আমি অনেক বাচ্চার মা হতে পারব!

>
কাজী নওশাবা আহমেদ
কাজী নওশাবা আহমেদ

আগামীকাল থেকে দুরন্ত টিভিতে শুরু হচ্ছে ‘স্বপ্ন আঁকার দল’ নামে একটি শিশুদের অনুষ্ঠান। এটি উপস্থাপনা করেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। খবরটি জানানোর পাশাপাশি বললেন মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তাঁর সিনেমার গল্প।

‘স্বপ্ন আঁকার দল’ অনুষ্ঠানটির ধরন কেমন?

‘স্বপ্ন আঁকার দল’ এমন একটি দল, যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে শিশুদের ইচ্ছেমতো শ্রেণিকক্ষ সাজিয়ে দেয়। যেখানে আমাদের দলের সঙ্গে যোগ দেয় পুরো স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সবাই মিলে একটা ক্লাসরুম সাজাই, ছবি আঁকি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শিশুরা গান, কবিতা ও নাচ পরিবেশন করে।

বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে কেমন লেগেছে?

আমি আট-নয় বছর পর আবার ছবি আঁকায় ফিরেছি। তাও বাচ্চাদের সঙ্গে। এমনিতেই আমার বাচ্চাদের সঙ্গে সময়টা দারুণ কাটে। তার সঙ্গে রংতুলির সখ্য। এটা অন্য রকম অনুভূতি।

একটা গতানুগতিক প্রশ্ন করি, আপনি তো নানা মাধ্যমে কাজ করেন—নাটক, চলচ্চিত্র, উপস্থাপনা। কোনটাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

এটা নিয়ে আমি একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। গৎবাঁধা উত্তর দেওয়া কঠিন। নাটক বা চলচ্চিত্রে গ্ল্যামার জরুরি। কিন্তু উপস্থাপনায় বা এই অনুষ্ঠানের মধ্যে হয়তো কোনো গ্ল্যামার নেই। কিন্তু নিখাদ ভালো লাগা আছে। এতগুলো বাচ্চার সঙ্গে অনুষ্ঠান করে মনে হয়েছে, আমি অনেক বাচ্চার মা হতে পারব! (হাসি) সহজ করে বলব, সিনেমায় অভিনয় করতে গেলে নিজেকে মেলে ধরি, কিন্তু বাচ্চাদের সঙ্গে কিছু করতে গেলে নিজেকে আবিষ্কার করি।

আপনার তো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় আছে?

হ্যাঁ, আলগা নোঙর, চন্দ্রাবতী কথা, স্বপ্ন বাড়ি মুক্তির অপেক্ষা আছে। প্রতিটি সিনেমাই নিরীক্ষাধর্মী। গতানুগতিক সিনেমা নয়। আমার বিশ্বাস, ছবিগুলো মুক্তি পেলে সবার ভালো লাগবে।

আর নাটক?

নাটক কম করা হয়। চ্যানেল আইয়ের বড় বাজেটের ধারাবাহিক সাত ভাই চম্পাতেকাজ করছি। এই তো।

সাক্ষাৎকার: হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক