প্রথম আলো :
বছরের শুরুতেই ‘আফসোস’, ‘ভালোবাসা ৫ টন’, ‘তোমারই সাথে’সহ বেশ কিছু কাজ মুক্তি পেয়েছে। সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছে ‘১০০ বিঘা ফুল বাগান’। পরপর এতগুলো কাজ...
গত বছরের শেষের দিকে আমার তেমন কোনো কাজ আসেনি। একটা ফিল্মের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তখন শুটিং করা কিছু কাজ চলতি বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে, এটা আগেই জানতাম। যে কারণে সংখ্যা বেশি মনে হতে পারে। তবে কাজগুলো আমার পছন্দের। দর্শক কাজগুলো ভালোভাবে নিয়েছে। এর মধ্যে শাস্তি কাজটির কথাও বলব। আজ (গতকাল) যেটা মুক্তি পাবে, সেটাও দর্শকদের ভালো লাগবে।
প্রথম আলো :
‘আফসোস’ নাটকের গল্পে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঙ্গে একধরনের যোগসূত্র রয়েছে। বাস্তবেও পড়াশোনার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুটিংয়ের সময় ঘটনাগুলো কতটা স্মৃতিকাতর করেছিল?
নাটকটিতে টিএসসি আছে, স্মৃতিকাতর হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। যখন ছাত্র ছিলাম, তখন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্তি ছিলাম; আবৃত্তি করতাম। শুটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল, আবার ছাত্রজীবনে ফিরে গেছি। গল্পটা আসলে আমারই বলা যায়। নিজেকেই নিজে পর্দায় তুলে ধরেছি।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুটিংয়ের সময় এক নারী আপনাকে ‘ক্রাশ’ বলেছিলেন। ভক্তদের নিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন?
দারুণ অভিজ্ঞতা। কয় দিন আগে মধুপুরে শুটিং করছি। এর মধ্যে এক ভক্ত জানালেন, ঢাকার শ্যামলী থেকে তিনি এসেছেন ছবি তুলতে। নারায়ণগঞ্জে কাজ করছিলাম। একটি দৃশ্য ছিল শার্ট ময়লা করার। আমি বলছিলাম, এটা ময়লা না করি, অন্যটা করি। এমন সময় এক ভক্ত এসে বললেন, ভাইয়ের শার্ট ময়লা করতে হবে না, আমার শার্ট ময়লা করেন। সে নিজেই শার্টে ধুলাবালু মাখিয়ে দিচ্ছে। ভক্তদের এই ব্যাপারগুলো ভালো লাগে।
প্রথম আলো :
দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ নাটক প্রচার ছাড়াই মুক্তি পাচ্ছে। অনেক শিল্পীও জানেন না তাঁর নাটক প্রচারিত হচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
দেখা যায়, দুই দিন হাতে রেখে রিলিজ দিচ্ছে। এই সময়ে একটা পোস্টার, ট্রেলার দিয়ে যথাযথ প্রচার হয় না। সেটা খুব বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছায় না। সাত দিন সময় থাকলে ভালো। এখন ভালোবাসা দিবসের কাজগুলো একসঙ্গে মুক্তি পাবে। এগুলো সময় নিয়ে প্রচার করব।
জুটি হিসেবে সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে আপনাদের অনেক জনপ্রিয় কাজ রয়েছে। অনেক ভক্তই জানতে চান, হঠাৎ আপনাদের কাজ কমে গেল কেন?
সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে জুটি হিসেবে অনেক জনপ্রিয় কাজ আছে। কিন্তু একসঙ্গে কাজের সংখ্যা কমে গেছে, তা নয়। অনেকগুলো কাজ করা আছে। সামনে মুক্তি পাবে। সামনে আরও কাজ করব। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে আমারই কাজ কম করা হয়েছে।
প্রথম আলো :
অনেকেই কাজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন কিন্তু সেই অর্থে নাটকের মান ফেরেনি। গল্পগুলো এক রকম হয়ে যাচ্ছে, দর্শকের কাছে এমন কিছু শুনেছেন?
আমার দর্শকদের কাছ থেকে এমন কথা শুনিনি। কারণ, আমি এখন প্রতিটা গল্প দেখে, শুনে–বুঝে নাম লেখাই। মূল সমস্যা ভালো গল্পের অভাব। সংখ্যা কম। মন্দের ভালো কাজগুলোই করে যাচ্ছি। দুর্দান্ত গল্পের অপেক্ষায় আছি। দেখা যায়, কেউ ভালো গল্প লিখলে, তার গল্পের চাহিদা বেশি থাকে। যে কারণে বাধ্য হয়েই তাকে অনেক লিখতে হয়। তখন হয়তো মানের সঙ্গে আপস করতে হয়।
বাধ্য হয়ে কি কাজ করেন?
বাধ্য হয়ে কাজ করি না। গল্প পছন্দ হলেই কাজ করি। এখন বাধ্য হয়ে কাজের সংখ্যা বাড়ছে। সংখ্যার কারণে প্রস্তুতির সময়টা পাচ্ছি না। এখন ভালোবাসা দিবস, ঈদের জন্য চাপ বেশি। এটাই চাই, ভালো গল্পের চাপটা যেন বাড়ে।
প্রথম আলো :
তারকা হওয়ার পর জীবনের কোনো দিকগুলো সবচেয়ে বেশি বদলে গেছে?
তারকা হওয়ার পর আমি বদলে যাইনি। আমার লাইফস্টাইল আগে যেমন ছিল, এখনো তেমন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বদলে গেছে সময়। এখন পরিবারকে সময় দেওয়া কম হয়। আবার নিজের যত্নটা কীভাবে নেওয়া যায়, সেটাও বুঝে উঠি না। আমি একটু অগোছালো। তবে কিছু দিক বদলানো দরকার। পারিপার্শ্বিক কারণে মনে হয়। কিন্তু সাধারণ থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সবশেষে এটাই মনে হয়, বদলে লাভ কী? এ জন্য কাজটাই কাজের মতো করে যাই।