যে যা–ই বলুক, নিজের মতো গেয়েই যাব

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান করলেন ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’খ্যাত শিল্পী শিরিন। এবার আবদুল গফুর হালী রিসার্চ সেন্টারের প্রযোজনায় গফুর হালী ও রমেশ শীল রচিত ১০টি আঞ্চলিক ও মরমি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। এসব গানের মিউজিক ভিডিও ‘গফুর হালী’ ইউটিউব চ্যানেলে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আজ রাত ৯টায় নাগরিক টিভির সরাসরি সংগীতানুষ্ঠানেও গাইবেন তিনি। নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন শিরিন

প্রশ্ন :

গত বৃহস্পতিবার আবদুল গফুর হালী প্রজেক্টের প্রথম গান ‘কালা’ মুক্তি পেয়েছে। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?

ভালো-মন্দ মিলিয়ে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। কেউ কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এগুলো আমরা আশীর্বাদ হিসেবে নিচ্ছি। যে যা–ই বলুক, নিজের মতো গেয়েই যাব।

প্রশ্ন :

অনেক দিন পর চাঁটগাইয়া গান গাইলেন...

এখন চাঁটগাইয়া আঞ্চলিক গান আমি না গাইলে আর কে গাইবে। আগে যাঁরা গেয়েছেন, তাঁরা একরকম করে গেয়েছেন। নতুন প্রজন্মের জন্য আমি নিজের মতো করে গেয়েছি। যাতে নতুন প্রজন্ম গানগুলো ভুলে না যায়। এই প্রজেক্টে গফুর হালীর গানকে আমরা নতুনভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। পরের প্রজন্ম হয়তো তাদের মতো করে গাইবে। আবদুল গফুর হালী আমাকে তাঁর গান গাওয়ার অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমার সব গান তুমি গাইবে।’ তাঁর জন্য আমার জান হাজির। এ জন্য তাঁর গান গাইছি।

প্রশ্ন :

মাঝে এত বিরতির কারণ কী?

কোভিডের আগে আমার বাবা মারা গেছেন। লন্ডনে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে তাঁকে কবর দিই। সব মিলিয়ে গাওয়ার মতো মানসিক অবস্থা ছিল না। এরপর তো করোনার কারণে সবকিছু বন্ধই ছিল।

প্রশ্ন :

মৌলিক গানের কী খবর?

‘কান্দে রে’, ‘কেনে চলর’ শিরোনামে দুটি মৌলিক গান গেয়েছি। এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে সেই গানগুলো একটি একটি করে মুক্তি দেব। আগামী মাসের শেষের দিকে আমার চ্যানেল থেকে গানগুলো মুক্তি পাবে। এই গানগুলোও চাঁটগাইয়া ভাষায় গাওয়া। যদি শ্রোতারা পছন্দ করেন, আরও গান নিয়ে আসব।

প্রশ্ন :

চাঁটগাইয়া গান নিয়ে অন্য কী পরিকল্পনা আছে?

এখন পরিকল্পনা আবদুল গফুর হালী প্রজেক্টের মাধ্যমে তাঁর গানগুলো সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই প্রজেক্ট যাতে সফল হয়, সে জন্য যা করা প্রয়োজন, তা করা। এরপর চাঁটগাইয়া আরও যেসব গান এই প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে, সেগুলোও আস্তে আস্তে নিয়ে আসব। এ জন্য শ্রোতাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা চাই। আমি এসব করছি চাঁটগাইয়া আঞ্চলিক গানের প্রাণ ফেরাতে। আমার জন্ম লন্ডনে। লন্ডনে বড় হয়েও নিজের শিকড় ভুলিনি। মাটির টানে বারবার ফিরে আসি, চাঁটগাইয়া গানের প্রাণ ফেরাতে কাজ করি।

প্রশ্ন :

দেশে কত দিন আছেন?

করোনার কারণে এখনই লন্ডনে যাচ্ছি না। আরও কয়েক মাস দেশে আছি। কয়েকটা শো আছে, এ ছাড়া এই প্রজেক্টগুলোর কাজও শেষ করব।

আরও পড়ুন