বিরতির পর আবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বানালেন। ঈদে মুক্তি পাওয়া এই ধারাবাহিক নিয়ে এখন পর্যন্ত কেমন সাড়া পেয়েছেন?
কাজল আরেফিন : যেহেতু আড়াই বছর পর, তাই একটা প্রত্যাশা ছিল দর্শকের সাড়া পাব। ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫ প্রথমে ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে, টাকা খরচ করে দেখতে হবে, ফ্রি নয়। এই পরিবর্তনে হয়তো আগের মতো দর্শক পাব না, এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বে থেকে ওটিটিতে কনটেন্ট মুক্তি দিই। কারণ, আমাদের কনটেন্টের মান ধরে রাখতে হলে ওটিটি সাপোর্ট ছাড়া শুধু ইউটিউব বা টেলিভিশন দিয়ে সম্ভব নয়। আমরা প্রি-বুক সিস্টেম চালু করি, ওটাতে যে সাড়া পেয়েছি, তা ছিল দুর্দান্ত। কনটেন্ট মুক্তির পর আমরা যে প্রত্যাশা করেছিলাম, তা প্রি-বুকিংয়ের তিন দিনে পূরণ হয়ে গেছে। কনটেন্ট মুক্তির পর প্রথম ২০ ঘণ্টায় যে গ্রাহক পেয়েছি, তা শুধু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বা আমার একার অর্জন নয়, বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যে এগিয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ। এখন পর্যন্ত দারুণভাবে এগিয়ে চলছে...পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ দেখছে, প্রত্যাশার চেয়ে চার গুণ। একটা কনটেন্ট ৫ মিলিয়ন বা ১০ মিলিয়ন ভিউ হয়, তবে সেটার গড় ওয়াচটাইম আমাদের সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সাধারণত ওয়াচটাইম ৫০-৬০ শতাংশ থাকে, এবারের সিজনে আমরা গড় ওয়াচটাইম পেয়েছি ৯৭ শতাংশ! হয়তো কারও কাছে ভালো লেগেছে, কারও কাছে খারাপও হয়তো লেগেছে, কিন্তু তারা ছেড়ে যায়নি।
কেউ কেউ বলছেন, অন্য সিজনগুলোর মতো এবারের সিজন সেভাবে আলোচনায় নেই। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
কাজল আরেফিন : আমি আগেই বলেছি, যতটা প্রত্যাশা করেছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। এর আগে ইউটিউবের ফ্রি মাধ্যমে দেখতে হয়েছে। এবার টাকা খরচ করে দেখছে বিধায় দর্শকের সংখ্যা একটু কমেছে। আমরা সবকিছু হিসাব–নিকাশ করেই ওটিটিতে আগে ছেড়েছি। আমরা ওটিটির কাছ থেকে যে প্রত্যাশা করেছি, তার চার গুণ বেশি সাড়া পেয়েছি। দর্শকের গড় দেখার সময় এবং অর্থনৈতিক ব্যাপারও। এবারের সিজনের প্রধান প্রযোজকও আমি, আমার সঙ্গে ওটিটি, টেলিভিশন আছে। আমাদের সবার কাছে ড্যাশবোর্ড আছে, কী সাড়া, তা স্পষ্ট দেখতে পাই, কী প্রতিক্রিয়া তাও। পজিটিভিটি ও নেগেটিভিটি ছাড়া ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ কোনো দিন ছিল না। এমন কোনো দিন হয়নি, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর সিজন শেষে আমি শতভাগ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ওয়ানে ৫০ শতাংশ নেগেটিভিটি ছিল। কমতে কমতে এখন ৯০ শতাংশ পজিটিভ ফিডব্যাক পাই, ১০ শতাংশ নেগেটিভ ফিডব্যাক পাই। ওই ১০ শতাংশের মধ্যেও হয়তো পজিটিভ ভাইব নিয়ে আসতে পারব। