘দেখা গেল গল্পে লাগবে শাড়ি, পরিয়ে দিল গামছা’

চলচ্চিত্রের বাইরে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অনিয়মিতভাবে ছোট পর্দায়ও দেখা যায়। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে নাটক–টেলিফিল্মের চরিত্র হয়ে দেখা দেন তিনি। আজ তাঁকে দেখা যাবে এনটিভিতে ‘বইওয়ালা’ নাটকে। এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। খায়রুল বাসারের লেখা এই নাটক পরিচালনা করেছেন রাইসুল তমাল। নাটকটিতে অভিনয়ের কারণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

প্রশ্ন :

আপনার ব্যবহৃত নম্বরটি গতকাল থেকে বন্ধ পাচ্ছি!

গতকাল আমার ফোনসেট চুরি হয়ে গেছে। তখন থেকে কেউই পাচ্ছেন না। আজ দুপুরে সিম ওঠালাম। এরপর সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে।

ইলিয়াস কাঞ্চন
ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

আজ টেলিভিশনে ‘বইওয়ালা’ নাটকটি দেখানো হবে। আপনি তো নাটকে খুব একটা অভিনয় করেন না, কী ভেবে করলেন?

আমি তো সবই করি, পছন্দ হলে করি। পছন্দ না হলে করি না। এর আগে ‘মরণোত্তম’ নাটক করেছিলাম। নাটকটা আমার খুব ভালো লেগেছিল। মনে হয়েছিল, দীর্ঘদিন পর একটা ভালো গল্পের প্রস্তাব পেয়েছি। ‘বইওয়ালা’ গল্পটা শুনেই ভালো লেগে যায়। লেখকের ভাবনাটাও দারুণ লেগেছে। জানি না এখন কেমন তৈরি হয়েছে!

প্রশ্ন :

কেন এমনটা মনে করছেন?

গল্পকে মানুষের কাছে যত বেশি বাস্তবসম্মত করা যায়, ততই মানুষ তা পছন্দ করে। অনেক ক্ষেত্রে গল্পকার অসাধারণ গল্প দেন, কিন্তু পরিচালক তা শেষ পর্যন্ত ফুটিয়ে তুলতে পারেন না। এটাই হচ্ছে আমাদের নাটক এবং সিনেমার এখনকার সবচেয়ে বড় সমস্যা। দেখা গেল, গল্পের প্রয়োজনে লাগবে একটা শাড়ি, পরিয়ে দিল গামছা। তখন খুব কষ্ট লাগে। আমি খুব কষ্ট পাই।

ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রশ্ন :

এই নাটকের ক্ষেত্রে আয়োজন কেমন ছিল?

গল্পটা যেভাবে বলা হয়েছিল, ‘বইওয়ালা’ নাটকের শুটিং করতে গিয়ে আমি আয়োজনের কমতি দেখিনি। এই নাটকের গল্পটা এমন একজন মানুষকে ঘিরে, যিনি লেখাপড়া শিখতে পারেননি। কিন্তু তাঁর আগ্রহ ছিল লেখাপড়া করার। যেহেতু তিনি শিখতে পারেননি, তাই পরবর্তী সময়ে যখন সামর্থ্য অর্জন করেন, তখন সেই সামর্থ্য দিয়ে চারপাশটাকে আলোকিত করেন। তাঁর বক্তব্য, মানুষ যেন বই পড়ার প্রতি আগ্রহী হয়, সবাইকে বই পড়ার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজের উপকারের কোনো গল্প বা কাহিনিতে অভিনয়ের প্রস্তাব যখন আসে, তখন আমি উদ্বেলিত হই।

ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রশ্ন :

এবার অন্য প্রসঙ্গ। আপনি প্রায় ৪০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। দুটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন। নতুন করে আবার নির্মাণ করতে চান?

চিন্তা করেছি। আবারও এ–ও ভাবলাম, নির্দেশনায় আদৌ যাব কি! কারণ হলো যে এখন যে শক্তি দরকার, সবকিছু জোগাড় করা, যে পরিশ্রম—কতটুকু কী করতে পারব, এটা নিয়ে দোটানার মধ্যে আছি। পরিবেশটাও অনুকূলে নয়।