‘ফেসবুকের কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়’

বুধবার বিকেলে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হয়েছে টেলিছবি রংমিস্ত্রি। ইশতিয়াক আহমেদের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় এতে অভিনয় করেন সারিকা সাবরিন। মাঝে বেশ কিছুদিন বিরতিতে থাকা এই অভিনয়শিল্পী এখন অনেক বেশি নিয়মিত। এসব নিয়েই গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় কথা হলো তাঁর সঙ্গে। সারিকার সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, তখন তিনি ছয় বছর বয়সী স্যাহরিশ আমায়াহকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন।

প্রশ্ন :

আজ শুটিং নেই?

উত্তরায় শুটিং ছিল। শুটিংয়ের মাঝে ৪ ঘণ্টা ব্রেক পেয়েছি, তাই মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি।

সারিকা সাবরিন
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

‘রংমিস্ত্রী’ প্রচারিত হয়েছে। কেমন সাড়া পেয়েছেন?

টেলিছবিটি নিয়ে খবরের কাগজে অনেক নিউজ হয়েছে। আমার কানে এসব এসেছে। টেলিছবিটি নিয়ে কয়েকটা ফোনও পেয়েছি। আমি তো আজ শুটিংয়ে, তাই খুব একটা সময়ও পাইনি। তা ছাড়া আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। এখন তো ফেসবুকে সবাই রেসপন্স খোঁজেন। কয়েকটা দিন পার হলে আরও ভালো করে বুঝতে পারব।

‘রংমিস্ত্রী’তে সারিকা ও সজল। মাঝে কয়েক বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন সারিকা
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

ফেসবুক ব্যবহার না করে কি ভালো আছেন?

আলহামদুলিল্লাহ। যদিও আমি ফেসবুকবিরোধী নয়। এটা অবশ্যই ঠিক যে বর্তমান সময়ে অনেক কাজে প্রয়োজন পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া। আমার ক্ষেত্রে যদি বলি, ফেসবুক ছাড়া মানসিকভাবে শান্তিতে আছি। আমার মনে হয়, ফেসবুকের কারণে অনেক সময় নষ্ট হয়। এটাও ঠিক, পজিটিভ–নেগেটিভ তো সব জায়গায় থাকে। আমি ফেসবুক ব্যবহার না করায় অনেক টাইম সেভ হয়। এই টাইমটা আমার মেয়েকে দিই। নিজেকেও দিতে পারি।

প্রশ্ন :

ফেসবুকে কি আর ফেরা হবে না?

হুমম ফিরব। যখন ইচ্ছে হবে, তখন ফিরতে পারি, আবার না–ও পারি।

সারিকা সাবরিন
ফেসবুক

প্রশ্ন :

মনে হচ্ছে আপনি মনের মর্জিতে চলা মানুষ।

বিনোদন অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা আছেন, আমার পরিচিত সবাই এমনটা জানেন। তবে মনটা আগের চেয়ে অনেক ধীরস্থির হয়েছে।

প্রশ্ন :

আগে আপনাকে নিয়ে একটা অভিযোগও ছিল, শুটিংয়ে ঠিকমতো পাওয়া যায় না...

আগাগোড়াই আমি যে মানুষের খুব বেশি হ্যাম্পার করছি, তা কিন্তু না। সবাই রিউমার ছড়াতে পছন্দ করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

মায়ের সঙ্গে সারিকা

প্রশ্ন :

বলছিলেন, আগের চেয়ে ধীরস্থির ও ম্যাচিউরড হয়েছেন। এই পরিবর্তন কবে থেকে হয়েছে?

নিজেকে অনেক গ্রুমিং করেছি। ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেছি। পরিবারের সবাই সাপোর্ট করেছে, তবে দিন শেষে নিজেকেই নিজে সাপোর্ট করতে হয়। এটাই বাস্তবতা। আমি সবখানে বলি, নিজেকে নিজে বদলাতে না চাইলে ২০ জন বা ১০০ জনে চেষ্টা করেও লাভ নেই। সবাই সহযোগিতা করবে কিন্তু গ্রহণ করারও তো মানসিকতা থাকতে হবে। স্বাভাবিক মানুষের যে পরিমাণ রাগ, আমার এখন তা–ও নেই।

প্রশ্ন :

অনেকের মতে, মনোযোগী হলে সারিকার অবস্থান আরও শক্ত থাকত।

এগুলো অনেকেই বলেন, আমি তাঁদের সঙ্গে একমত। এটা ঠিক, তখনকার সময়টাকে আরেকটু ইউটিলাইজ করতে পারতাম।

সারিকা সাবরিন
ছবি: ফেসবুক থেকে

প্রশ্ন :

অতীত নিয়ে কোনো অনুশোচনা?

আমি ওসবে অনুতপ্তও নই। আমি মনে করি, মানুষের জীবনে এমন ওঠানামা হতেই পারে। আমার কাজ কমিয়ে দেওয়া, সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া, বিয়ে, বিচ্ছেদ নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলতে পারেন—এই ভ্রমণটা আমার জন্য দরকারও ছিল। মানুষ হিসেবে সম্ভবত আমার এই উন্নতি হতো না, যদি না এই জার্নির মধ্য দিয়ে না আসতাম। জীবনের এই আপস অ্যান্ড ডাউন আমাকে নতুন এক মানুষ তৈরিতে সহযোগিতা করবে। তবে আমি এখন আগের চেয়ে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।