‘এই নাটকে আমিই একমাত্র ভইঙ্গা’

ঈদে বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় তানজিম সাইয়ারা। বিনোদন অঙ্গনে সবাই যাঁকে তটিনী নামেই চেনেন বেশি। গত মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে কথা বলল ‘বিনোদন’।
তানজিম সাইয়ারা তটিনী
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

আপনাকে ফোনে পাচ্ছিলাম না?

বন্ধুবান্ধব নিয়ে দেশের বাইরে গিয়েছিলাম।

প্রশ্ন :

কোথায়?

নেপালে। ঈদের টানা কাজের ব্যস্ততার সঙ্গে পড়াশোনারও চাপ ছিল। কাজের বিরতির সঙ্গে এখন সেমিস্টার ব্রেকও চলছে। তাই সবাই মিলে ঘুরতে গেলাম। নেপালের আবহাওয়া ভালো ছিল না। খুব বৃষ্টি থাকায় বেশি জায়গায় যেতে পারিনি। তারপরও ঘোরাঘুরি, আড্ডা মিলিয়ে ভালো সময় কাটল। আজ (মঙ্গলবার) ফিরেছি।

নেপালে তটিনী
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

ঈদে আপনার কয়টা নাটক গেল?

এবার একটু বেশিই কাজ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৯টি নাটক প্রচারিত হয়েছে। আরও ৫-৬টায় অভিনয় করেছি। এগুলো সামনে প্রচার হবে। ঈদের নাটক হিসেবেই কাজগুলো করেছি।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

এত নাটক, মান ধরে রাখেন কী করে?

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কাজের ক্ষেত্রে আমি সচেতন। নির্দিষ্ট একটা মানদণ্ড রেখে কাজ করি। অনেক কাজ করলেও সব সময় চেষ্টা করি ভালো মানের নাটকে অভিনয় করতে। আমার কাছে অনেক কাজের প্রস্তাব আসে। নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়ে যদি মনে হয়, গল্পটা ভালো, কোয়ালিটি আছে, তাহলেই কাজটা করি। সব কাজ তো স্পেশাল হয় না, ৫–৬টা কাজ ভালো থাকে। আর কয়েকটা থাকে অ্যাভারেজ।

তানজিম সাইয়ারা তটিনী
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

একটা নাটকের কথা বলবেন, যেটা আপনার নিজের কাছে স্পেশাল?

দর্শক এখন ভিন্ন গল্প দেখতে পছন্দ করেন। যেমন ‘শেষ ঘুম’ ব্যতিক্রমধর্মী গল্প। রাজিব হোসেন নতুন পরিচালক হলেও খুব যত্ন করে নির্মাণ করেছেন নাটকটা। কিছু কাজ আছে একদম আলাদা, যাকে বলে আউট অব বক্স। এ নাটকটা তেমনই একটা নাটক। নাটকে দর্শক আমাকে নতুন একটা চরিত্রে দেখেছেন। দর্শকও এই চরিত্র বেশ পছন্দ করেছেন। নাটকটা রোজার ঈদের কাজ। এই ঈদে প্রচারিত হয়েছে। এ ছাড়া আরেকটা নাটকের কথা বলব, ‘বহিরাগত’। এই নাটকে একটা শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। মা ছাড়া একটা মেয়ের বড় হয়ে ওঠার যে ট্র্যাজেডি, তা তুলে ধরা হয়েছে নাটকে।

প্রশ্ন :

নতুন কারও সঙ্গে কাজ করলেন?

ইয়াশ রোহানের সঙ্গে এবার প্রথম অভিনয় করেছি। প্রেমের গল্পের নাটক, নাম ‘প্রণয়’। রোমান্টিক নাটক যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা এই নাটক উপভোগ করবেন।

তানজিম সাইয়ারা তটিনী
ফেসবুক থেকে নেওয়া

প্রশ্ন :

শুটিংয়ে মজার কোনো অভিজ্ঞতা হলো?

ঈদের নাটক ‘হেডম’–এ অনেক মজা করেছি। চাঁটগাইয়া ভাষার এই নাটকে আমিই একমাত্র ভইঙ্গা (চট্টগ্রামের বাইরের মানুষ) ছিলাম (হা হা)। এই নাটকের জন্য তিন দিন অভিনয় করতে গিয়ে বুঝলাম চট্টগ্রামের মানুষ অনেক আন্তরিক, অনেক এনার্জেটিক। আমার প্রায় ৮০ ভাগ বন্ধুবান্ধব চট্টগ্রামের। তাই তাদের ভাষা বুঝতে আমার তেমন অসুবিধা হয় না। বলতে না পারলেও চাটগাঁইয়া ভাষাটা বুঝি। তারা অনেক মজা করে কাজ করে আর তাদের মধ্যে বন্ডিং ভালো। এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।

তানজিম সাইয়ারা তটিনী
ফেসবুক থেকে

প্রশ্ন :

আর ভয়ংকর অভিজ্ঞতা?

আমি সাপ খুব ভয় পাই। সাপের সঙ্গে একটা নাটকের শুটিং ছিল। দৃশ্যটা ছিল এমন, আমি বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে থাকব, সাপটা থাকবে আমার পাশে। আমার মনে ভয়, তাই এই দৃশ্য করার সময় চোখ পিটপিট করছিলাম। তখনই তাকিয়ে দেখি সাপটা আমার দিকে আসছে। যদিও সাপের ট্রেনার সাপটা ধরে ফেলেছিল। তিনি যদি সময়মতো না ধরতেন, তাহলে ওই দিন একটা ট্র্যাজেডি হয়ে যেত!

তানজিম সাইয়ারা তটিনী
ফেসবুক থেকে