নাটকের কাজ আরামদায়ক মনে হয় না

সড়কদুর্ঘটনা থেকে সেরে উঠে আবার কাজে ফিরেছেন অভিনেত্রী ও মডেল নাজিফা তুষি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন ডাবিংয়ের জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন এই লাক্স তারকা।

প্রশ্ন :

কিসের ডাবিং?

একটি প্রামাণ্যচিত্রের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর রবিউল ইসলাম রবি ও শিবুকুমার শীল একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন। সেটির ভয়েস দেব। তবে এটি আমার নিজের অভিনীত প্রামাণ্যচিত্র না।

প্রশ্ন :

বাইরের কাজেও কণ্ঠ দেন?

হ্যাঁ, অনেক দিন ধরেই করি কাজটি। তবে একেবারেই কাছের কিছু মানুষের কাজের জন্য দরকার হলে করি। ভয়েস নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। তবে নিয়মিত এ কাজ করি না।

প্রশ্ন :

এখন শরীরের অবস্থা কেমন?

সবার দোয়ায় ভালো আছি। এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আমি।

প্রশ্ন :

কাজে ফিরেছেন কবে?

অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে। বলতে পারেন, দুর্ঘটনা থেকে সুস্থ হয়ে এক মাসের মাথায় কাজে ফিরেছি। ফটোশুট ও বিজ্ঞাপনের কাজ করছি আপাতত। তবে এখনো অভিনয় শুরু করিনি।

প্রশ্ন :

কবে শুরু করবেন?

বেশ কটি কাজ হাতে ছিল। দুর্ঘটনার কারণে একটি ওয়েব সিরিজের কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে। অন্য একজনকে দিয়ে কাজটি করিয়েছেন প্রযোজক। তবে সিডিউল দেওয়া কয়েকটি কাজ দুর্ঘটনার কারণে পিছিয়েছিল। নতুন করে ওগুলোর প্রস্তুতি চলছে। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে একটি কাজ শুরু করতে পারব।

নাজিফা তুষি
ইনস্টাগ্রাম

প্রশ্ন :

২০১৭ সালে ‘আইসক্রিম’ ছবিতে অভিনয় করে পরিচিতি পান। এরপর ২০১৯ সালে ‘হাওয়া’ করেন। সিনেমার কাজ কম কেন?

করলে তো অনেক সিনেমায় কাজ করতে পারতাম। সিনেমার কাজই বেশি করতে চাই। কিন্তু ভালো গল্প ও ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজের সুযোগ কম হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আমার পছন্দের পরিচালকের সঙ্গে ব্যাটে–বলে মেলেনি।
প্রায় দুই বছর হয়ে গেল ‘হাওয়া’ সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে।
অনেক কষ্ট করে কাজটি করেছি। গহিন সমুদ্রে শুটিং হয়েছে। ছবির পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন সময় নিয়ে শুটিং শেষ করেছেন। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজও সেভাবেই করছেন। এ জন্য সময় লাগছে। আপাতত মিউজিক ও কালার গ্রেডিংয়ের কাজ চলছে। তবে পরিচালকের মুখ থেকে যতটুকু শুনেছি, তাতে চলতি বছরের শেষে ছবিটির ট্রেলার আসতে পারে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে মুক্তির সম্ভাবনা আছে।

প্রশ্ন :

সিনেমা ও ওটিটির কনটেন্টে কাজ করলেও নাটকে আপনাকে দেখা যায় না। কারণ কী?

নাটকের কাজ আরামদায়ক মনে হয় না আমার কাছে। কখনো কখনো নাটকে এক দিনে ১৫-২০টি দৃশ্যও করতে হয়। মনে হয় যাঁরা নাটকে অভিনয় করেন, তাঁরা ট্যালেন্টেড। দ্রুতই চরিত্রে ঢুকে যেতে পারেন। অনেকে আবার প্রস্তুতি ছাড়াই অভিনয় করতে পারেন। কিন্তু আমি প্রস্তুতি ছাড়া কাজ করতে পারি না। এ কারণে নাটকে কাজ করতে স্বস্তিবোধ করি না।

নাজিফা তুষি
ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রশ্ন :

শুনেছিলাম অভিনয়ের ওপর কোর্স করেছেন...

‘প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাক্টিং অ্যান্ড ডিজাইন’–এ এক বছরের কোর্স করেছি। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার আগে আগে জামিল আহমেদ স্যারের কাছে এক সপ্তাহের অভিনয়ের ওপর কর্মশালা করেছি।

প্রশ্ন :

থিয়েটারে যোগ দেবেন নাকি?

না, এখনই থিয়েটারে যোগ দিচ্ছি না। এখানে প্রচুর সময় দিতে হয়। তবে ফ্রিলান্সিংভাবে থিয়েটার প্রোডাকশন করার ইচ্ছা। আশা করছি, জামিল আহমেদ স্যারের প্রোডাকশনে প্রথম কাজ করব।