আমি কখনোই টিকটকে ছিলাম না

এমন ব্যস্ততা থাকে ঈদের আগে। অর্থাৎ প্রতিদিন শুটিং, প্রতিদিনই কোনো না কোনো কাজ। এসব ব্যস্ততার কথা শোনালেন সাবিলা নূর। ভীষণ কাজের চাপে থেকেও এ অভিনেত্রী কথা বললেন তাঁর নতুন কাজ, করোনাকালের উপলব্ধি আর বর্তমান সময় নিয়ে।

সাবিলা নূর
প্রথম আলো
প্রশ্ন:

নতুন স্বাভাবিকে কাজের চাপ কেমন? আগের চেয়ে কম না বেশি?

আগের চেয়ে অনেক বেশি। মনে হচ্ছে, আর কদিন পরেই ঈদ। এত কাজ! সাধারণত ঈদ, পয়লা বৈশাখ, ভালোবাসা দিবসের মতো উৎসবগুলোর আগে যেমন ব্যস্ত থাকি, এখন ঠিক সে রকম ব্যস্ততা। প্রায় প্রতিদিনই শুটিং করছি। আর সবই মানসম্মত ও বৈচিত্র্যময় গল্প।

প্রশ্ন:

টেলিভিশনের কাজ বেশি, নাকি ওয়েবের?

এখন তো কাজের ধরন বদলে গেছে। মূলত কোনো ইউটিউব চ্যানেল বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য নাটক–টেলিছবির শুটিং করা হয়। দেখা যায়, তৈরি হওয়ার পর হয়তো সিদ্ধান্ত হয়, ডিজিটাল রিলিজের পাশাপাশি কোনো একটি চ্যানেলেও চালানো হবে ওটা। তাই টেলিভিশন বা ওয়েব আলাদা করে এখন আর দেখা হয় না।

সাবিলা নূর
প্রথম আলো
প্রশ্ন:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখলাম আপনি ছোট ছোট ভিডিও কনটেন্ট বানানোর প্ল্যাটফর্মে নাম লিখিয়েছেন। এর আগে আপনাকে এসবে দেখা যায়নি...

আমি কখনোই টিকটকে ছিলাম না। মানুষের নানা ধরনের কথা শুনে আমার ধারণা হয়েছিল, এ ধরনের কনটেন্ট বানানোর প্ল্যাটফর্মে বুঝি অনেক নেগেটিভিটি থাকবে। কিন্তু আমি লাইকি নামের একটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকলাম। দেখলাম, আমার ধারণা ভুল। এ ধরনের ছোট ছোট ভিডিও তৈরির মাধ্যমে অনেক মেধা বেরিয়ে আসছে। নাচ থেকে শুরু করে মেকআপ করা, স্টাইলিং করা— সব ধরনের ট্যালেন্ট এসব প্ল্যাটফর্মে ভিডিও পোস্ট করে তুলে ধরা যায়।

প্রশ্ন:

ছোট ভিডিও থেকে বেরিয়ে, বড় ভিডিও নিয়ে আলাপ করি। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে নতুন কনটেন্ট আসছে না কেন?

লকডাউনের সময় বেশ কিছু ভিডিও বানিয়েছিলাম আমার ইউটিউবের জন্য। এটা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় ইউটিউব নিয়ে আলসেমিতে পড়ে গেছি। তাই নতুন কোনো ভিডিও বানানো হচ্ছে না।

প্রশ্ন:

লকডাউনের সময় তো আপনার মতো আরও অনেক অভিনেত্রী ইউটিউবে কনটেন্ট বানানোয় নিয়মিত হয়েছেন। সমসাময়িক কোনো অভিনেত্রীকে কি ইউটিউবে অনুসরণ করেন?

অনুসরণ করা হয় না। তবে মেহ্জাবীনের ভিডিও দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। আপু (মেহ্জাবীন) তো খুব ভালো রান্না পারেন, ভিডিও এডিটিং পারেন। আমি সেভাবে এত ভালো করে এসব কিছু পারি না। লকডাউনে ভিডিও এডিটিং করা শিখেছি, আর কি–বোর্ড বাজানো শেখার চেষ্টা করেছি।

সাবিলা নূর
প্রথম আলো
প্রশ্ন:

আর কী কী শিখলেন?

লকডাউনে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো শিখেছি। এই মহামারির সময়টায় উটকো বিতর্ক আর নেগেটিভিটি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে শিখেছি। প্যান্ডেমিক আমাদের এত এত দুশ্চিন্তায় রেখেছিল যে এর ওপর বাইরের কোনো অতিরিক্ত স্ট্রেস বা সমালোচনা নেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই গত কয়েক মাসে অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা এড়ানোর কায়দাকানুন ভালোমতোই রপ্ত করেছি।

প্রশ্ন:

লকডাউনের কোন দিক এখন মিস করেন?

ঘুমটা মিস করি। লকডাউনের সময় তো যখন খুশি তখন ঘুমাতে পারতাম, জাগতে পারতাম। করোনাকালের আগে যে পরিমাণ কাজ করতাম, এখন তো তার চেয়ে বেশি করতে হচ্ছে। তাই ঘুমটা হচ্ছে না। আবার আগের রুটিনে ফিরে যাচ্ছি।