রোশনী মাত্র ৩ মিনিট পর্দায় ছিল...

দুই বছর বিরতির পর নাটকে ফিরেছেন সারিকা সাবাহ্। জাহিদ প্রীতমের ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’ নাটকে ছোট এক চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। গত মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন মকফুল হোসেন

প্রথম আলো:

দুই বছর আপনাকে নাটকে দেখা যায়নি কেন?

সারিকা সাবাহ্: আমি যখন ফ্যামিলি ক্রাইসিস করেছি, তখন পরিবারনির্ভর গল্প খুব বেশি ছিল না। পরে সিঙ্গেল (একক) নাটক শুরু করে দেখলাম, একই ধরনের চরিত্র ও গল্পের প্রস্তাব পাচ্ছি। তখন মনে হলো, ভালো চরিত্র ও গল্প না পেলে কাজ করব না। পাশাপাশি নিজের গ্রুমিংয়েরও দরকার ছিল, অ্যাক্টিং (অভিনয়) নিয়ে আরও কাজ করার দরকার ছিল। সে কারণেই আসলে গ্যাপ (বিরতি) নিয়েছিলাম।

নাটক থেকে দুই বছর বিরতি নিয়েছিলেন সারিকা সাবাহ্
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

এর মধ্যে ওজনও কমিয়েছেন...

সারিকা সাবাহ্: নিয়মিত কাজ করার সময় মনে হয়েছিল, সব চরিত্রে আমাকে পারফেক্ট লাগে না। মনে হতো, একটা সুইট গার্ল, দেখতে ভালো লাগছে—চাইলেই এই চরিত্র করতে পারব না। সেটা ভাঙারও দরকার ছিল। ওজন বেশি থাকলে হেলথে বিভিন্ন কমপ্লিকেশন (জটিলতা) থাকে। এ জন্য নিজের গ্রুমিং করেছি। আবার বাসায় একটু রেস্টেরও (বিশ্রাম) দরকার ছিল, ভালো কাজের জন্য ওয়েট (অপেক্ষা) করেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়েছে, ওয়েটটা (ওজন) কমালে আমি আরেকটু কনফিডেন্স (আত্মবিশ্বাস) পাব। কাজে ফোকাস (মনোযোগ) করতে পারব।

আরও পড়ুন
বিরতির মধ্যে ওজন কমিয়েছেন সারিকা সাবাহ্
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

দুই বছরে বেশ কয়েকটি চরিত্র ফিরিয়েছেন, রোশনী চরিত্রটা কেন করলেন?

সারিকা সাবাহ্: মেরিল-প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে জাহিদ প্রীতম ভাইয়া বলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে নিয়ে একটা কাজ করতে চাই।’ পুরো গল্প শুনে আমার মনে হয়েছে, গল্পটা মানুষের দেখা উচিত। রোশনী চরিত্রটা মাত্র তিন মিনিট পর্দায় ছিল। খুবই কম সময়। ছোট চরিত্রেও যদি মানুষের মধ্যে ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) তৈরি করতে পারি, সেটা আমি করতে চাই। আমি ভালো গল্পের সঙ্গে থাকতে চাই। এটি (এমন দিনে তারে বলা যায়) খুবই সুন্দর একটা গল্প।

‘এমন দিনে তারে বলা যায়’ নাটকে রোশনী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সারিকা সাবাহ্
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

মাত্র তিন মিনিট—কেউ কেউ এত ছোট চরিত্র করতে চান না...

সারিকা সাবাহ্: তিন মিনিটের মধ্যে দর্শকের মাথায় চরিত্রটা ঢুকিয়ে দেওয়া অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। ক্রেডিটটা (কৃতিত্ব) জাহিদ প্রীতম ভাইয়ার। আর রোশনী চরিত্রটাই এ রকম। আত্মবিশ্বাস ছিল, রোশনী কিছু একটা করবে। আমার মনে হয়েছিল, আমি তো এ ধরনেরই একটা চরিত্র। চরিত্রটা করতে পারব, এই আত্মবিশ্বাস ছিল। বাকিটা দর্শক গ্রহণ করেছে।

সারিকা সাবাহ্
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

এর মধ্যে কী কী সিনেমা, সিরিজ দেখলেন?

সারিকা সাবাহ্: আমি এখন নিয়মিত কোরিয়ান ড্রামা দেখি। কোরিয়ান ড্রামাগুলো ফিল গুড ও পজিটিভ একটা ভাইব দেয়। থ্রিলার জনরাও আমার অনেক পছন্দ, প্রায়ই থ্রিলার দেখি। নেটফ্লিক্সে যেটা নতুন আসে, প্রায় সবই দেখি। বাংলাদেশের বেশির ভাগ কনটেন্ট দেখি। উৎসব দেখেছি, ভালো লেগেছে। নাটকের শিল্পীরা সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন। এখন ভালো ভালো সিনেমা হচ্ছে।

সারিকা সাবাহ্
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

আপনি কী ধরনের কাজ করতে চান?

সারিকা সাবাহ্: আমি অভিনয়টাই করতে চাই। সেটা যেকোনো মাধ্যমে হতে পারে; সিনেমা, সিরিজ কিংবা নাটক হতে পারে। এমন দিনে তারে বলা যায় মুক্তির পর ভালো কিছু গল্প পেয়েছি। হয়তো ফিকশনই করব। এর মধ্যে ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’-এর একটি কাজ করেছি। সামনে মুক্তি পাবে।

সারিকা সাবাহ্
শিল্পীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে বিয়ের পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, সেটা কত দূর গড়াল?

সারিকা সাবাহ্: আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। পারফেক্ট মানুষ পেলে অবশ্যই বিয়ে করব। আপাতত এ বছর কিংবা পরের বছর কোনো পরিকল্পনা নেই। একটু গুছিয়ে নিয়ে হয়তো বিয়ের একটা পরিকল্পনা করব।