ক্রিকেটে আর ফেরা হয়নি: হামিন আহমেদ

হামিন আহমেদ। ছবি: আবদুস সালাম
হামিন আহমেদ। ছবি: আবদুস সালাম
>

মাইলস ব্যান্ডের সদস্য হামিন আহমেদ। বিশ্বকাপ চলাকালীন এবিসি রেডিও এফএম ৮৯.২-তে তিনি ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। প্রথম দিনের ধারাভাষ্যের অভিজ্ঞতা, নিজের খেলোয়াড়–জীবন ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় কথা বলেন তিনি।

ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?
ক্রিকেট খেলতাম। ধারাভাষ্য, ক্রিকেট, বিশ্বকাপ—মিস করার কোনো কারণ দেখি না। যদিও আমাদের ভীষণ ব্যস্ততা। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, ব্যস্ততার মধ্যে যতটা সম্ভব করব। তাঁরাও স্বাধীনতা দিয়েছে, ক্রিকেটের প্রতি আবেগও কাজ করেছে। ধারাভাষ্যে এটা আমার অভিষেক। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা—বল সুইং করছে। ব্যাটে-বলে একটু গ্যাপ আছে।

ধারাভাষ্যে আপনার পছন্দের কেউ আছেন?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রীড়া সাংবাদিক, লেখক ও রেডিও ধারাভাষ্যকার টনি কোজিয়ার আমার ভীষণ পছন্দের। খেলা নিয়ে তাঁর কমেন্ট্রি খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতাম।

আপনি তো নিজেও একসময় ক্রিকেট খেলতেন?
ন্যাশনাল স্পোর্টিং ক্লাব দিয়ে ক্রিকেট অধ্যায় শুরু। কামরুজ্জামান ছিলেন আমার মেন্টর। এরপর সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, আবাহনী ও মোহামেডানে খেলেছি। তখন আজাদ বয়েজের পাঁচ-ছয়জন জাতীয় দলে খেলতেন। জাতীয় দলে আমি খেলেছি ১৯৮৬ সালে। এর তিন বছর আগে জাতীয় দলের জুনিয়র টিমে ছিলাম।

ক্রিকেটে আগ্রহ জন্মাল কীভাবে?
বাবার কারণে আমাদের তিন ভাইয়ের ক্রিকেটে আগ্রহ হয়। বড় ভাই ভিক্টোরিয়া ক্লাবে খেলতেন। তিনি একদিন বললেন, সারা দিন বাসায় না থেকে ক্রিকেট খেললেই তো পারো। পরদিন ন্যাশনাল স্পোর্টিং ক্লাবে নিয়ে গেলেন। কামরুজ্জামান ভাই দেখে বলেন, তোমার ব্যাটিং স্টাইল ভালো। তুমি নিয়মিত খেল। প্রথম ম্যাচে নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে মাঠে নামি।

খেলা ছাড়লেন কেন?
১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডে আইসিসি ট্রফি খেলতে যাই। সেখানে আমার একক সর্বোচ্চ রান ছিল, গড় রানেও এগিয়ে ছিলাম। পরের বছর আজাদ বয়েজের অধিনায়ক হলাম। কিন্তু ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো ভরসা ছিল না। গান ও কম্পিউটার ব্যবসাও চলছিল।’ ৮৭ সালে খেলা ছাড়ি, এরপর ক্রিকেটে আর ফেরা হয়নি।

কোনো আফসোস হয়?
মনে হয়, এ যুগে জন্মালেই ভালো হতো। স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সময় খুব চিৎকার করি। ভাবতে থাকি, এখানেই তো ছক্কা মেরেছিলাম।

এবারের বাংলাদেশ দলকে কেমন দেখছেন?
বাংলাদেশ দল তাদের সুন্দর সময়ে আছে। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের চমৎকার সমন্বয়। সবাই নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারলে বিশ্বকাপ জয় করতেও পারে। বাংলাদেশ দল বিশ্বের যেকোনো দলকে, যেকোনো সময়ে হারিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে।

নতুনদের কেউ কি আলো ছড়াতে পারবেন?
মিরাজ খুবই সম্ভাবনাময়। মোসাদ্দেকের ভবিষ্যৎও ভালো। বিশ্বকাপে সবাই সুযোগ পাবে, কে, কীভাবে কাজে লাগাতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন কবে?
১২ কিংবা ১৪ জুন মাইলস উড়াল দেবে।