বিরতির পর ধারাবাহিক নাটকে আবার নিয়মিত কাজ শুরু করেছেন, এই ফিরে আসার পেছনে কী প্রেরণা?
আইরিন সুলতানা : আমার জায়গা থেকে কমিয়ে দিয়েছি, তা কিন্তু নয়। কয়েক বছর ধরে আমার চাকরির ব্যস্ততা ছিল। নতুন প্রতিষ্ঠান, ওখানে সময় দিয়েছি। বোঝার চেষ্টা করেছি, তাই অভিনয়টা করা হয়নি। এখন চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। পরিচালকেরা তা জানতে শুরু করেছেন, তাই কেউ কেউ অভিনয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। স্ক্রিপ্ট পড়ছি, যেটা ভালো লাগছে, সেটার কাজ করছি। সামনে আরও ব্যস্ত হতে পারব।
প্রথম আলো :
‘মহল্লা’ ধারাবাহিকের চরিত্র বা গল্পে এমন কী আছে, যা আপনাকে আকৃষ্ট করেছে?
আইরিন সুলতানা : পরিচালক যখন আমাকে গল্পটি শোনান, চরিত্রটি শুনে মুগ্ধ হই। আমাকে জানানো হয়, ঢাকাই সিনেমার একজন নায়িকার চরিত্র, মনে হয়েছে বেশ মজার। এই ধরনের চরিত্রে আগে কখনো কাজ করা হয়নি। নাটকে আমি সিনেমার নায়িকা। নিজেকে নতুনভাবে দেখতে পাব।
শুনলাম, এই ধারাবাহিকের আইটেম গানে আপনাকে দেখা যাবে?
আইরিন সুলতানা : এটাকে সে অর্থে আইটেম গান বলা যাবে না। আমরা অনেক সময়ে স্টেজ শো করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে থাকি। নাটকে যেহেতু আমি নায়িকা মধু চরিত্রে অভিনয় করছি, তাই আমাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঢাকাই সিনেমার প্রতিষ্ঠিত নায়িকা মধুর পুরোনো ঢাকার একটি ঘুড়ি উৎসবে ডাক পড়ে, সেখানেই একটি জমকালো পরিবেশনায় আমাকে পারফর্ম করতে হয়, অনেকেই তাই এটিকে আইটেম গান বলে চালিয়ে দিয়েছেন।
প্রথম আলো :
চাকরি ছেড়ে আবার অভিনয়ে। সময়টা কেমন উপভোগ করছেন?
আইরিন সুলতানা : চাকরিতে যে সময়টা কাটিয়েছি, সেটাও ভালো কেটেছে। অন্য রকম একটা জীবন, ছঁকে বাঁধা একটা জীবন। অন্যদিকে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তো আমাদের সময়ের ঠিক ঠিকানা নেই। সকাল থেকে শুরু করে কখনো মধ্যরাত, এমনকি পরদিন সকাল পর্যন্ত শুটিং করতে হয়। সৃজনশীলতা ও করপোরেট—দুটি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা, তবে আমি বেশ উপভোগ করেছি।
প্রথম আলো :
যখন শুটিং বা ডাবিং থাকে না?
আইরিন সুলতানা : অভিনয়ের বাইরে পরিবারে সময় দেই। আমি নিজে হস্তশিল্পের কিছু কাজ করি, সেখানেও সময় দিতে হয়। নিজের জন্য আলাদা সময় বের করি, ওই সময়টায় নাটক–সিনেমা দেখা হয়, বইও পড়ি। আমার নিজের ছোট্ট একটা ব্যবসা আছে, উদ্যোক্তা হিসেবে সেখানেও সময় দেই।
সিনেমা বা ওটিটিতে কাজের নতুন পরিকল্পনা আছে কি সামনে?
আইরিন সুলতানা : অবশ্যই সেই পরিকল্পনা আছে। ও রকম কোনো ভালো প্রকল্প পেলে কাজ করব। ওটিটি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। এদিকে নতুন একটি সিনেমার বিষয়ে কথাবার্তা অনেকটাই চূড়ান্ত। বিধিনিষেধ আছে, তাই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। আগামী মাসে সিনেমার ঘোষণা আসবে।
র্যাম্প মডেলিং থেকে নাটক, তারপর চলচ্চিত্র—এই যাত্রায় কোন ধাপটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি গড়ে তুলেছে বলে মনে হয়?
আইরিন সুলতানা : অভিনয়টা বেশি ভালো লাগে। মডেলিংয়ে গতানুগতিক বিষয় থাকে, কিন্তু অভিনয়ে একেকটা চরিত্রের একেক রকমের ছায়া থাকে, এই কাজগুলো দারুণ চ্যালেঞ্জের।