ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সহজ নয়

২০২১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে যুগ্মভাবে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন তাসনোভা তামান্না; নোনাজলের কাব্য সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের পুরস্কারটি পাচ্ছেন তিনি। পুরস্কারসহ নানা বিষয়ে ‘বিনোদন’-এর সঙ্গে কথা বললেন তিনি।

প্রশ্ন :

অভিনন্দন। পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।

আমি খুবই খুশি। এই রাষ্ট্রীয় সম্মান সামনের পথচলা আরও সহজ করবে।

তাসনোভা তামান্না

প্রশ্ন :

‘নোনাজলের কাব্য’-তে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

ছবিতে ছয়-সাতজন শিল্পী ছাড়া বাকিরা পটুয়াখালীর স্থানীয় শিল্পী। আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। চরিত্রটি ধারণ করা আমার জন্য ছিল বেশ চ্যালেঞ্জের। চরিত্রের কতটা কাছাকাছি যেতে পারব, সেটা নিয়ে ভাবতে হয়েছে। দর্শকেরা যদি মনে করে কাছাকাছি হলেও যেতে পেরেছি, তাহলে নিজেকে সার্থক মনে করব।

প্রশ্ন :

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে একটি মঞ্চনাটকে দেখা গেছে আপনাকে। মঞ্চে এলেন কেন?

বাকার বকুলের নির্দেশনায় ‘আদম সুরত’ নাটকে অভিনয় করেছি। আমি থিয়েটার থেকে আসিনি। মঞ্চে কাজের ইচ্ছা ছিল, চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কতটুকু ভালো করতে পেরেছি জানি না, সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি।

‘নোনাজলের কাব্য’ ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিতাস জিয়া ও তাসনোভা তামান্না
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

মঞ্চে নিয়মিত পাওয়া যাবে?

সিনেমা আমার প্রথম ভালোবাসা। সময় বের করতে পারলে অবশ্যই মঞ্চে কাজ করব। তবে সিনেমার কাজকেই অগ্রাধিকার দেব।

প্রশ্ন :

মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র জন্য মেরিল সমালোচক পুরস্কার, দ্বিতীয়টি ‘নোনাজলের কাব্য’-এর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন। সামনে কী আশা করছেন?

শিল্পী হিসেবে যখন কাজ করি, এত কিছু মাথায় থাকে না। কীভাবে নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হয়। ফলে এমন স্বীকৃতি পেলে খুশি লাগে।

তাসনোভা তামান্না

প্রশ্ন :

আপনার প্রথম সিনেমা ‘নৃ’ এখনো মুক্তি পায়নি। সিনেমাটি এখন কী অবস্থায় আছে?

‘নৃ’ পোস্টপ্রোডাকশনের কাজ শুরু হওয়ার আগেই ২০১৭ সালে নির্মাতা রাসেল আহমেদ ভাই মারা যান, আমরাও কাজটি নিয়ে এগোতে পারিনি। একজন পরিচালক নিজের কল্পনা দিয়ে ছবি এঁকে গেছেন, সেখানে হাত দেওয়া খুব দুরূহ ব্যাপার। যদি কখনো মনে হয় কাজটি শেষ করতে পারব, তখন করা যেতে পারে।

তাসনোভা তামান্না

প্রশ্ন :

এখন আপনার হাতে কী কাজ আছে?

ছয়-সাত মাস ধরে ‘আদম সুরত’ নিয়ে ছিলাম। এর মধ্যে একটি সিনেমায় কাজ করার কথা রয়েছে, তবে এখনো জানাতে পারছি না। শুরু হলেই জানাব।

প্রশ্ন :

সামনে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

দীর্ঘ সময় অভিনয় করে যেতে চাই। যদি ভাগ্য সহায় হয়, তাহলে পারব। ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সহজ নয়। ৬০ বছর বয়সেও অভিনয়টা করে যেতে চাই। এটা নিয়ে আপাতত ভাবছি; জানি না, জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রেখেছিলেন তরুণ অভিনেত্রী তাসনোভা তামান্না
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

অভিনয়ে এলেন কীভাবে?

২০০৯ সালের শেষ দিকে পরিচালক ইসরার আহমেদ ভাইয়ের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করি। এরপর বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যে কাজ করেছি। ২০১২ সালে রাসেল আহমেদের ‘নৃ’–তে যুক্ত হই।