এই নাটকে পারিবারিক সিনেমার ফিল আছে : কেয়া পায়েল

গত ভালোবাসা দিবসে প্রচারিত নাটক ‘বন্ধন’-এ অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন কেয়া পায়েল। এক মাসের মাথায় নাটকটির ইউটিউব ভিউ দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। এখন চলছে ঈদের নাটকের ব্যস্ততা। নতুন কাজসহ নানা প্রসঙ্গে শনিবার তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শফিক আল মামুন

প্রথম আলো:

কোথায় আছেন?  

পুবাইলে আছি। ‘মায়াবী’ নামে একটি ঈদের নাটকের শুটিং করছি। এটি একটি পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে নাটক। পরিচালনা করছেন শহীদুন্নবী। আমার বিপরীতে আছেন ইয়াশ রোহান। তবে গরমের মধ্যে শুটিং করতে কষ্ট হচ্ছে। এবার আমার ঈদে নাটকের সংখ্যা কম, ৪ থেকে ৫টা হতে পারে।

কেয়া পায়েল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রথম আলো :

কেন কম?

ভালোবাসা দিবসে অনেকগুলো প্রজেক্ট ছিল। ঈদের জন্য শুটিংয়ের মাঝের সময়টা কম পেয়েছি। তা ছাড়া এবার একটু অন্যভাবে কাজ করছি। আগে যেমন একটি নাটকের শুটিং করেছি তিন-চার দিনে, কখনো দুই দিনেও। এবার একটি নাটকের জন্য সময় নিয়েছি ৬ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত। তাহলে ভাবেন, এই অল্প সময়ে কয়টা নাটক করা সম্ভব? অভিনয়ের শুরুর দিকে ভাবতাম ঈদে অনেক নাটক থাকতে হবে। এখন এসে সে ভাবনা নেই। এখন সংখ্যা নয়, মান নিয়ে চিন্তা করছি। দর্শকের পছন্দের একটি নাটকও যদি করতে হয়, ওই একটাই করব।

কেয়া পায়েল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
প্রথম আলো:

তাহলে সে ধরনের নাটকই কি থাকছে এই ঈদে?

আরও পড়ুন

হ্যাঁ, সেই ভাবনা থেকেই করা। যে চার-পাঁচটি নাটকে কাজ করলাম, করছি আমার আগের করা সব নাটক থেকে আলাদা। যেমন মাধবীলতা নামে একটা নাটক করলাম, এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি যে কথা বলতে পারে না। এটি আমার জন্য সহজ ছিল না। শুটিংয়ের আগে রীতিমতো প্রশিক্ষক রেখে কাজটি করেছি। সাত দিন লেগেছে কাজটি করতে। ঈদের আরেকটি নাটক সুন্দরী, চরিত্রটির জন্য আমাকে আলগা দাঁত, চুল লাগাতে হয়েছে। যুবতী থেকে বৃদ্ধ লুক আনতে হয়েছে। মোটকথা, আমার অভিনয় জীবনে ভিন্ন ধরনের কাজের ঈদ হবে এবার।

প্রথম আলো :

ভালোবাসা দিবসে আপনার অভিনীত ‘বন্ধন’ নাটকটি বেশ আলোচিত হয়েছে...

হ্যাঁ। অল্প সময়ে ইউটিউবে অনেক ভিউ হয়েছে। পারিবারিক গল্পের নাটক এটি। নাটকটি আমার মা ও খালা অনেক পছন্দ করেছেন। ছোটবেলায় শাবনূর আপা, মৌসুমী আপার এ ধরনের পারিবারিক গল্পের সিনেমা দেখতাম, ভালো লাগত। এই নাটকে সে সময়ের পারিবারিক সিনেমার ফিল আছে।

কেয়া পায়েল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
প্রথম আলো:

শাবনূর, মৌসুমীর পারিবারিক গল্পের সিনেমা দেখতেন। এখন শাবনূর, মৌসুমীর মতো সিনেমাতে অভিনয়ের ইচ্ছা হয় না?

অভিনয় যে করব, সেটাই তো আগে ভাবিনি। হঠাৎ করেই এই অঙ্গনে চলে আসা। কাজ করতে করতে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। বেড়েছে দায়িত্ব। নিজের একটা পরিচয়ও হয়েছে। এখন বড় পর্দা, ছোট পর্দা এটি কোনো বিষয় নয়। ভালো কাজ করতে হবে। নিজের সম্মান ও দর্শকের পছন্দের কাজ করতে হবে। সেটি সিনেমায়ও হতে পারে, নাটকেও। সে ক্ষেত্রে সিনেমায় হলে হবে, না হলে নেই।

প্রথম আলো:

কিন্তু এখন তো আপনার সমসাময়িক অনেকে ওটিটিতে কাজ করছেন। আপনি করছেন না কেন?

আগেই বলেছি, ভালো কাজ করতে হবে। সেটি যেকোনো মাধ্যমেই হতে পারে। ওটিটির কাজ আসছে না, এমন নয়। কিন্তু গল্প, চরিত্র ভালো হতে হবে। হলেই করব। এর জন্য আলাদা কোনো অপেক্ষা নেই আমার। ওটিটিতে কাজ না করতে পারলেও কোনো আফসোস নেই।

কেয়া পায়েল। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
প্রথম আলো:

আপনি আইন বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। আদালতে অনুশীলন শুরু করবেন না?

এক বছর হলো আইনে স্নাতকোত্তর শেষ করেছি। আমার পছন্দের বিষয় এটি। নাটকের শুটিং ব্যস্ততার কারণে এখনো অনুশীলন শুরু করতে পারিনি। তবে সময় বের করে অনুশীলন শুরু করতে চাই। সুযোগ হলে উচ্চশিক্ষা নিতে দেশের বাইরেও যাব।