সালমা বললেন, ‘বাড়ির মেয়ে ঘরে ফিরেছি’

৯ বছর পর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহর আখড়াবাড়ির মূলমঞ্চে গান করলেন সালমা। লালন শাহর তিরোধান দিবসের আয়োজনে গত শনিবার রাতে তিনি পরিবেশন করেন ‘মিলন হবে কত দিনে’সহ লালনের চারটি গান। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন তৌহিদী হাসান

প্রথম আলো:

অনেক দিন পর আখড়াবাড়িতে গান করলেন।

অনেক ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে, বাড়ির মেয়ে ঘরে ফিরেছি। সব মিলিয়ে ৯ বছর পর গান করলাম!

প্রথম আলো:

কেমন সাড়া পেলেন?

সবাই জানত আমি আসছি, লালন একাডেমি আগেই জানিয়েছিল। এবার দর্শকের ভিড় ছিল অসাধারণ। নিজের এলাকার মানুষ যখন এভাবে ভালোবাসা দেখায়, সেটা অন্য রকম এক অনুভূতি।

গায়িকা সালমা। ছবি: ফেসবুক থেকে

প্রথম আলো :

পুরোনো কারও সঙ্গে দেখা হলো, গুরু বা সহশিল্পী?

হ্যাঁ, গুরুভাইদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। গুরুজি বাউল শফি মণ্ডলের দুই শিষ্য তফি ভাই আর শাহাবুদ্দীন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর আগে থেকে কাজ করছি। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল, যেন আবার সেই ছোটবেলায় ফিরে গেছি। কত স্মৃতি আমাদের!

প্রথম আলো:

মঞ্চে বলছিলেন, যেখানেই গান করেন, মৌলিক গানের পাশাপাশি লালনের গান করেনই...

আমি কুষ্টিয়ার মেয়ে, তাই এটা আমার দায়বদ্ধতা। ছোটবেলা থেকেই মানুষ আমাকে ‘লালনকন্যা’ বলে ডাকে। আমি নিজে বলি না, মানুষই বলে। জানি না লালন সাঁইজির ‘নাতিপুতি’ হওয়ার যোগ্য কি না। আমি মনে করি, ফরিদা পারভীনই ছিলেন লালন ফকিরের আসল কন্যা। তিনি সাঁইজির বাণীকে এক জীবনের সাধনায় ধারণ করেছেন। তাঁর অবদান অপরিসীম। যত দিন লালনের বাণী থাকবে, ফরিদা পারভীন ম্যাডামও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

মঞ্চে গায়িকা সালমা। ছবি: ফেসবুক থেকে
প্রথম আলো:

ভবিষ্যতে ছেঁউড়িয়ার আয়োজনে আপনাকে দেখা যাবে?

অবশ্যই। শুধু লালন উৎসব নয়, কুষ্টিয়াবাসীর যেকোনো অনুষ্ঠানে ডাক পেলে আসতে চাই। তবে আমি চাই, আয়োজকেরা যেন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়, তখন বাজেট নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝি হয়। এলাকার বাইরে একজন প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে অনুষ্ঠান করে যে টাকাটা ইনকাম করি, তৃতীয় পক্ষ কিন্তু সেই বাজেটটা বলেন। তখন কিন্তু রাগ–অভিমান করে এলাকার আয়োজকেরা আমাকে ফোন করা বন্ধ করে দেন। আমি চাই, তাঁরা সরাসরি আমার সঙ্গে কথা বলুন, জানুন আমি কেমন আছি, কী ভাবছি।