আমি তো হাওয়া হয়ে যাইনি

নতুন সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। শাহীন আখতারের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘সখী রঙ্গমালা’য় অভিনয় করছেন তিনি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন এন রাশেদ চৌধুরী। এ সিনেমার প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন নাজমুল হক।

প্রথম আলো :

আঠারো শতকের এই চরিত্রের জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?

নাজিফা তুষি: প্রত্যেক শিল্পীর ক্ষেত্রে প্রস্তুতির ব্যাপারটা একদম আলাদা। আমার ক্ষেত্রে প্রস্তুতি মানে এমন না যে কয়েকটা সিনেমা দেখলাম, চরিত্র অনুযায়ী রিহার্সাল করলাম। আমার ভেতরে একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতি কাজ করে। ২০০ বছর আগের পটভূমিতে ‘সখী রঙ্গমালা’ লেখা হয়েছে, এর প্রস্তুতি কিন্তু অন্য কাজের মতো নয়। এই প্রথম এতটা প্রাচীন আর ভিন্নমাত্রার কোনো চরিত্রে কাজ করছি। নিজের ভেতরে অনেক চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি। শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। আর যেকোনো কাজ দেখে কিন্তু বোঝা যায়, প্রস্তুতি কতটা ছিল। তাই ভালো একটা প্রস্তুতি অবশ্যই জরুরি। বাকিটা পুরো কাজ শেষ হলেই বলতে পারব।

নাজিফা তুষি
ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

নোয়াখালীর জমিদার পরিবার ঘিরে গল্প, আপনিও নোয়াখালীর মানুষ; এই যোগসূত্র কতটা কাজে দিয়েছে?

নাজিফা তুষি: এই কাজের প্রতি টানটা এখান থেকেই। কাজটা আমার কাছে একধরনের সাধনার মতো, অভিনয়ের বাইরেও একটা আত্মিক চর্চা মনে হয়েছে। যাঁরা শাহীন আখতারের উপন্যাসটি পড়েছেন, তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারবেন। সব ছবি যে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে প্রতিটি গল্প আর চরিত্রের নিজস্ব স্পন্দন থাকে। মনে করছি, কাজটি আমার ক্যারিয়ারে একটা পালক যোগ করবে। আর বলতে গেলে, নোয়াখালীতে আমার থাকা হয়নি। আমার তিন-চার পুরুষ চট্টগ্রামের। কাজটির মাধ্যমে দুটি এলাকার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। এই কাজের বিশেষ সুবিধা হলো, নিজের অঞ্চলের ভাষা ও মাটির ঘ্রাণকে খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পারছি, যা আমাকে আবেগতাড়িত করেছে।

নাজিফা তুষি
ছবি: শিল্পীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

‘হাওয়া’র পর হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন কেন?

নাজিফা তুষি: আমি কিন্তু কাজ করে গেছি। ‘হাওয়া’র পর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজ ও মেজবাউর রহমান সুমনের ‘রইদ’ সিনেমা শেষ করেছি। এখনো একটি সিনেমার শুটিং করছি। আরও কিছু কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। আমি তো হাওয়া হয়ে যাইনি! আমি পারফরমার, আমার কাজ তো আমি করে যাচ্ছি। এখন প্রযোজকেরা যদি সেগুলো মুক্তি না দেন, তাহলে তো এখানে আমার কিছুই করার নেই। নিজেকে পর্দায় দেখতে কে না চায়।

প্রথম আলো :

জীবনে প্রেমকে কীভাবে দেখেন?

নাজিফা তুষি: প্রেম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনের মতো সঙ্গী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। প্রেম না থাকলে জীবনে উদ্দীপনা পাওয়া যায় না, আমি অন্তত পাই না। আমি সব সময় প্রেমেই থাকি। এটা মানবপ্রেম হোক, কিংবা পশুপাখি থেকে প্রকৃতি।

প্রথম আলো :

প্রেমের টানেই কী প্রকৃতির কাছে ছুটে বেড়ান?

নাজিফা তুষি: আমি ঘুরতে ভালোবাসি। তবে গত দুই বছর কাজের চাপে দেশের বাইরে যেতে পারিনি। দেশের আনাচকানাচে ঘোরা হয়েছে। গত মাসেই দুবার কক্সবাজার গিয়েছি। প্রকৃতি টনিক হিসেবে কাজ করে।