কাদা–ছোড়াছুড়িতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে

দিনাত জাহান মুন্নীছবি : সংগৃহীত
মগবাজার উড়ালসড়ক স্তম্ভে সাঁটা ছিল পোস্টার। সেখানে সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীর ছবি। লেখা ছিল—আমরা সূর্যমুখীর আয়োজনে শনিবার পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তাঁর একক সংগীতসন্ধ্যা। সাভারে এক শুটিং স্পট থেকে নিজের কাজ ও সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

প্রশ্ন :

সাভারে কিসের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন?

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গানবাংলা ‘ও আমার দেশের মাটি’ গানটি নতুন করে তৈরি করছে। দেশের ৫০ জন শিল্পী গানটি গেয়েছেন। স্মৃতিসৌধে সেটারই শুটিং চলল দিনভর। সাবিনা ইয়াসমীন, সৈয়দ আব্দুল হাদী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ এ প্রজন্মের শিল্পীরা অংশ নিলেন।

দিনাত জাহান মুন্নী
প্রথম আলো

প্রশ্ন :

কাল (আজ শনিবার) সংগীতসন্ধ্যার বিস্তারিত জানতে চাই।

এটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আমরা সূর্যমুখী’র আয়োজন। এটি হওয়ার কথা ছিল গত বছর। করোনার কারণে প্রায় এক বছর পেছাল। মহামারিকালের লকডাউন পার করে এটাই তাদের প্রথম আয়োজন।

প্রশ্ন :

কী কী গান শোনাবেন ঠিক করেছেন?

দেশের গান দিয়ে শুরু করব। এরপর পুরোনো দিনের বাংলা সিনেমার গান। এ ছাড়া আমার পছন্দের কিছু গান গাইব। আমার দুই মেয়েও গাইবে। ‘আমরা সূর্যমুখী’ বিশেষ করে বলে দিয়েছে।

দিনাত জাহান মুন্নী
সংগৃহীত
দুই মেয়ের সঙ্গে
ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

আপনার দুই মেয়ে প্রতীক্ষা ও প্রেরণা মায়ের সঙ্গে গাইতে প্রস্তুত?

হ্যাঁ, তারা দুজনই বেশ ভালো গান করে। ছোট ছেলেও গান শিখছে। মনে হচ্ছে সে–ও গানের লাইনে আসবে।

প্রশ্ন :

ইদানীং কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?

এখন আসলে খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। একের পর এক টেলিভিশন প্রোগ্রাম করছি। সামনে আরও কিছু আছে। মার্চ মাসে আবার মঞ্চে গাওয়া শুরু করব। দেশের বাইরের ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। আসলে একসঙ্গে অনেকগুলো উপলক্ষ জড়ো হয়েছে।

দিনাত জাহান মুন্নী
সংগৃহীত

প্রশ্ন :

‘কার্নিশে রোজ একটা পাখি’ গানটা থেকে কেমন সাড়া পেলেন?

খুব ভালো। অনেক শিল্পী আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, গানটি শুনে তাঁদের শান্তি লেগেছে। এই অস্থিরতার মধ্যে গানটি যদি সত্যিই কাউকে প্রশান্তি দেয়, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর নেই।

প্রশ্ন :

দাম্পত্যের ২৩ বছর পেরিয়ে কেমন লাগছে?

লম্বা জার্নি। এটা এখন আর ‘কেমন লাগা’র বিষয়ে নেই। নিত্য অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কবে একা ছিলাম, এটাই এখন আর মনে পড়ে না। মাঝেমধ্যে মনে হয়, কীভাবে এত তাড়াতাড়ি এতগুলো বছর চলে গেল! আবার ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে দেখি, তারা বড় হয়ে গেছে। মনে হয়, আসলেই অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে।

দিনাত জাহান মুন্নী
সংগৃহীত

প্রশ্ন :

দেশে শিল্পীদের মতবিরোধ বাজেভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ছে ফেসবুকে। শিল্পীদের ঝগড়া কি আরেকটু রয়ে–সয়ে হওয়া উচিত নয়?

এটা খুব নোংরা একটা ব্যাপার। ভিন্নমত থাকতেই পারে, সেটা কিন্তু ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে এসবের সমঝোতা করা যায়। তা না করে সেটা চলে আসছে ফেসবুকে। শিল্পীকে এভাবে স্ট্যাটাস দিতে দেখে তাঁর ফ্যান ফলোয়াররাও অন্য পক্ষকে গালমন্দ করছে। সেসবের ভাষা তো যাচ্ছেতাই। এভাবে লাখো মানুষ মেতে উঠছে গালিগালাজ আর নোংরা মন্তব্যযুদ্ধে। কাদা–ছোড়াছুড়িতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আমার মনে হয়, এ রকম বাজে ব্যাপার বিশ্বের আর কোথাও হয় না। কখনো দেখেছেন ম্যাডোনা অ্যাডেলেকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাজে কথা বলছে?

দিনাত জাহান মুন্নী
সংগৃহীত