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ যদি মানুষ পছন্দই না করত, তাহলে সিজন ৫ পর্যন্ত আমরা আসতেই পারতাম না। পজিটিভিটি ও নেগেটিভিটি সব সময় থাকবে। সবকিছু সব সময় সবার মনমতো হবে না। মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করেছে, হয়তো ভেবেছে আমি এখান থেকে গল্পটা দেখাব, সে হয়তো সেখান থেকে গল্পটা পায়নি। মানুষ হয়তো ভেবেছিল পাশা চরিত্রটি এটা করবে, কিন্তু তিনি অন্যটা অন্যভাবে করেছেন। তাই সবার মনমতো আসলে গল্পটা বলা যাবে না, যায়ও না। গল্পটা আমি আমার ঢঙে বলব। আমার ঢঙের সঙ্গে যাদের যাদের মিলবে, তাদের কাছে গল্পটা ভালো লাগবে। বলবে, ওয়াও, কী দেখলাম! আর যাদের সঙ্গে আমার দর্শন মিলবে না, তারা বলবে ভালো হয়নি। মানলাম ভালো হয়নি, মাত্র আট পর্ব প্রচারিত হয়েছে। সামনে এমন কিছু আসবে, তখন হয়তো বলবে, নাহ্, এটা আমার মনমতো হয়েছে। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নিয়ে পজিটিভ-নেগেটিভ ব্যাপারগুলো থাকবে, আমি এটা উপভোগ করি।
বেশির ভাগ নির্মাতাই কোনো না কোনো শ্রেণিকে টার্গেট করে তাঁদের কনটেন্ট বানিয়ে থাকেন, আপনার এই নাটক মূলত কোন দর্শকগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে বানানো?
কাজল আরেফিন : ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ আমি যখন বানিয়েছিলাম, তখন আমার মনে হয়েছিল, এটা তরুণদের জন্য বানাব। তাই শুধু তখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়াদের কথা ভেবেই বানাতাম। আস্তে আস্তে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ যখন পরিণত হতে থাকে, বাচ্চা থেকে শুরু করে মুরব্বি পর্যন্ত এটা দেখে। আমি এখন সব ধরনের মানুষের জন্যই ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বানাই। যেহেতু আমার কনটেন্টের প্রধান চরিত্র তরুণ, তাই তরুণেরা এটা দেখে থাকেন। কিন্তু আমি এমনভাবে গল্প বলার চেষ্টা করি, সিনিয়ররা নস্টালজিক হন; ভাবেন, আমরা একসময় এ রকম করতাম। জুনিয়ররা ভাবেন, আমরা হয়তো এভাবেই থাকব। আমি সবার মতামত পাই। ভালো লাগা, মন্দ লাগা—সব ধরনের মতামত। আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি, মানুষ এই কনটেন্টের নানান দিক নিয়ে কথা বলেন।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ যেমন জনপ্রিয়, তেমনি কেউ কেউ বলেন, নাটকটি তরুণদের ভাষা ও রুচিকে প্রভাবিত করছে। আপনার মতামত কী?
কাজল আরেফিন : আমি মনে করি, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ কারও ওপর নেগেটিভ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। কারণ, আমরা আমাদের পরিবার, স্কুল, কলেজ ও সমাজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি। এটা একটা জীবনযাপন দেখায়। জীবনের বিভিন্ন সময়ের যে ব্যবধান ও পরিবর্তন, সেটাই দেখায়। সেখান থেকে পজিটিভ বিষয় যাঁরা দেখেন, তাঁরা পজিটিভলি গ্রহণ করবেন। আর যে নেগেটিভ বিষয়গুলো আছে, তা অবশ্যই নেগেটিভ শক্তি। আমরা স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও সমাজ থেকে সেটাই শিখি—নেগেটিভ শক্তি আমরা ঝেড়ে ফেলে দেব। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’–এ যে চরিত্রটা নেগেটিভ ভাইব দেয়, সেটা আমি গ্রহণ করব না, পজিটিভ ভাইবটা গ্রহণ করব। একটা সিনেমায় যেমন নায়ক থাকে, সেখানে একজন ভিলেনও থাকে। একটা সিনেমার ভিলেন কখনো সুন্দর করে কথা বলবে না, খারাপ ব্যক্তি যেভাবে কথা বলে, তিনিও সেভাবে বলবেন। আমার পারিবারিক শিক্ষা হচ্ছে, সিনেমা দেখে আমি কখনো ভিলেনের ভাষা গ্রহণ করব না, নায়কের চরিত্র যেটা থাকে, সেই নায়ক সুন্দর করে কথা বলে, সুন্দরভাবে চলে, সেটাই গ্রহণ করব।
এই নাটকসহ আপনার বেশির ভাগ কনটেন্টে কৌতুকের মাধ্যমে নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। কিন্তু কখনো কি মনে হয়েছে, কৌতুকের সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে?
