ইরা চরিত্রটি করে উদ্ভট কাণ্ডেরও শিকার হয়েছি

হিন্দি সিনেমা ‘পেরেশান পারিন্দা’ দিয়ে অভিষেক। বাংলাদেশে সাদিয়া নাবিলার প্রথম ছবি মিশন এক্সট্রিম। ছবিটির দ্বিতীয় কিস্তি ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ মুক্তি পেয়েছে ১৩ জানুয়ারি। সানি সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের ছবিটিতে ইরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী এই মডেল–অভিনেত্রী। নতুন সিনেমাসহ নানা প্রসঙ্গে ‘বিনোদন’–এর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

প্রশ্ন :

যে প্রত্যাশা নিয়ে ছবির প্রচার চালিয়েছেন, তুলনায় প্রাপ্তি কতটুকু

প্রত্যাশা যতটুকু ছিল, তার চেয়ে শত গুণ বেশি সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস ছিল, ছবির প্রশংসার পাশাপাশি ‘ইরা’ চরিত্রটি ভালোবাসা পাবে। কিন্তু এত যে ভালোবাসা পাবে, বুঝতে পারিনি।

সাদিয়া নাবিলা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

‘ইরা’ চরিত্রটি দর্শক পছন্দ করেছেন...

হ্যাঁ, এটি আলাদা করে পছন্দ করেছেন। সরকারি সংস্থার সদস্য হয়ে একজন নারী দুর্ধর্ষ সব অভিযানে কাজ করছে, এটি কিন্তু দর্শকের কাছে বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। আমার ফেসবুকে ঢুকে দেখলে সেটি বুঝতে পারবেন। প্রিমিয়ার শোর রাত থেকে এ পর্যন্ত চরিত্রটির এত এত ইতিবাচক পোস্ট, রিভিউ ফেসবুকে পেয়েছি। কয়েক দিন আগে ফজলুর রহমান বাবু ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাকে দেখে বললেন, তোমার অভিনয় দেখে মনে হয় না ‘মিশন এক্সট্রিম’ তোমার প্রথম সিনেমা। এ কথা আমার জন্য বড় পাওয়া। ইরা চরিত্রটি করে দর্শকের উদ্ভট কাণ্ডেরও শিকার হয়েছি।

প্রশ্ন :

কেমন সেটি?

এক নারী ভক্তের কাণ্ড আমার সারা জীবন মনে থাকবে। মেয়েটির নাম সায়মা। মুক্তির প্রথম দিন সিনেমা দেখে বের হয়ে এসে আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আমাদের পুরো টিমকে সে এক রকম পাগল বানিয়ে দিয়েছিল। তারপর আমার সঙ্গে কথা হলো, ছবি তুলল। জড়িয়ে ধরে আর ছাড়ছিলই না। পরদিন আবার সে সিনেমাটি দেখতে এসেছিল। শো শেষে এসে আমাকে একটি হাতঘড়ি পরিয়ে দিল। আমি তো অবাক। শুধু তাই নয়, ২১ ফেব্রুয়ারি আমার জন্মদিন। জানতে পেরেছে ওই সময় আমি দেশে থাকব না। তাই অগ্রিম ব্যাগভর্তি অনেক উপহার পাঠিয়েছে। পাগলা ভক্ত কাকে বলে, কয় প্রকার ও কী কী, সায়মাকে দেখে বুঝলাম।

‘ব্ল্যাক ওয়ার’ ছবিতে সাদিয়া নাবিলা ও আরিফিন শুভ
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

নায়িকা হয়ে আসবেন কবে

এ ছবিতে চাইলেই নায়িকার চরিত্রটি করতে পারতাম। কিন্তু দিন শেষে ছবির চরিত্র আলাদা গুরুত্ব বহন করে। শুটিংয়ের আগে হাতে চিত্রনাট্য ধরিয়ে দিয়ে যদি চরিত্র পছন্দ করতে বলা হতো, বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, ইরাকেই পছন্দ করতাম। সব সময় নায়কের বিপরীতে অভিনয় করলেই যে আমি নায়িকা হয়ে গেলাম, সেটি কোনো অভিধানে লেখা নেই। আমি গল্প ও চরিত্রকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।

প্রশ্ন :

বলিউড দিয়ে যাত্রা। সেখানে আর কাজ করছেন না কেন?

কারণ, ওই কাজটি  হুট করে করা। আমি কিন্তু খুঁজে খুঁজে ওই ছবিতে কাজ করতে যাইনি। ওই কাজই আমাকে খুঁজে নিয়েছে। সুতরাং যেহেতু আমি বাংলাদেশি, তাই বাংলাদেশের ছবিতে কাজের আগ্রহ আমার বেশি।

সাদিয়া নাবিলা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

বলিউডে সুযোগ হলো কীভাবে

২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আমি প্রথম রানারআপ হয়েছিলাম। কিছুদিন পর বলিউডের গ্রিন প্রোডাকশন নামের একটি হাউস আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর কাজটি করা হয়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন দেবেশ প্রতাপ সিং।

সাদিয়া নাবিলা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

অস্ট্রেলিয়ায় কী করেন?

অভিনয় ও মডেলিংয়ের দুটি এজেন্সির সঙ্গে কাজ করি। ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরা থেকে আইটি বিষয়ে লেখাপড়া শেষ করে এ কাজ করছি।