কেমন লাগছিল বুঝে উঠতে পারছিলাম না

ছিলেন রেডিও জকি। এরপর নাটকে অভিনয়। এবার বড় পর্দায় অভিষেক হলো মাইমুনা মমর। গত শুক্রবার মুক্তি পাওয়া জুলফিকার জাহেদির সিনেমা ‘কাগজ’ –এ অভিনয় করেছেন মম। এটি তাঁর শুটিং করা তৃতীয় ছবি হলেও মুক্তি পেল প্রথমে। মুক্তি পাওয়া প্রথম সিনেমা ও নানা প্রসঙ্গে ‘বিনোদন’–এর সঙ্গে কথা বলেছেন এই নবাগত অভিনেত্রী।  

মাইমুনা মম

প্রশ্ন :

প্রেক্ষাগৃহে বসে প্রথম যখন নিজেকে বড় পর্দায় দেখলেন, অনুভূতি কেমন ছিল?

ছবি শুরুই হয় আমার দৃশ্য দিয়ে। প্রথম সংলাপও আমার। যখন সিনেমা শুরু হলো, ওই মুহূর্তে ভয় ভয় লাগছিল। আবার ভালোও লাগছিল এই ভেবে, আমাকে দিয়েই সিনেমা শুরু। তবে পর্দায় প্রথম ঝলক দেখার সময় কিছুটা অনুভূতিহীন ছিলাম। কেমন লাগছিল বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

প্রশ্ন :

মুক্তির আগে বেশ প্রচার চালিয়েছেন। ছবিটি মুক্তির পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন?

প্রথম দিন লায়ন সিনেমাসে সিনেমাটি দেখতে গিয়েছিলাম। সেটি ছিল প্রথম দিনের প্রথম শো। এ কারণে  দর্শক একটু কমই ছিল। ছবিটিতে আমার চরিত্রের নাম শান্তা। চরিত্রের মধ্যে একটু রহস্য আছে। মিলনায়তনে আমার পেছনে বেশ কিছু দর্শক ছিলেন। প্রদর্শনীর সময় আমার চরিত্র নিয়ে তাঁদের আলোচনা করতে শুনেছি। তবে আরও প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। যতটুকু প্রতিক্রিয়া পেয়েছি, ভালো লেগেছে। বড় পর্দার ভয় অনেকখানিই কেটে গেছে।    

প্রশ্ন :

ছিলেন রেডিও জকি, সিনেমায় কীভাবে এলেন?

আগে বেশ কিছু নাটক ও  বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। আমার প্রথম শুটিং করা ছবি আজব কারখানা। এর পরিচালক শবনম ফেরদৌসী আপা আমাকে খুঁজে বের করেন। তিনি আমার ছোট পর্দার কিছু কাজ দেখেছিলেন। একদিন ফোনে জানতে চান, সিনেমা করব কি না। রাজি হলে দেখা করতে বলেন। এরপর গেলাম। ভয়েস ও স্ক্রিন টেস্টে উতরে গেলাম। কাজ শুরু হলো। এভাবেই সিনেমায় আসা।  

মাইমুনা মম

প্রশ্ন :

নাটকে শুরুটা কীভাবে?

তখন রেডিও জকি হিসেবে কাজ করতাম। বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকের ভবনে আমার অফিস ছিল। ভবনে ওঠা-নামা করতে করতে এশিয়াটিকের অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয়। বিজ্ঞাপনের কাজের জন্য ছবিয়াল থেকে একদিন হঠাৎ ফোন। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করবেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তাঁরা যে ধরনের মডেল চাইছিলেন, আমি পাস করে গেলাম। মজার ব্যাপার হলো, ফারুকী ভাইয়ের হাত ধরেই প্রথম বিজ্ঞাপন ও প্রথম অভিনয় আমার। তাঁর আয়েশা টেলিছবিতে প্রথম অভিনয় করেছিলাম।

প্রশ্ন :

মিডিয়ার সঙ্গে কীভাবে নিজেকে যুক্ত করলেন?

২০১৫ সালের কথা। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। ওই সময় পিপলস রেডিও থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরজে হান্ট হয়। আবেদন করি। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে টিকে যাই। এরপর টানা ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ছয় বছর আরজে ছিলাম। সর্বশেষ রেডিও স্বাধীনে কাজ করেছি। বছরখানেক হলো আরজে থেকে বিরতি নিয়েছি। আরজে থাকার সময়েই ফাঁকে ফাঁকে নাটক করেছি।

একটি নাটকের দৃশ্যে ইমন ও মাইমুনা মম

প্রশ্ন :

আরজে নাকি অভিনয়—কোনটি বেশি সহজ আপনার কাছে?

দুটিই সহজ মনে হয়। দুটিই আমার কাছে উপভোগ্য। আমার কথা বলতেও ভালো লাগে, অভিনয়ও। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত বক্তৃতা ও অভিনয়ে বরাবরই প্রথম হতাম। বলতে পারেন ছোটবেলা থেকেই দুই বিষয়েই ভালো লাগার জায়গাটা আছে আমার।