দেখিয়ে দেব, আমাকে দিয়ে যেকোনো চরিত্র সম্ভব

সম্প্রতি ‘শান’ ছবির গান শেষ করলেন, সিনেমাটি ঈদে মুক্তির কথা ছিল।

‘শান’ ঈদের জন্য প্রস্তুত ছিল। যত দূর শুনেছি, করোনা পরিস্থিতির জন্য ঈদে ছবিটি মুক্তি পাবে না। এটা আমার জন্য অনেক কষ্টের। এই কষ্ট কাউকে বোঝানো যাবে না। সবাই চান তাঁর সিনেমাটি বড় উৎসবে মুক্তি পাক, সবাই দেখুক। কিন্তু করোনার কারণে কারও কিছু করার নেই।

করোনার আগে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার কাজ শুরু করেছিলেন। কাজ কত দূর এগোল?

‘মাসুদ রানা’র চট্টগ্রামের কাজ শেষ করে ঢাকা অংশের কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলাম, তখনই শুরু হলো লকডাউন। সম্প্রতি টাঙ্গাইলে শুটিং শুরু হয়েছে।

শুনলাম আহত হয়েছেন?

শুটিং করতে গিয়ে কিছুটা আহত হয়েছিলাম। সবাই বলেছিল শুটিং না করতে। কিন্তু আমি শুটিং করলে ইউনিটের অনেকেই ঈদের আগের কিছু টাকা পাবেন সেই চিন্তায় শুটিং বাতিল করিনি। এখন ভালো আছি। নিয়মিত শুটিং করছি।

লকডাউনে অনেকদিন শুটিং করলেন না, অনেকগুলো সিনেমার কাজ সামনে, শিডিউল নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে না?

আবার শিডিউল জটিলতায় পড়তে হবে। এটা কাটিয়ে উঠতে অনেক সমস্যা হবে।

করোনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে কী?

আমি কাজপাগল মেয়ে। শুটিংয়ে যদি কাজ না–ও থাকে, মনিটরের সামনে বসে থাকতেও ভালো লাগে। আমার ঘরে থাকতে একদম ভালো লাগে না। কবে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হবে, নিয়মিত আবার শুটিং করতে পারব—সেটিই ভাবাচ্ছে। খুব খুশি হতাম, যদি ঘুম থেকে উঠে দেখতাম একটা করোনামুক্ত পৃথিবী।

এত তাড়াতাড়ি কাজপাগল হয়ে ওঠার কারণ কী?

যখন থেকে আমি শুটিং বুঝতে পেরেছি, মনে হয়েছে এটাই আমার জায়গা, তখন থেকেই অভিনয় নিয়ে আমার মধ্যে এই পাগলামির শুরু। শুটিংয়ের সময়ের যে আড্ডা, সেটা আমি ভীষণ মিস করি। অনেকে জানেই না, আমি শুটিংয়ে অনেক দুষ্টুমি করি। কারণ, শুটিং ইউনিট আমার কাছে আরেকটি পরিবার।

নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে শুটিংয়ে যাওয়ার আগে আড্ডা নিয়ে কী প্রস্তুতি থাকে?

শুটিংয়ে যাওয়ার আগে মনে হয়, আজ আর মজা করা হবে না। কিন্তু স্পটে গেলে বুঝি, আমার মতো পাগল আরও আছে। দুষ্টুমি সবাই পছন্দ করে। প্রথমে অনেককেই মনে হয়, ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না, দুধে ধোয়া তুলসীপাতা। যখন পরিচয় হয়, দেখা যায় সবাই খুবই মিশুক।

সম্প্রতি আপনাকে নিয়ে কী আলোচনা হচ্ছে?

অনেকে বলেন ‘মাসুদ রানা’র সোহানা চরিত্রে আমাকে মানাবে না। কারণ, আমি কিছু সিনেমায় গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। থ্রিলারের চরিত্র কি আমি পারব? আমি দেখিয়ে দেব, আমাকে দিয়ে যেকোনো চরিত্র সম্ভব।

সময় কাটছে কীভাবে?

জিম করছি, মোবাইলে পড়াশোনা করি। তবে ব্যায়াম–ইয়োগা করেই বেশি সময় যাচ্ছে। আমি ফিটনেসটা ঠিক রাখতে চাই। ‘লকডাউনে মোটা হলেন পূজা চেরি’—এমন কোনো নিউজ চাই না। এখন শুটিং তো আছেই। অনেকটাই সময় কাটে ফেসবুকে।

শুনি, ফেসবুকে অনেক অভিনয়শিল্পী প্রেমের প্রস্তাব পান, আপনার ক্ষেত্রে এমনটা কি হয়েছে?

অহরহ প্রেমের প্রস্তাব পাই। ইদানিং প্রেম তো দূরে থাক বিয়ের প্রস্তাব লিখে পাঠায়। তাদের, একটাই কথা আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। এমন এসএমএম চোখে পড়লেই আমি বোকা হয়ে যাই।

আপনি দেখে কি রিপ্লাই দেন?

এতো প্রস্তাব, উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না। মাঝে মাঝে বলতে হচ্ছে করে আমার বিয়ে বয়স হয়নি।