স্বপ্নের চরিত্র এখনো করতেই পারিনি

দিলারা জামান। ছবি: প্রথম আলো
গতকাল ৮০–তে পা দিলেন দিলারা জামান। অভিনয়ে পার করেছেন ৫৭ বছর। ১৯৬৫ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদের রচনায় ও মোহাম্মদ জাকারিয়ার পরিচালনায় ত্রিধারা দিয়ে শুরু হয় তাঁর অভিনয়জীবন। এই বয়সেও শুটিংয়ের জন্য এখানে–সেখানে ছোটেন। জন্মদিনসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি

প্রশ্ন :

জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

কী এক ঘোড়ার ডিমের জন্মদিন! সবাই এত এত ফোন করছে, তবে ভালোও লাগছে। গতকাল সকালে চ্যানেল আইয়ের সরাসরি অনুষ্ঠান ‘তারকাকথন’–এ গেলাম। দেশে থাকলে এই দিনে প্রায়ই অনুষ্ঠানটিতে যাওয়া হয়। এবার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে বড় মেয়ে সঙ্গে আছে বলে। হঠাৎ কানাডা থেকে দেশে ফিরে সারপ্রাইজ দিয়েছে। ছোট মেয়ে ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল। মায়ের সঙ্গে কিছুদিন কাটিয়ে চলে গেছে। এত দিন সুন্দরভাবে বাঁচতে পেরেছি, এখনো সুস্থ আছি—এটাই কম কি। আলহামদুলিল্লাহ। সবার কাছে দোয়া চাই, যেন সুস্থ থাকি।

প্রশ্ন :

এমন কিছু করতে চেয়েছিলেন, যা নিয়ে জন্মদিনে আফসোস হয়?

বৃদ্ধাশ্রম করার একটা পরিকল্পনা অনেক দিনের ছিল, যার মাধ্যমে অনেক মানুষের উপকার হবে, আশ্রয় হবে, ঠাঁই হবে। আমার একার পক্ষে তো সম্ভব নয়। এখন সেই আশা বাদ দিয়েছি। তবে আমি বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে যুক্ত। তাদের যেকোনো আয়োজনে যাই। সময় কাটাই।

প্রশ্ন :

জন্মদিনে আপনাকে নিয়ে ফেসবুকে নানান কিছু লেখেন ভক্তরা, দেখা হয়?

আমি তো অত কিছু জানি না। ফেসবুকও ব্যবহার করি না। আমি নিজের কাজকর্ম করে কূল পাই না। নিজের কাজ নিজেই করতে হয়। এখনো রান্না, বাজার, ব্যাংকের কাজকর্ম—সব নিজেই করি। শুটিংও করি।

দিলারা জামান। ছবি সংগৃহীত।

প্রশ্ন :

৫৭ বছরের অভিনয়জীবনে স্বপ্নের চরিত্রের দেখা পেয়েছেন?

এখনো অধরাই রয়ে গেছে স্বপ্নের চরিত্র। তবে এখনো স্বপ্ন দেখি, এমন একটা চরিত্রে অভিনয় যেন করতে পারি, যা সব মানুষের মনে দাগ কেটে যায়। কবে সেই ধরনের চরিত্রের দেখা পাব, কে জানে। পরিচালকেরাও হয়তো আমাকে নিয়ে ভাবেননি, তা না হলে এত দিনে তো হয়েই যেত।

দিলারা জামান