এত দিন আপনি কোথায় ছিলেন?
সায়রা আকতার জাহান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর পরিবারের চাওয়া ছিল, আমি চাকরি করি। আমি অনেক দিন শোবিজে কাজ করেছিলাম। মধ্যে সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে যোগ দিই। চাকরির জন্য অভিনয়ে নিয়মিত হতে পারিনি, করোনাভাইরাসের কারণেও কাজ কম হচ্ছিল। এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভালো কাজ হচ্ছে, দর্শকেরা সাবস্ক্রাইব করে কনটেন্ট দেখছেন। বাংলা সিনেমা দেখতে হলেও যাচ্ছেন। রোমান্টিক জনরার বাইরে সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার জনরার কাজ হচ্ছে। আমার অফিসের সহকর্মী, বন্ধু, ফ্যানসহ সবাই বলছিলেন, এটাই কাজে ফেরার সঠিক সময়। আমারও মনে হয়েছে, আবার ফেরা উচিত। সেই ভাবনা থেকেই ‘ক্লোজআপ কাছের আসার গল্প’-এ লেগুনা ও ভিকি জাহেদ ভাইয়ের আরারাত ওয়েব সিরিজে কাজ করলাম। লেগুনাতে আমাকে মফস্সলের মেয়ের চরিত্রে দেখা গেছে। আবার আরারাত-এ দেখা গেছে একদম অন্য রকম চরিত্রে।
‘আরারাত’-এ আপনাকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে; এমন চরিত্রে আগে আপনাকে পাওয়া যায়নি।
সায়রা আকতার জাহান: আগে সবাই আমাকে সব সময় নরমাল লুকে দেখেছেন। এই চরিত্রটা আলাদা। কাজটি করব নাকি করব না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। ভিকি ভাই বলেছিলেন, ‘কাজটা করতে পারো।’ আমি এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে কাজটা করেছি। কিছু দৃশ্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কাজটি খুবই উপভোগ করেছি। কারণ, আমি এ ধরনের গল্প পছন্দ করি।
এবার থেকে নিয়মিত হবেন?
সায়রা আকতার জাহান: অবশ্যই। আমি নতুনভাবে আসতে চেয়েছি। এখন থেকে নিয়মিতই কাজের ইচ্ছা আছে। দেশে ভালো নির্মাতা, প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের কাজে আগে এতটা বৈচিত্র্য ছিল না। এখন অনেক ধরনের কাজ হচ্ছে। সত্যি বলতে, একজন ভালো ডিরেক্টর একজন অ্যাক্টর থেকে বিভিন্ন চরিত্র বের করে নিয়ে আসতে পারেন।
আপনি সিনেমাও করেছেন, নির্মাতা প্রসূন রহমানের ‘জন্মভূমি’ সিনেমায় পাওয়া গেছে। কী ধরনের সিনেমা করতে চান?
সায়রা আকতার জাহান: অনেক জনরা আছে। তার মধ্যে রোমান্টিক, অ্যাকশন, সায়েন্স ফিকশন, ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা আমার খুব পছন্দ। আমার মনে হয়, দিন শেষে মানুষ গল্প মনে রাখেন। ভালো গল্পে অভিনয়টা ভালো করলে সেটা দর্শকেরা মনে রাখবেন। দর্শকেরা এখন ভিন্নধর্মী গল্প পছন্দ করেন আর আমার দর্শকদের সঙ্গে কানেক্ট হতে পারাটা ইমপর্ট্যান্ট।
প্রথম আলো :
সামনে কী করছেন?
সায়রা আকতার জাহান: কথাবার্তা চলছে। ভালো কিছুর জন্য একটু অপেক্ষা করি।