গানের নাম কুমিল্লা স্কয়ার
গানের পাশাপাশি গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দিঠি আনোয়ার। সম্প্রতি কণ্ঠ দিয়েছেন বেশ কিছু মৌলিক গানে। শিগগিরই প্রকাশিত হবে সেসবের সংগীতচিত্র। সংগীতচর্চাসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন এই শিল্পী।
প্রশ্ন :
টিভিতে গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনে শিল্পীদের গভীর সব প্রশ্ন করতে দেখি আপনাকে। কী ভেবে এমনটা করেন?
আমাদের বাড়িতে বড় বড় শিল্পী ও গানের মানুষের যাতায়াত ছিল। আমি জানি একটি গান কণ্ঠশিল্পীর একার সৃষ্টি নয়, এর পেছনে অনেক শিল্পীর শ্রম থাকে, গানের পেছনে দারুণ কিছু গল্প থাকে। চেষ্টা করি আমার অনুষ্ঠান থেকে মানুষ কেবল বিনোদন নয়, কিছু গল্প ও তথ্যও যেন পায়। সংগীত পরিবারের মানুষ হিসেবে আমার বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, অনেক গানের পেছনের গল্প ও তথ্য আমার জানা। আমি জানি কী ধরনের প্রশ্ন করে বিচিত্র সব তথ্য তুলে আনা যাবে।
প্রশ্ন :
গানের মানুষ হয়ে উপস্থাপনায় এলেন কেন?
বাবা গাজী মাজহারুল আনোয়ার গীতিকবি আর মা জোহরা গাজী ছিলেন উপস্থাপক। এ কারণেই হয়তো আমি কণ্ঠশিল্পী হয়েছি আর গানের অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হয়েছি। তা ছাড়া গান আমার চেনা বিষয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনেক তরুণ শিল্পী আমার অনুষ্ঠানে পুরোনো দিনের গান করেন, কিন্তু পেছনের গল্প জানেন না। আমি দর্শকদের উদ্দেশে সেটা বলি দিই, আমারও ভালো লাগে, শিল্পীরও ভালো লাগে। মাছরাঙার ‘রাঙা রাত’, চ্যানেল আইয়ের ‘পালকি’ বা আরটিভির ‘এই রাত তোমার আমার’ তিনটা অনুষ্ঠানই আমি খুব উপভোগ করি।
প্রশ্ন :
বাবার গাওয়া গান প্রথম কবে গেয়েছিলেন মনে পড়ে?
যত দূর মনে পড়ে আমার অষ্টম জন্মদিনে। বাবা একটা হারমোনিয়াম উপহার দিয়েছিলেন, সঙ্গে আমার জন্য লিখেছিলেন একটা নতুন গান। সেই প্রথম বাবার লেখা গান করা।
প্রশ্ন :
সম্প্রতি বাবার লেখা কোন গানটা করলেন?
সম্প্রতি বাবার লেখা একটি গান করেছি আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে। ‘তোমার দৃষ্টিতে আমি কেমন’ শিরোনামে শিগগিরই মিউজিক ভিডিওসহ গানটা বের হবে। মজার কথা হচ্ছে, গানের সুরকার আহমেদ কিসলু ভাইসহ গানটির আমরা চারজনই কুমিল্লার। বাবা এ গানের নাম দিয়েছেন কুমিল্লা স্কয়ার।
প্রশ্ন :
কোন কোন সিনেমার জন্য গাইলেন?
‘জ্বীন’, ‘যৈবতী কন্যার মন’ ছবি দুটোর জন্য তিনটি গান করেছি। এর মধ্যে একটি একক কণ্ঠে, বাকি দুটি দ্বৈত।