কাজল আরেফিন : কৌতুক ও কমেডির বিষয় মাথায় রেখে আমি কখনো কনটেন্ট বানাইনি। একটা দৃশ্য যখন বানাই বা সংলাপ লিখি, তখন আমার ঢঙে লিখি। এটা কমেডি হচ্ছে, না কী হচ্ছে, তা ভাবি না। ন্যাচারাল ওয়েতে গল্প বলার চেষ্টা করি। আমার চরিত্রের মজার মজার কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, সেই ঢঙে সংলাপ বলার চেষ্টা করি। কৌতুকের ঢঙে গল্প বলার চেষ্টা কখনোই থাকে না। আমার এই ঢঙে গল্প বলাটা পছন্দ করি। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এই ঢংটা যারা পছন্দ করে, তারাই ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’কে সিজন ওয়ান থেকে ফাইভে নিয়ে এসেছে। তারাই ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর জন্য অপেক্ষা করে, তারাই আমার কাজ দেখে, তারাই আমার কাজকে ভালোবাসে। যাদের দ্বিমত আছে, তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা; তাদের দ্বিমত থাকতেই পারে। আমি এটা বিশ্বাস করি না, যা বলব, মানুষ শতভাগ বিশ্বাস করবে। আমি কাউকে শতভাগ সন্তুষ্ট করতে পারব না কিন্তু আমার চেষ্টা থাকে কাজের মানের উন্নতি যাতে হয়।
নাটকটি এত জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে আপনি কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে বড় কারণ মনে করেন?
কাজল আরেফিন : ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ বানানোর পেছনে সততা, পরিশ্রম—এর কারণে জনপ্রিয়। আমরা এটি বানানোর সময় কাজের সঙ্গে কোনো প্রকার অসততা করি না। আমার এই প্রজেক্টের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যারাই যুক্ত হয়েছে, প্রত্যেকে তাদের সেরাটা দিয়ে কাজটা করার চেষ্টা করে। আমি ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে যে স্বপ্নটা দেখি, আমার সঙ্গে যারা কাজ করে, তাদের মধ্যেও স্বপ্নটা এমনভাবে ঢুকিয়ে দিই, যাতে সবাই আমার মতো করেই এটা আপন মনে করে। সবার পরিশ্রম ও সততাই এর জনপ্রিয়তা।
সমালোচকদের কথা শোনেন কি না, নাকি শুধু দর্শকপ্রিয়তাই আপনার মূল লক্ষ্য?
কাজল আরেফিন : আমি সবার কথা শুনি। এরপর আমি ফিল্টারিং করি। আমি কারও কথা শুনে প্রভাবিত হই না। নিজেকে নিজে বিচার করি। কেউ কিছু বললে সেটা বোঝার চেষ্টা করি। আমি এমবিএ কমপ্লিট করা ছেলে, পারিবারিক শিক্ষা এবং কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমি বোঝার চেষ্টা করি, পজিটিভ ও নেগেটিভ বিষয়গুলো কী কী। আমি বিবেচনা করে যখন বুঝি আমার দর্শনগত জায়গায় কোনো দ্বিমত নেই, গ্রহণযোগ্য মনে হয়, নিঃসন্দেহে তা গ্রহণ করি। দর্শনগত জায়গায় দ্বিমত থাকলে তা আর গ্রহণ করি না। আমার মনে হয়, নিজেকে আগে নিজের বিচার করতে হবে। বেশির ভাগ দর্শক পছন্দ করছে, সে কারণে আজ আমরা এই জায়গায়। কাজ করে যেতে পারছি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ কখনো সবার মনমতো হয়নি। কখনো এমন হয়নি, শতভাগ মানুষ আমাকে বলেছে, তাদের মনমতো হয়েছে। সমাজের বিভিন্ন গ্রুপ, চার সিজনের কোনো সিজনে কোনো ইতিবাচক মন্তব্য করেনি। তাতে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর কিছুই হয়নি। নেগেটিভিটি কখনো আমাকে ছুঁতে পারে না, ছুঁতে দেবও না। মানুষ যেমন ব্যাচেলর পয়েন্টের রোকেয়া চরিত্রকে দেখতে চায়, কিন্তু লেখক হিসেবে আমার মনে হয়েছে, রোকেয়া চরিত্রকে এখনো দেখাব না, আমি কিন্তু দেখাইনি। আমি যদি মানুষের কথায় প্রভাবিত হতাম, তাহলে দ্বিতীয় সিজনে রোকেয়াকে পরিচয় করিয়ে দিতাম। তাই আমি আগে লেখক হিসেবে ভাবতে চাই, আমার দর্শন কী, দৃষ্টিভঙ্গি কী, এটা যাদের সঙ্গে মিলে যায়, তারাই আমার ভক্ত, তারাই ব্যাচেলর পয়েন্ট-এর ভক্ত। আমি সবার মনমতো করে এটা বানাইনি, বানাবও না।
প্রথম আলো :
নির্মাতা হিসেবে আপনার আগামীর স্বপ্ন কী?
