ওটিটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ

এ কে আজাদ, বিনোদন অঙ্গনে তিনি সেতু নামে পরিচিতছবি: সেতুর সৌজন্যে
‘কারাগার’, ‘সদরঘাটের টাইগার ২’ ও ‘জাগো বাহে’ সিরিজে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন এ কে আজাদ। বিনোদন অঙ্গনে তিনি সেতু নামে পরিচিত। এবার ঈদুল আজহায় প্রহেলিকা সিনেমা ও মিশন হান্টডাউন সিরিজে পাওয়া যাবে। গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’
প্রশ্ন:

‘প্রহেলিকা’ ও ‘মিশন হান্টডাউন’-এ কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

দারুণ। প্রহেলিকা দিয়ে চয়নিকাদির (চৌধুরী) সঙ্গে প্রথম কাজ করলাম। সিনেমায় আমার চরিত্রটি কখনো ইতিবাচক, কখনো নেতিবাচক। আমার চরিত্রটি সুযোগসন্ধানী। কখনো খুব ভালো, কখনো ভয়ংকর। মিশন হান্টডাউন খুব যত্ন নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, এতে একটি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছি।

প্রশ্ন:

ওটিটির ‘কারাগার’, ‘সদরঘাটের টাইগার ২’ ও ‘জাগো বাহে’ সিরিজে কাজ করে আলোচিত হয়েছেন। ওটিটির কাজের ধারাটাকে কীভাবে দেখছেন?

ওটিটিতে শিল্পীর অভিনয়ের জায়গাটা আছে। একটি চরিত্র নির্মাণে সময় লাগে। ওটিটি ও সিনেমায় সময় নিয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে। টিভিতে খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে কাজ করতে হয়। কাউকে দোষারোপ করছি না। তাড়াহুড়ার মধ্যে পরিচালক ও শিল্পী—কারও পক্ষেই কোনো চরিত্রে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ থাকে না। ওটিটিতে সেই সুযোগ পাওয়া যায়। এখানে একটি চরিত্র নিয়ে স্টাডি হচ্ছে, মহড়া হচ্ছে। একটি চরিত্র কী ধরনের পোশাক পরবে, সেটা অনেক আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই পোশাক নিজের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় পাচ্ছি। চরিত্রের শেড নিয়ে কাজ করার জায়গা থাকে। আমরা যারা ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, তাদের জন্য বিশাল জায়গা খুলে দিয়েছে। ওটিটিতে কোনো মূল চরিত্র ছাড়াও চারপাশের চরিত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একটি দৃশ্যের চরিত্রেও কেউ ভালো করলে দর্শকের নজরে পড়েন। সেই দিক থেকে বলতে গেলে, ওটিটি আমাদের মতো ক্যারেক্টার আর্টিস্টের জন্য আশীর্বাদ।

এ কে আজাদ, বিনোদন অঙ্গনে তিনি সেতু নামে পরিচিত
ছবি: সেতুর সৌজন্যে
প্রশ্ন:

এখন তাহলে ওটিটিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন?

আমি ওইভাবে বাছবিচার করি না। আমি এখন সেতু আরিফের একটি নাটকের সেটে আছি, বাগেরহাটে। আমার কাছে চরিত্রটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ১টি দৃশ্যে হোক কিংবা ১০টি দৃশ্যেই হোক।

প্রশ্ন:

মুক্তির অপেক্ষায় আপনার কী কী কাজ রয়েছে?

তিন-চারটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে বদরুল আনাম সৌদের শ্যামা কাব্য, শহীদ রায়হানের মনোলোক ও সাজ্জাদ খানের কাঠগোলাপ আছে।

প্রশ্ন:

আর মঞ্চ?

বছরের শেষে কিংবা পরের বছর পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন:

টিভি, সিনেমা ও ওটিটিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠার পর শিল্পীদের আর মঞ্চে দেখা যায় না।

এটা আমার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করেনি। সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটারে আমরা একটি মঞ্চনাটকের জন্য সর্বোচ্চ এক মাস কাজ করি। সারা বছর ধরে আলাদাভাবে মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে এক মাসে কাজ করাটাই ভালো।

এ কে আজাদ, বিনোদন অঙ্গনে তিনি সেতু নামে পরিচিত
ছবি: সেতুর সৌজন্যে
প্রশ্ন:

টিভি নাটক, সিনেমা থেকে মঞ্চ—এক চরিত্র থেকে বেরিয়ে আরেক চরিত্র ধারণ করেন কীভাবে?

এটা দীর্ঘদিনের অভ্যাস থেকে করি। পরিচালক আমার চরিত্রটাকে যেভাবে ধারণ করতে বলেন, সেভাবেই কাজ করি। আগে যে চরিত্রে কাজ করেছি, সেটার জন্য আবেগ-অনুভূতি কাজ করে না।

প্রশ্ন:

আপনার তো মঞ্চনাটক দিয়ে শুরু, টিভিতে এলেন কী করে?

২০০৯ সালের প্রথম দিকে আলভী আহমেদের টিভি নাটকে প্রথমবার কাজ করি। পরে মেজবাউর রহমান সুমনের সুপারম্যান নাটকে কাজ করি, এটি আমার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এরপরই মূলত অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার চিন্তা করেছি। মাসুদ মহিউদ্দিন, তুহিন হোসেন, কৌশিক শংকর দাশ—প্রত্যেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। এই মানুষগুলো না থাকলে আমার টিকে থাকা কষ্টকর হতো।

আরও পড়ুন