সংখ্যা বাড়িয়ে দর্শকের গালি খেতে রাজি নই

শিগগিরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘আহারে জীবন’। অনেক দিন পর পূর্ণিমা অভিনীত কোনো সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন এই অভিনেত্রী। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’

প্রথম আলো:

দেশে ফিরবেন কবে?

সপ্তাহখানেক হলো এখানে এসেছি। এখানে বেশ গরম পড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যে গরম চলে যাবে। গরমের কারণে বাইরে বেড়াতে পারছি না। গরম চলে গেলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর ইচ্ছা আছে। ঈদের আগে আগে দেশে ফেরার কথা আছে। কারণ, মুক্তির আগে–পরে ছবিটির প্রচার–প্রচারণায় থাকতে চাই।

প্রথম আলো :

অনেক দিন পর আপনার সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে...

অবশ্যই ভালো লাগার খবর এটি। একসময় বছরে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পেত। এখন সেটি আর নেই। অনেক দিন ধরেই নিয়মিত অভিনয় করছি না। এ কারণে সিনেমাও ছিল না। ঈদে একটা সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এটি অবশ্যই আমার জন্য খুশির খবর। একজন শিল্পীর ছবি যখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়, অবশ্যই সেটি শিল্পীর জন্য আনন্দের। আর সেটি যদি ঈদ উৎসবে হয়, তাহলে সে আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তেমনটিই লাগছে আমার। তা ছাড়া ছটকু আহমেদের পরিচালনায় এটি আমার প্রথম কাজ। এ কারণে বাড়তি আগ্রহও কাজ করেছে।

পূর্ণিমা
ফেসবুক থেকে
প্রথম আলো:

সিনেমা হলে বসে কি ছবিটি দেখার পরিকল্পনা আছে?

একসময় তো নিয়মিতই নিজের ছবিসহ সহশিল্পীদের সিনেমাও প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখা হতো। নিজের ছবি না থাকাসহ নানা কারণে সে অভ্যাস কিছুটা কমেছে। যেহেতু অনেক দিন পর আমার সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে, অবশ্যই প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবিটি দেখব।
এই ঈদে আরও অনেকগুলো বড় বাজেটের ছবি মুক্তি পাবে। সেই সব ছবির ভিড়ে

প্রথম আলো :

‘আহারে জীবন’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কতটা?

প্রত্যাশা অনেক। কারণ, ছবিটি গুণী নির্মাতা ছটকু আহমেদ নির্মাণ করেছেন। করোনাকালের কাহিনি নিয়ে ছবির গল্প। করোনাকালের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই ছবিতে। ছবিতে আমার সহশিল্পী ফেরদৌস। সব মিলে ভালো একটি কাজ হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে বসে দর্শকেরা একটা ভিন্ন, পরিছন্ন গল্পের সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন।

পূর্ণিমা
ফেসবুক থেকে
প্রথম আলো:

প্রায়ই তো আপনাকে উপস্থাপনায় দেখা যায়। কিন্তু নিয়মিত সিনেমা করেন না। কেন?

উপস্থাপনা আর সিনেমা তো এক নয়। সিনেমা একটা বড় পরিসরের কাজ। দর্শকের পছন্দের একটা ব্যাপার থাকতে হয়। আমি তো চাই-ই নিয়মিত কাজ করতে। কিন্তু সে ধরনের কাজ তো হাতে আসতে হবে। যেসব গল্প আসে, সেগুলোর অধিকাংশই আমার জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চরিত্রের সঙ্গে আমাকে যাবে, সেটিও ভাবতে হবে। তেমন কাজ আসছে না। এলেও অনেক সময় পরিচালক পছন্দ হয় না। দেখা গেল, ছবি এসেছে, বাছবিচার না করেই দৌড়ে গিয়ে চুক্তি করে ফেললাম। ব্যাপারটি তা নয়। ছবির সংখ্যা বাড়িয়ে আমি দর্শকের গালি খেতে রাজি নই।

প্রথম আলো :

অনেক দিন ধরেই ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ নামের দুটি ছবি আটকে আছে। ছবি দুটোর খবর কী?

অনেক আগেই গাঙচিল ছবির কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু মুক্তির খবর জানি না। এটি প্রযোজক জানেন। জ্যাম ছবির শুটিংই শেষ হয়নি এখনো। সেই ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৩০ ভাগ কাজ আটকে আছে ছবিটির। এখন কবে আবার শুটিং শেষ হবে, সেটি আমার জানা নেই। আর আদৌ শুটিং হবে কি না, তা–ও বলতে পারি না। পরিচালক ও প্রযোজক ভালো বলতে পারবেন।

পূর্ণিমা
ফেসবুক থেকে
প্রথম আলো:

এভাবে তৈরি ছবির মুক্তি, ছবির বাকি শুটিং আটকে থাকা সিনেমাসংশ্লিষ্ট সবার জন্য ক্ষতিকর নয় কি?

অবশ্যই ক্ষতিকর। বড় কথা, প্রযোজকের বিনিয়োগ আটকে যায়। এ ছাড়া ছবিসংশ্লিষ্ট সবারই ক্ষতি। দেখা যায়, এমন সময় ছবিটি মুক্তি পেল, তত দিনে শিল্পীর চেহারার পরিবর্তন হয়ে গেছে। ছবিতেও ‘পুরোনো’ তকমা লেগে যায়। দর্শক টানতে ব্যর্থ হয় সেই ছবি। প্রযোজক পুঁজি হারান। আবার শুটিং বাকি থাকা ছবির কাজ দীর্ঘদিন পর শুরু হলে অনেক সময় ধারাবাহিকতা মেলে না। শিল্পীর চেহারায়ও সেটার ছাপ পড়ে। দর্শক হলে বসে বুঝতে পারেন সেটা। সব মিলে সিনেমার ক্ষতি হয়।