মা হওয়ার পর সময়টা কেমন কাটছে?
নাবিলা ইসলাম : এটা একেবারে অন্য রকম অনুভূতি। মাতৃত্বের পুরো ভ্রমণটাই অসাধারণ। এখন শুধু মেয়েকে নিয়ে সময় কাটছে। বাসার সবাই, আত্মীয়স্বজনেরা আমার মেয়েকে নিয়ে আনন্দে মেতে আছে, আমিও এটা বেশ উপভোগ করছি।
মেয়ের নাম আন্দোলন রাখলেন কেন?
নাবিলা ইসলাম : আমরা সবাই জানি, জুলাই থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশে কী ঘটে গেছে। এ সময়ের মধ্যে আমাদের সবার কাছে ‘আন্দোলন’ শব্দটা আবেগের বা প্রতিবাদের শব্দ হয়ে ওঠে বা এর চেয়ে বেশি কিছু। অনেকটা ভালোবাসা ও আবেগ থেকে আমরা মেয়েকে আদর করে আন্দোলন নামে ডাকি, তবে ওর পুরো নাম আনশা সেহরিশ রওশান।
প্রথম আলো :
এক দশক ধরে কাজ করছেন, ক্যারিয়ারে যে জায়গায় পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, পেরেছেন?
নাবিলা ইসলাম : ২০১৬ থেকে বিনোদনজগতে কাজ করে যাচ্ছি। পুরোপুরি ভালো লাগার জায়গা থেকে আসলে আমার এ অঙ্গনে কাজ করা। ভালো লাগার সেই জায়গা পুরোপুরি পেশা হিসেবে নিয়ে এখন পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছি। কখনো বিরতি নিইনি, শুধু প্রেগন্যান্সির সময়টুকু ছাড়া। বিরতি নিইনি বা আমাকে কখনো থেমেও থাকতে হয়নি। আমি টার্গেট ঠিক রেখে কোনো কিছুর পেছনে ছোটার মানুষ নই। সব সময় আমার মনমর্জিতে কাজ করে যাচ্ছি, দর্শকের কাছ থেকে যেটুকু ভালোবাসা পেয়েছি, সেটুকুতে সন্তুষ্ট। কিন্তু শিল্পী হিসেবে আরও অনেক বেশি ভালো কাজ করার প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষা সব সময় আমার মধ্যে কাজ করে। আমার মনে হয়, আরও অনেক কিছু করারও আছে।
প্রথম আলো :
আপনার সমসাময়িক অনেকেই টিভি নাটকের বাইরে ওটিটিতে কাজ করছেন, আপনাকে সেভাবে দেখা যায়নি।
নাবিলা ইসলাম : সত্যি বলতে আমাদের দেশে ওটিটি একটা নির্দিষ্টসংখ্যক মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এখানে কাজের সংখ্যা এখন পর্যন্ত কম। যখন কাজের সংখ্যা বাড়বে এবং অনেক পরিচালকও কাজ করবেন, তখন অবশ্যই আমরা যাঁরা টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত কাজ করি, তাঁদেরও ওটিটির কাজের সংখ্যা বাড়বে। তা ছাড়া আমার কাছে সব সময় অভিনয়টা মুখ্য বিষয়, মাধ্যমটা নয়।
কাজে ফিরবেন কবে?
নাবিলা ইসলাম : খুব শিগগিরই। আগামী মাসে ফেরার পরিকল্পনা আছে।
প্রথম আলো :
মুক্তির অপেক্ষায় কী কী কাজ আছে?
নাবিলা ইসলাম : কাজে বিরতি নেওয়ার আগে আমি কয়েকটি খণ্ডনাটক এবং ধারাবাহিকের কাজ শুরু করেছিলাম। এগুলোর কয়েকটি প্রচারিত হয়েছে, কয়েকটি প্রচারের অপেক্ষায় আছে।
নতুন এক সময়ে আপনি নতুন পরিচয় পেয়েছেন। এখন আপনি আন্দোলনের মা।নতুন সময়ের কাছে প্রত্যাশা কী
নাবিলা ইসলাম : প্রত্যাশা তো অনেক। আমাদের দেশের সব সেক্টরেই রয়েছে দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর সিন্ডিকেটের গল্প বলে শেষ করা যাবে না। আমি চাইব, দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর সিন্ডিকেট—এসব থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে হবে, যাতে আমাদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। জনগণকে একটা কথা বলতে চাই, সংস্কারের শুরুটা নিজের ভেতর থেকে করতে হবে। নিজের পরিবার থেকে যখন সংস্কার শুরু হবে, তখন দেশটা এমনিতেই সুন্দর হয়ে উঠবে।