নিজে গিয়ে ফোন নম্বর চেয়েছিলাম

সজল। ছোট পর্দার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। কাজ করছেন বড় পর্দায় এবং বিজ্ঞাপনে। তারকার টি-টোয়েন্টিতে আজকের অতিথি তিনি।

সজল
সজল

স্ট্রেট বল
প্রথম ভালোলাগা...
১৯৯৮-৯৯ সালের কথা। ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি তখন। নিউমার্কেটে দেখা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। এতটাই ভালো লেগেছিল যে নিজে গিয়ে ফোন নম্বর চেয়েছিলাম।
যখন কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘হোয়াট ইজ লাভ?’...
ভালোবাসা অনেক কিছুর মিশেল। এটা ভালো লাগার চূড়ান্ত পর্ব। এর সঙ্গে থাকে আবেগ, বোঝাপড়া, বিশ্বাস। এটা আমার কাছে তীব্র একটা অনুভূতি। যেটার ফলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল।
আমি যাঁকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি...
ভালোবাসা তো কেবল নারী-পুরুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিদিনের সম্পর্কের অনেককেই আমরা অনেক ভালোবাসি, যাদের হয়তো তা কখনো বলা হয় না। কাউকে হারিয়ে ফেললে বুঝি, কতটা ভালোবাসতাম। তো এদের মধ্যে আমার মা ও বোন চন্দ্রার কথা বলতে পারি।
মা-বাবার পরে যাঁর ভালোবাসা আমাকে ধন্য করেছে...
দর্শকের ভালোবাসা। এই ভালোবাসা অকৃত্রিম। তাঁরা আমার কাজ দেখে হাসেন, কাঁদেন। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।

গুগলি
প্রেম-ভালোবাসা-বিয়েসংক্রান্ত যে প্রশ্নটির মুখোমুখি হই সবচেয়ে বেশি...
বিয়ে করছেন কবে? সঙ্গে আবার পাত্রীদের তালিকার ব্যাপারেও প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়। হা হা হা!
প্রথম ক্রাশ খেয়েছিলাম...
তখন স্কুলে পড়তাম। একজন িটচারকে এতটাই পছন্দ করতাম যে তাঁর কোনো ক্লাসে ফাঁকি দিতাম না। সুবিধাও ছিল, এর ফলে তাঁর ক্লাসে খুব মনোযোগ দিতাম। তিনি যা বলবেন, তা-ই করব, এমন অবস্থা।
আমার বর্তমান রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস...
জীবনের বহুবার প্রেমে পড়েছি। অনেক সুন্দর মনের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। তবে এখনকার স্ট্যাটাসের ব্যাপারে একটাই উত্তর—বলতে পারছি না!
যাকে দেখলে হার্টবিট বেড়ে যায়...
মাধুরী দীক্ষিতকে দেখলে।

বাউন্সার
কবে বিয়ে করছি...
এটা তো ওপরওয়ালাই নির্ধারণ করবেন। আমার দিক থেকে বলতে পারি, আগামী দু-এক বছরের মধ্যে।
বিয়ের পরও তরুণীরা যদি বলে, ‘আই লাভ ইউ!’...
ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।
ছ্যাঁকা খাওয়ার অভিজ্ঞতা...
একরকম অভিজ্ঞতা তো আছেই। একটা গান আছে না, ‘সোনা সে তো খাঁটি সোনা হয় পুড়ে গেলে আগুনে...’। হা হা হা!
যার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছি, কিন্তু পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না...
শমী কায়সার। ছেলেবেলায় বাসায় বলতাম, আমি শমী কায়সারকে বিয়ে করব।

ফুল টস
যখন বুঝি মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসে...
দায়ভার কাজ করে। ভক্তদের প্রতি আমি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলা, অটোগ্রাফ দেওয়া কিংবা হাসিমুখে একটু কথা বলতে পারলে খুব ভালো লাগে। অনেকে আবার ভক্ত থেকে আমার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে মিলে যায়। তাদের অনেক আবদার রাখার চেষ্টা করি। এটা আমি উপভোগ করি।
অভিনয় বাদে যে কাজটির প্রতি আমার ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি...
আড্ডা। ঢাকা কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়—পুরো শিক্ষাজীবনে আড্ডাই বেশি দিয়েছি। এখন সময় হয় না, কিন্তু মিস করি। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় আমাদের একটা সার্কেল ছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নিউমার্কেট কিংবা টিএসসিতে তুমুল আড্ডা দিতাম।
ভ্যালেন্টাইনস ডে নিয়ে আমার মজার অভিজ্ঞতা...
অভিজ্ঞতাটা মজার আবার কষ্টেরও। দুপুরে বাসা থেকে বের হব। আমার ভাইয়ের একটা অপারেশন হয়েছে। বাসার নিচে নেমে দেখি দুই তরুণ-তরুণী। তরুণী বললেন, ‘পার্কিংয়ের ওদিকটায় চলুন, পাঁচ মিনিট কথা বলব।’ গেলাম, তরুণী আমার হাত ধরে কাঁদতে শুরু করলেন। জানালেন, সঙ্গে আসা ওই তরুণ ফেসবুকে এত দিন অভিনেতা সজল সেজে তাঁর সঙ্গে প্রেম করেছেন। তাই আসল মানুষটিকে আবিষ্কার করার পর তাঁর মন ভেঙে গেছে! তিনি তো ভালোবেসেছেন আমাকে!
আমার চোখে চমৎকার জুটি...
আফজাল হোসেন–সুবর্ণা মুস্তাফা।

পাওয়ার প্লে
একটি সুন্দর সম্পর্কের সূত্র...
পরিচর্যা। একটা গাছ যেমন পানি, বাতাস, মাটি ছাড়া এমনি এমনি বাড়তে পারে না, তেমনি একটা সম্পর্কেরও পরিচর্যা দরকার। পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিচর্যা ও চাওয়া-পাওয়া কম থাকলে ভালোবাসার সম্পর্কে বিবাদ এড়ানো সম্ভব।
ভালোবাসার প্রিয় গান...
কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, সেখানে বসন্ত আমার...’।
এবারের ভ্যালেন্টাইনস ডেতে আমার পরিকল্পনা...
রেডিও আমার—এ ‘লাভগুরু’ অনুষ্ঠানে থাকব। ঘণ্টা দুয়েকের মতো কথা বলব।
ভক্তদের ভালোবাসার বিনিময়ে যা দিতে চাই...
এটা তো অমূল্য। ভালোবাসার বিনিময় হয় না। আমি যদি কাউকে উজাড় করে ভালোবাসি, তাঁর কাছ থেকে বিনিময়ে কিছু খুঁজি না। তবে ভক্তদের ভালোবাসা পেয়ে অনেক কিছুই করতে চাই। আমার পরিধির মধ্যে যতটুকু পারা যায়, ততটুকু যোগাযোগ করতে পারলে সবচেয়ে খুশি হতাম।
সাক্ষাৎকার: মাহফুজ রহমান