কাজল আরেফিন : অবশ্যই সিনেমা। নির্মাতা হিসেবে আগামীর স্বপ্ন, সিনেমা বানাতে চাই। বাকি জীবনটায় সিনেমা বানাতে চাই।
প্রথম আলো :
আপনি যেসব কনটেন্ট বানিয়ে থাকেন, আপনার পরিবারের সদস্যরা দেখেন? দেখলে তাঁরা কী প্রতিক্রিয়া দেন?
কাজল আরেফিন : আমার পরিবারের সবাই কাজ দেখে। উপভোগ করে, উৎসাহ ও প্রেরণা দেয়। পরিবারের সবাই আমার কাজ নিয়ে উচ্ছ্বসিত থাকে। সমালোচনাও করে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দিয়ে আপনি কি সামাজিক বার্তা দিতে চান, নাকি বিনোদনই মুখ্য?
কাজল আরেফিন : প্রথমত, বিনোদনই মুখ্য। বিনোদনের সঙ্গে কিছু বার্তাও পুশ করি, প্রায়োরিটি দিই না। আমাদের জীবনে চলতে গেলে নানা ধরনের ঘটনা থাকে। সেই ঘটনা থেকে বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করতে হয়, তা–ও দেখি। আমরা সম্পর্কও দেখি। এই ব্যাপারগুলো সমাজে প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বড় কথা, আমাদের নিজেদের ওপরও প্রভাব পড়ে। আমরা একজন বন্ধুকে কীভাবে ট্রিট করি, আশপাশের মানুষজনের সঙ্গে কী আচরণ করি, খারাপ পরিস্থিতিতে কীভাবে ট্রিট করি, এই বিষয়গুলো নিজের অজান্তেই হয়তোবা আমাদের মানসিক শক্তিকে শক্ত করে। আমরা বিনোদিত হতেই নাটক, সিনেমা দেখি। আমরা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কোনো কনটেন্ট দেখি না। আমরা তখনই দেখি, যখন আমরা সব ব্যস্ততা শেষে অবসরে থাকি। আমার প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে বিনোদিত করা। তার মধ্যেই আমার সমাজ ও আশপাশের মানুষের জীবনবোধের যে গল্প, সেটাই কিন্তু ব্যাচেলর পয়েন্ট। এটা বন্ধুত্বের গল্প, সামাজিক অনেক পটভূমি এর মাধ্যমে উঠে আসে।
প্রথম আলো :
চাইলে তো অন্য কিছু হতে পারতেন। আপনি যে নির্মাতা হয়েছেন, তাতে আপনার কোন ভাবনা কাজ করেছে?
কাজল আরেফিন : আমি এসএসসি শেষ করার পর অনেক কনটেন্ট দেখতাম। এসব দেখতে দেখতে পরিচালক হওয়ার স্বপ্ন জাগে। সেই স্বপ্ন থেকে চেষ্টা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রম—সবকিছু মিলে আমি আজ এখানে। কাজ করে যাচ্ছি, আরও ভালো কাজ করতে চাই। জীবনে আর কোনো কিছু হতেও চাইনি। মনে হয়েছে, আমি সঠিক পথে আছি। সিনেমাটা বানাতে পারলে স্বপ্নটা পুরোপুরি পূরণ হবে আরকি।