‘করতে পারব, বুঝেশুনে এমন কাজগুলোই হাতে নিচ্ছি’
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে নাটক ‘মাই ডিয়ার লিডার’। মিফতা আনান পরিচালিত এই নাটকে মুশফিক ফারহানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নাজনীন নীহা। নাটকটি এখন বাংলাদেশ থেকে ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে আছে। অভিনয়সহ নানা প্রসঙ্গে নীহার সঙ্গে কথা বলল বিনোদন।
প্রশ্ন :
নাটকটি থেকে সাড়া কেমন?
খুবই ভালো। নাটকে কাজ শুরু করার পর এটি আমার প্রচারিত হওয়া চার নম্বর নাটক। প্রথম নাটক ‘লাভ সেমিস্টার’–এর পর এই নাটক নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। গত দুই দিনে দর্শক ভিউ পঞ্চাশ লাখের কাছাকাছি চলে গেছে। কোনো উৎসবের সময় না হয়েও নাটকটির এত সাড়া, চাট্টিখানি কথা নয়। তবে এটি আমার একার কিছু নয়, পরিচালকসহ টিমের সবারই অর্জন এই সফলতা।
প্রশ্ন :
এই নাটকে আপনার চরিত্রটি কেমন?
নাটকে আমি চঞ্চল মেয়ে। যেকোনো ছেলেকে দেখলেই প্রেমে পড়ে। আমার বাস্তব জীবনের বিপরীত একটি চরিত্র। চরিত্রটি তুলে আনতে পারব কি না, প্রথমে ভয়ই পাচ্ছিলাম। কাজটি শুরু করার পর চরিত্রটি তুলে আনা আমার জন্য কঠিন ছিল। তবে চেষ্টা করেছি, শেষমেশ দর্শক গ্রহণ করেছেন, পছন্দ করছেন। নাটকটি দেখার পর আমার নিজেরও পছন্দ হয়েছে। বড় কথা, ফারহান ভাইয়ের একটা বড় ভক্তগোষ্ঠী আছে। ফলে নাটকটি দ্রুতই সাড়া পেয়েছে।
প্রশ্ন :
এ পর্যন্ত জোভান, তৌসিফ মাহবুব ও মুশফিক ফারহানের বিপরীতে কাজ করেছেন। কার সঙ্গে কাজ বেশি সহজ মনে হয়েছে?
সহশিল্পী হিসেবে তিনজনের সঙ্গেই কাজ সহজ মনে হয়। তাঁরা সবাই-ই নতুন হিসেবে আমাকে সেটে সংলাপ বলা থেকে শুরু করে চরিত্র তুলে আনতে সহযোগিতা করেন। আমার প্রথম কাজ জোভান ভাইয়ের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে আরও দুটি কাজ করেছি। ফলে তাঁর সঙ্গে বোঝাপড়ার জায়গাটা একটু বেশি। এ কারণে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে গেলে অসুবিধা হয় না। শুটিংয়ে ভুল করলেও ভয় লাগে না।
প্রশ্ন :
প্রথম নাটকেই আলোচনায় আসা। এরপর ছয় মাস পার হয়ে গেছে। ব্যস্ততা কেমন বেড়েছে?
মাত্র ছয়টি নাটকে কাজ করেছি। প্রথম নাটক আলোচনায় আসার পর থেকে অনেক কাজের প্রস্তাব এসেছে, সব করিনি। একটু বুঝে কাজ করতে চাচ্ছি। আমি অভিনয় শিখে আসিনি। কাজ করলাম কিন্তু দর্শক গ্রহণ করলেন না; হাসির পাত্র হলাম। এখন অভিনয় শিখছি। তাই করতে পারব, এমন কাজগুলোই বুঝেশুনে হাতে নিচ্ছি। আশা করছি, সামনের বছর থেকে বেশি কাজ করতে পারব। তত দিনে অনেক নাটকে কাজ করা হয়ে যাবে এবং শেখা আর জানার জায়গাটাও শক্ত হবে।
প্রশ্ন :
এখনই নাকি সিনেমার প্রস্তাব পাচ্ছেন!
সেটা আমি নাটক শুরুর আগে থেকেই পেয়েছি, এখনো পাচ্ছি। সিনেমা অনেক বড় জায়গা। অনেকেরই সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু সিনেমা এখন করব না। আপাতত নাটক করছি, জায়গাটা আগে পাকাপোক্ত হোক। এরপর যদি সিনেমা করতে হয়, তখন দেখা যাবে, আপাতত নয়। তবে নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
প্রশ্ন :
কার অভিনয় দেখে অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল?
মেহজাবীন আপার অভিনয় আমাকে অভিনয়ে আসতে কিছুটা প্রভাবিত করেছে। নাটকে আসার আগে থেকেই আমি মেহজাবীন আপার অভিনয়ের ভক্ত। তাঁর অভিনীত প্রচুর নাটক দেখেছি সে সময়। তাঁর অভিনীত বড় ছেলে দেখে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। আগে তাঁর নাটক দেখতাম আর নিজের জীবনকে মিলিয়ে ফেলতাম। মন খারাপ করতাম, কাঁদতাম।
প্রশ্ন :
এই মুহূর্তে কী কী কাজ আছে হাতে?
এরই মধ্যে ‘হৃদয়ে হৃদয়’ ও ‘একবার বলো ভালোবাসি’ নামে দুটি নাটকের শুটিং শেষ হয়েছে। আরেকটি নাটকের শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। আপাতত এসব কাজই করছি।