‘বাংলাদেশের চেয়ে এটি ভারতেই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে’
স্পটিফাই, ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে ছিল, কলকাতার শ্রোতাদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘ঝুমকা’। যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী মুজার সঙ্গে গানটি গেয়েছেন জেফার রহমান, গানের অন্যতম গীতিকারও তিনি। গানটিসহ অন্যান্য বিষয়ে গত রোববার তাঁর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’
‘ঝুমকা’ সৃষ্টি হলো কীভাবে?
আমি ও মুজা আগেও কাজ করেছি। এবার মুজা ঢাকায় এলে গানটি করার চিন্তা করি। প্রথমে আমরা গানের সুর করি, পরে আমি ও মুজা মিলে গানটা লিখি; গান লেখায় সহযোগিতা করেছেন শিহাব শিবু। তিন দিনের মধ্যে গানের কাজ শেষ করি। এরপর আমরা ভাবছিলাম, ভিডিও করব কি না। পরে ভিডিও করি। পুরো গানের মা–বাবা আমি আর মুজা। মিউজিক থেকে শুরু করে গান লেখা—সবকিছুই আমরা করেছি। গত ২৭ জানুয়ারি গানটা প্রকাশের পর আস্তে আস্তে শ্রোতার সংখ্যা বাড়ছিল। একসময় হু হু করে ভিউ বাড়তে থাকে।
সেটা কবে থেকে?
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দিকে। টিকটক, রিলস, ইউটিউবে গানটি ছড়িয়ে পড়ে, মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হতে থাকে। গানটা ভারতেও খুব জনপ্রিয়তা পায়। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের চেয়ে এটি ভারতেই বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গানটি এতটা ছড়াল কেন, আপনার কী মনে হয়?
আমার মনে হয়, শ্রোতারা একটু হালকা ধাঁচের গান পছন্দ করেন, সেই জায়গা থেকে শ্রোতারা গানটি পছন্দ করেছেন।
আপনাকে তো বরাবরই একক শিল্পী হিসেবে পাওয়া যায়, এবার যে দ্বৈত গান করলেন?
কোভিডের পর নিজেকে পরিবর্তন করেছি। আমি তো এক ধরনের কাজ করি, সেটা তো আছেই। এর বাইরে ভিন্ন ধরনের গান করলে কেমন হয়, সেটা দেখতে চাচ্ছিলাম। সেই চিন্তা থেকেই গানটা করেছি। সামনে আরও দ্বৈত গান আসবে। পাশাপাশি আমি যে ধরনের কাজ করি, সেই ধরনের গানও আসবে।
‘ন ডরাই’–এর পর আর কোনো সিনেমার গানে আপনাকে পাওয়া যায়নি।
সিনেমাটির প্রযোজনায়ও আমি যুক্ত ছিলাম। এখন কয়েকটি সিনেমায় গানের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে, হয়তো প্লেব্যাকেও আমাকে পাওয়া যাবে।
সামনে আর কী করছেন?
‘লেটস ভাইব ঢাকা উইথ অনুব জৈন’ কনসার্টে ‘ঝুমকা’ গেয়েছি, গানটি এবার প্রথম কোনো কনসার্টে গাইলাম। খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, শিল্পীদের নিজেকে ভাঙতে হয়। নিজেকে ভাঙাটা জরুরি। তবে অনেকের জন্য এটা ম্যাটার করে না, যেমন জেমস। তাঁর কথা আলাদা। এই সময়ের শিল্পীদের নিজেকে ভাঙতে হবে, সেই চেষ্টা করতে চাই। কয়েকটি মিউজিক ভিডিও করছি, সামনে আসবে।
ইদানীং আপনার লুকেও পরিবর্তন দেখা গেছে।
আগে লুকটা একভাবেই রাখতাম, এখন মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করি।
বিবিসির ‘এশিয়ান নেটওয়ার্ক ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
ওরা আমার গান প্রচার করেছে, আমার সঙ্গে আলাপ করেছে। সেখানকার দর্শকের সঙ্গে সংযোগ ঘটেছে।
মাঝেমধ্যে আপনাকে মডেলিংয়ে দেখা যায়, অভিনয়ের প্রস্তাব পান?
গানের চেয়ে অভিনয়ের প্রস্তাব বেশি পাই। সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে। আমি সেই জায়গায় পা দিলে ভালো কিছুই করতে চাই।
আপনার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে বেশ চর্চা হতে দেখা যায়।
আমার বন্ধুরা বিয়ে করে ফেলেছে, ফলে আমার ওপরও বিয়ের চাপটা আসে। পেশাগত জীবনে যতটা সময় দিচ্ছি, ব্যক্তিগত জীবনে ততটা সময় দিতে পারছি না। যখন ব্যালেন্স করতে পারব, তখন হয়তো সেই জায়গায় (বিয়ে) যাব।