এবার বুঝেশুনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে
প্রথমবারের মতো সরাসরি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। অনুষ্ঠানটির নাম ‘আমার আইন আমার আদালত’। শনিবার থেকে একটি ওয়েব পোর্টালে দেখা যাবে এটি। সপ্তাহে এই এক দিনই প্রচারিত হবে অনুষ্ঠানটি। পরে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে টেলিভিশনে। এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আবার সিনেমায় অভিনয় শুরু করবেন এই অভিনেত্রী। কয়েক মাস আগের বিবাহবিচ্ছেদসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন এই ফারিয়া।
প্রশ্ন :
‘আমার আইন আমার আদালত’ অনুষ্ঠানটি কী ধরনের?
অনুষ্ঠানটি শুধু নারীদের জন্য। আইনগত সেবা, পরামর্শমূলক। ট্রেড লাইসেন্স, শিশু অধিকার, বিবাহবিচ্ছেদ, নারীর প্রতি সহিংস আচরণ, জমিজমা–সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে নানা পরামর্শ তুলে ধরা হবে। অসচ্ছল অনেকেই আদালতে যেতে ভয় পান। ভাবেন, আইনজীবীদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে অনেক টাকাপয়সা লাগে। সেই ভীতি দূর করতেই এই অনুষ্ঠান। এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরাসরি পরামার্শ দেবেন দুই বিশেষজ্ঞ—তারানা হালিম আপা ও মিতি সানজানা আপা। এর বাইরেও প্রয়োজনে তাঁরা অসচ্ছলদের আর্থিক সহযোগিতাও করবেন।
প্রশ্ন :
এ ধরনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় এবারই প্রথম?
হ্যাঁ, এ ধরনের সরাসরি অনুষ্ঠান এবারই প্রথম করছি। প্রথমে তারানা আপাদের কাছ থেকেই প্রস্তাবটি আসে। আইডিয়া শুনে বেশ ভালো লেগে গেল। যদিও লাইভ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করা আমার জন্য কঠিন। ভুল হওয়ার সুযোগ থাকে। তা ছাড়া কাজটি করতে আইন বিষয়ে খুঁটিনাটি অনেক কিছু জানতে হচ্ছে। পড়াশোনা করে শুটিংয়ে যেতে হচ্ছে।
প্রশ্ন :
জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’–এর শুটিং শেষ। একই পরিচালকের ‘হিট’ নামের আরেক ধারাবাহিক প্রচার শুরু হয়েছে। আপনি ছাড়া ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’–এর বেশির ভাগ অভিনয়শিল্পীই এই ধারাবাহিকে আছেন। বাদ পড়লেন কেন?
আমি নতুন করে আর ধারাবাহিকে কাজ করছি না। এক ঘণ্টার কাজই বেশি করছি এখন। কারণ, ফেব্রয়ারি মাস থেকে একটি সিনেমার কাজ শুরু করব। চুক্তি না হলেও মৌখিকভাবে কথা হয়ে আছে। সিনেমাটির কোনো কিছু এখনই প্রকাশ করতে চাইছি না। ধারাবাহিক করতে গেলে সিনেমার শুটিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে শিডিউল দিতে হিমশিম খেতে হবে। কারণ, যখন আমি টানা সিনেমার শুটিং করব, তখন ধারাবাহিকে শিডিউল দিতে পারব না। ধারাবাহিক নাটকের শিডিউল প্রতি মাসেই থাকে।
প্রশ্ন :
বিবাহবিচ্ছেদের সময় বলেছিলেন, বিচ্ছেদ হলেও অপুর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে, কথা হবে। বন্ধুত্ব থাকবে। অপুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়?
অপুর বিষয়ে কোনো কথা বলা ঠিক হবে না। বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবার আমাদের দুজনকে নিয়ে নতুন করে কথা উঠবে। অপু ও আমি একই মাধ্যমে কাজ করি। কারণে–অকারণে আমাদের দেখা হবে। আমাদের বাসা একই এলাকায়, একই গলিতে। সুতরাং, অপুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক বা যোগাযোগ বা মুখ দেখাদেখি না থাকার কোনো অপশন নেই। আমাদের দুজনের বাসা পাশাপাশি। দেখা হলে কথা হবে। তবে এখনো দেখা হয়নি।
প্রশ্ন :
অপুর কোনো খোঁজখবরও রাখেন না? শুনেছি তিনি নাকি নতুন করে আবার জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন?
দেখা যেহেতু হয়নি, তাই খোঁজখবরও জানি না। তা ছাড়া এখন তো অপু আমার জীবনে নেই, তাই খোঁজখবর রাখার দরকার মনে করি না। তাঁকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক না। কারণ, অপুর ব্যক্তিগত জীবন আছে। সে এখন সামনের দিকে এগোবে। এখন তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করলে অপুর ঝামেলা হতে পারে। দরকার কী? আর সে নতুন করে জীবন শুরু করতেই পারে। এটি তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।
প্রশ্ন :
নতুন করে নিজের কথা ভাবছেন না?
এত তাড়াতাড়ি না। আরও পরে ভাবব। পারিবারিক কারণে বিয়েটা তাড়াহুড়ো করে করতে হয়েছিল। সেই ভুল এবার আর করব না। বিয়ে তো আর বারবার করা যাবে না। তাই এবার বুঝেশুনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।