দর্শকের ভালোবাসাই হবে আমার পারিশ্রমিক

অর্চিতা স্পর্শিয়া।  ছবি: প্রথম আলো
অর্চিতা স্পর্শিয়া। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম দিন ছবিটি দেখতে হলে গিয়েছিলেন?

গিয়েছি তো। মা এবং ছবির পুরো টিমের সঙ্গে গিয়েছি শ্যামলী সিনেপ্লেক্সে। ওখান থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সের দিকে যাচ্ছি। বলাকা আর মধুমিতায় খবর নিয়েছি। জানতে পেরেছি, দর্শকের উপস্থিতি খারাপ নয়।

কাজল চরিত্রটি কেমন?
কাজল গ্রামের একটি মেয়ে। কলেজে পড়ে। তবে বেশ আধুনিক মনস্ক। তার চলাফেরা, মানুষের সঙ্গে মেলামেশা বেশ পরিচ্ছন্ন। গ্রামের একটি ছেলে হাসুকে কাজল ভালোবাসে। তাকে নিয়েই ঘর বাঁধতে চায়, চলতে চায়—এমন একটি চরিত্র। গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার গজারমারা গ্রামে পুরো ছবির শুটিং করেছি আমরা।

ছবিটির প্রচারণা কেমন করলেন?
কাজের ফাঁকে ফাঁকে নভেম্বর মাস থেকেই ছবিটির প্রচারণায় আছি। দেশের বেশ কটি টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালের অফিসে গিয়ে ছবিটি নিয়ে সাক্ষাত্কার দিয়েছি। সবাই ছবিটির প্রচারে সহযোগিতা করেছেন আমাদের।

কতগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে?
১৮টি প্রেক্ষাগৃহে। বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, মধুমিতা, বলাকা, শ্যামলী সিনেপ্লেক্সও আছে।

ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা কেমন?
অনেক প্রত্যাশা। কারণ, এই ছবিতে আমরা তিন বছর সময় নিয়ে কাজ করেছি। শুধু অভিনয়ই নয়, এখানে আমি সহকারী পরিচালকের কাজও করেছি। ছবিতে কাজ করে কোনো পারিশ্রমিক নিইনি। দর্শকের ভালোবাসাই হবে আমার পারিশ্রমিক।

নতুন কোনো ছবিতে কাজ করছেন?
মানুষের বাগান ছবির কাজ শেষ। যতটুকু শুনেছি, আগামী ছয় মাস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উত্সবে ছবিটি প্রদর্শিত হবে। এরপর বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া হবে। আগামী মার্চ থেকে নতুন ছবির শুটিং। ছবির নাম এখনই বলতে চাইছি না।

নাটকে আর কাজ করবেন না?
নিয়মিত সিনেমা করছি। এটি নিয়ে তিনটি ছবি মুক্তি পেল। গত তিন বছর নাটক করিনি। তবে একেবারেই যে করব না, তা বলছি না। কোনো নাটকের গল্প, চরিত্র, পরিচালক—সবকিছু যদি আমার ভালো লাগে, তাহলে নাটকেও কাজ করব।