‘ক্ষতিপূরণ’-এ কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
মালাইকা চৌধুরী : নতুন একটা চরিত্র করেছি। আমার প্রথম নাটকে (‘সন্ধিক্ষণ’) এক শিক্ষার্থীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেই তুলনায় এই চরিত্রটা একদম আলাদা। চরিত্রটা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। নাটকটিতে যুক্ত হওয়ার কথা যদি বলি, (মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল) রাজ ভাই গল্পটা লেখার সময়ই ভেবেছিলেন, চরিত্রটাতে আমাকে নেওয়া যায়। আমারও নিয়মিত কাজের ইচ্ছা ছিল। সব মিলিয়ে কাজটা করেছি।
প্রথম আলো :
নাটকে আপনার সহশিল্পী ইয়াশ রোহান, তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
মালাইকা চৌধুরী : ভাইয়া তো অনেক সিনিয়র অ্যাক্টর (অভিনেতা)। ভাইয়া অনেক পরিশ্রমী, কাজের ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। বিশেষ করে চিত্রনাট্য পড়ার সময় যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। আমাকে অনেক মোটিভেশন দিয়েছেন।
অভিনয়ে কাকে আদর্শ মানেন?
মালাইকা চৌধুরী : আপু (মেহজাবীন চৌধুরী) আমার আইডল। আপুকে ছোটবেলা থেকে অভিনয়ে দেখেছি। আপু অনেক পরিশ্রমী একজন অভিনেত্রী। আপু আমাকে অনেক সাপোর্ট (সমর্থন) করেন। আমার পুরো পরিবার আমাকে সাপোর্ট করে। আমি আমার মতো করে সময় নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি।
প্রথম আলো :
বলা হয়ে থাকে, আপনার চেহারার সঙ্গে মেহজাবীন চৌধুরীর অবিকল মিল আছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে এটা কি কখনো চ্যালেঞ্জে ফেলে?
মালাইকা চৌধুরী : এটাকে কখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখিনি। আপু আপুর জায়গায়, আমি আমার জায়গায়। আমি মাত্রই ইন্ডাস্টিতে এসেছি। আমি আমার মতো করে কাজ করতে চাই। আপু অনেক দিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। আমাদের মধ্যে মিল আছে কারণ আমরা দুজন বোন, এখানে তুলনার কিছু নেই। আমি আমার মতো করে কাজ করে আমার জায়গা তৈরি করতে চাই।
রোমান্টিক নাকি বৈচিত্র্যময় চরিত্র, কোন ধরনের কাজে আগ্রহ বেশি?
মালাইকা চৌধুরী : আপাতত রোমান্টিক চরিত্রই করার ইচ্ছা। রোমান্টিক কাজ আমার ভালো লাগে। যদি ভালো চিত্রনাট্য পাই, বৈচিত্র্যময় চরিত্রও চেষ্টা করতে চাই।
প্রথম আলো :
অভিনয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
মালাইকা চৌধুরী : নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছা আছে। কাজের প্রতি আগ্রহটা দিন দিন বাড়ছে। যদি ভালো গল্প ও ভালো চরিত্র পাই, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একটু গ্যাপ নিয়ে কাজ করি। এখনো পড়াশোনা করছি, এখনই খুব বেশি বেশি কাজ করতে পারব না।
অভিনয়ে এলেন কীভাবে?
মালাইকা চৌধুরী : ছোটবেলা থেকে আপুকে অভিনয়ে দেখছি। ২০০৯ সালে আপু ক্যারিয়ার শুরু করেন। তখন আমি খুবই ছোট, ছয়–সাত বছর বয়স। আমার সেভাবে মনেও নেই। তখন থেকে আপুকে পর্দায় দেখি, আমার খুবই ভালো লাগে। এভাবেই আগ্রহটা বাড়ে। আমি পড়াশোনা নিয়ে ফোকাসড ছিলাম। ভেবেছিলাম, এ লেভেলটা শেষ করে আমিও কাজ শুরু করব। এ লেভেল শেষ হওয়ার পরে টিভিসি দিয়ে কাজ শুরু করি। ২০২৩ সালের শেষ দিকে টিভিসিটা করেছি। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে টিভিসিটা রিলিজ হয়। আমার প্রথম নাটক সন্ধিক্ষণ গত বছরের ডিসেম্বরে রিলিজ হয়েছে।
আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও পড়াশোনা কোথায়?
মালাইকা চৌধুরী : আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা—দুটোই ওমানে। ওমানে পড়াশোনা শুরু করেছিলাম। পরে বাংলাদেশে এসেছি। এ লেভেল, ও লেভেল শেষ করে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি।