সাবিলা নূর

যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ানো কেমন হলো?

১৭ জুলাই গিয়েছিলাম। এবারের সময়টা বেশ ভালো কেটেছে।

কোথায় কোথায় ঘুরলেন?

টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসসহ অনেক জায়গায় গিয়েছি। টেক্সাসে আমার বড় বোন থাকেন। মেক্সিকোতেও গিয়েছিলাম। সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরেছি, ছবি তুলেছি। আমার বাবা ও মা সঙ্গে ছিলেন। সব মিলে ঘোরাঘুরিটা ভালো হয়েছে।

আগেও তো গিয়েছেন। এবার নতুন কী অভিজ্ঞতা হলো?

এবার নিয়ে চতুর্থবার। ঘুরতে গিয়ে এবার মনে রাখার মতো অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিও ও ওয়ার্নার ব্রুর্স স্টুডিওতে গিয়েছিলাম।  সেখানে হলিউডের বিখ্যাত সব সিনেমার চিত্রনাট্য, স্টোরিবোর্ড, অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের কস্টিউমসহ সিনেমার নানা জিনিস সংরক্ষিত। ঘুরে ঘুরে সেসব দেখেছি। দি ব্যাটম্যান ছবির শিল্পীদের কস্টিউম দেখলাম। ম্যাট্রিক্সসহ বেশ কয়েকটি সিনেমার স্টোরিবোর্ড ও চিত্রনাট্য দেখেছি। এ ছাড়া ছোটবেলায় দেখা লুনি টিউনস কার্টুন তৈরিতে কীভাবে অ্যানিমেশনের কাজ করা হয়েছিল, সেসব দেখেছি। আসলে এবারের সফরটা বেশ উপভোগ্য ছিল।

সাবিলা নূর

কী সিনেমা দেখলেন?

ওখানে ওই সময় বাংলাদেশের হাওয়া চলছিল। ভিন্ন ধরনের গল্পের ছবি। ভালো লেগেছে। বাঙালি কমিউনিটি ছবিটি বেশ উপভোগ করেছে। ছবিটি  নিয়ে বাঙালি কমিউনিটিতে বেশ উচ্ছ্বাস দেখলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, যাঁরা দেশে থাকেন না, তাঁরা দেশকে মিস করেন। তাই যেকোনোভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চান তাঁরা। বাংলাদেশের নাটকও নিয়মিত দেখেন তাঁরা।

আপনার নাটকের কথা বলেননি?

হ্যাঁ, বলেছেন। অনেকে আমার সঙ্গে দেখাও করতে এসেছিলেন। তাঁরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় প্রচারিত আমার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে নিজস্ব প্রতিবেদন, মে আই কাম ইন, হৃদিকা ও আমি রোকেয়া বলছি নাটকগুলো বেশি পছন্দ হয়েছে তাঁদের।

সাবিলা নূর

দেশে ফিরে কোন নাটকের শুটিং করলেন?

ব্যাচেলর ফুটবল নামে একটি নাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেছি। বিশ্বকাপ ফুটবলকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে এটি। যথারীতি এখানে আমাকে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের সেই নাবিলা চরিত্রেই দেখা যাবে। এ ছাড়া কাল বৃহস্পতিবার থেকে কদম বনে বৃষ্টি ও তার সঙ্গে আড়ি নামে দুটি এক ঘণ্টার নাটক শুটিং শুরু হবে। দুটি নাটকেই আমার সহশিল্পী অপূর্ব। ভাবছি নাটকে কাজ কমিয়ে দেব।

সাবিলা নূর

কেন?

গত ঈদেও ভালো ভালো গল্পের কাজ করেছি। কিন্তু এখন সেই ধরনের ইউনিক গল্প খুব একটা পাচ্ছি না। আর না পেলে নাটকে বেশি কাজ করব না। এখন ওটিটিতে ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। ওটিটিতে কাজ করব। এ জন্য প্রস্তুতি দরকার।

সাবিলা নূর

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর চতুর্থ সিজনের বেশ কয়েকটি পর্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সমালোচনা হয়েছে। নাটকটির একজন শিল্পী হিসেবে আপনি কি বলেন?

যে পর্বগুলো নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল, আমার জানামতে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই নাটকের পরিচালক অমি ভাই সব সময়ই দর্শককে প্রাধান্য দেন। দর্শকের কথা মাথায় রেখেই নাটক তৈরি করেন। দর্শক যেগুলো সমালোচনা করেছেন, সেগুলো সরিয়ে নিয়েছেন পরিচালক। ব্যাপারটা এতটুকুই।