দিন দিন ছবি নির্মাণ কমছে: বাপ্পী

গত শুক্রবার দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দাগ হৃদয়ে’ ছবিটি। তারেক শিকদার পরিচালিত ছবিটিতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী চৌধুরী। এদিকে এ বছরই আরও দুটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে বাপ্পীর। এসব নিয়ে কথা হলো প্রথম আলোর সঙ্গে।
বাপ্পী চৌধুরী
বাপ্পী চৌধুরী

‘দাগ হৃদয়ে’ ছবিটি আপনি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছেন?

না, দেখা হয়নি। বন্ধুরা মিলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের চূড়ান্ত ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে গিয়েছিলাম। আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল ম্যাচটি দেখার। দু–এক দিনের মধ্যে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখব। তবে প্রথম দিন না যেতে পারলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ছবির খবর নিয়েছি, নিচ্ছি।

সাড়া কেমন?

ছবির খবর ভালো পাচ্ছি। মুক্তির প্রথম দিন বিপিএলের ফাইনাল খেলা, বাণিজ্য মেলার শেষ দিন ছিল। তাই সম্ভবত দর্শক কম হওয়ারই কথা। তারপর সনি, চম্পাকলিসহ বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে প্রথম দিন পরপর দুটি শো হাউসফুল হয়েছে।

মুক্তির প্রথম দিন নিজের অভিনীত ছবি দেখতে, দর্শকদের উত্সাহিত করতে প্রেক্ষাগৃহে না গিয়ে খেলা দেখতে খেলার মাঠে যাওয়াটাকে কীভাবে দেখবেন?

প্রথম দিন ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে না যাওয়াটা একধরনের ভুলই হয়েছে। সত্যি কথা কি, বন্ধুরা মিলে চূড়ান্ত ম্যাচটি দেখার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। তবে শুধু যে খেলাই দেখেছি, তা নয়। খেলা দেখতে দেখতে দাগ হৃদয়ে ছবির প্রচারণার কাজটিও করেছি।

‘নায়ক’ ছবির পর প্রায় এক বছর হয়ে গেল নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে দেখা যায়নি, কারণ কী?

এখন তো ছবির সংখ্যাই কম। দিন দিন ছবি নির্মাণ কমছে। আমরা অনেকটাই পিছিয়ে যাচ্ছি। তবে আগামী মার্চ মাসে নতুন একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হব। কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়েছে।

পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কী মনে হয়?

চলচ্চিত্রের মানুষগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব পুরো চলচ্চিত্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এর আগে যে আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলন আমাদের ক্ষতি করে দিয়েছে। আন্দোলন করে নিজেদের দ্বন্দ্বের কথা এভাবে দেশবাসীকে জানানো ঠিক হয়নি। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে বসেই সমাধান করা উচিত ছিল।

নতুন বছরে চলচ্চিত্রকে নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
দেশের সব সিনেমা হল সংস্কার, ই-টিকিটিং, হলে সরকারি মেশিন বসানো—এসব বিষয়ে নতুন সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ থাকবে আশা করছি। পাশাপাশি চাইব, সরকার যেন দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে অন্তত একটি করে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ করে দেয়।

আপনার আর কী কী ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে?
এ বছরই আরও দুটি ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুত আছে। একটি শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২, অন্যটি ডেঞ্জারজোন। আর পাগলামি, ভোলা ও প্রেমের বাঁধন নামে তিনটি ছবির শুটিং চলছে।

শেষ তিন প্রশ্ন
সহশিল্পী হিসেবে কে বেশি পছন্দ—মিম, নাকি আঁচল?
দুজনই আমার পছন্দের। দুজনই সহশিল্পী হিসেবে ভালো।

নিজের পছন্দে, নাকি পরিবারের পছন্দে বিয়ে করবেন?
পরিবারের পছন্দে বিয়ে করতে চাই।

কার অভিনয়ে হিংসা লাগে?
চঞ্চল ভাইয়ের অভিনয়ে হিংসা হয়।