সবচেয়ে ভালো রান্না করি গান আর চা

গানের দল, চিরকুটফেসবুক
চিরকুট ব্যান্ডের ভোকাল শারমিন সুলতানা সুমির জন্মদিন ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর। সেদিন আর তাঁকে ফোনে পাওয়া গেল না। পরদিনও নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ঘুম ভেঙে ফোন ধরলেন তিনি। জন্মদিন, উপহার পাওয়া ও দেওয়া প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

প্রশ্ন :

জন্মদিনের কিঞ্চিৎ বাসি শুভেচ্ছা। ঘুম ভেঙে দিলাম, কিছুক্ষণ পর ফোন করব?

ধন্যবাদ। না, না, কোনো অসুবিধা নেই। এখনি কথা বলি।

শারমিন সুলতানা সুমি
ফেসবুক

প্রশ্ন :

কেমন কাটল জন্মদিন?

প্রতিবছর জন্মদিন আসে, আর আমার মনে হয়, আমার জীবনটা কত সুন্দর। আমি কত ভাগ্যবান! সবাই অনলাইনে, অফলাইনে অভিনন্দন জানিয়ে ভরিয়ে তুলছে। কত সুন্দর সুন্দর কথা, কত পুরোনো স্মৃতি, ছবি নতুন করে ভেসে ওঠে। এই একটা দিন আমি মন ভরে বাঁচি। এই দিন আমার সবই ভালো লাগে।

প্রশ্ন :

জন্মদিনে পাওয়া সবচেয়ে বড় উপহার কী?

মানুষের অগাধ ভালোবাসা। এই ভালোবাসা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। ব্যান্ডের সবাই সারপ্রাইজ দেয়। বাসার সবাই নানা আয়োজন করে। এবারও দূর থেকে অনেকেই চলে এসেছে আমার অফিসে। রাতের বেলা আমার দল আমাকে পুরান ঢাকা নিয়ে গেল। অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। রান্নাবান্না করে এনেছিল।

মঞ্চে চেনা সুমি
ফেসবুক

প্রশ্ন :

আপনি রান্না করতে পারেন? সবচেয়ে ভালো কী রান্না করেন?

গান। আমি সবচেয়ে ভালো রান্না করি গান। গান ছাড়া আমার হাতের চা বাড়ির সবাই পছন্দ করে। আর আমার দলের সবাই আমার রান্না করা খিচুড়ি আর গরুর মাংস ভালোবাসে। আমার তো সব খেতেই ভালো লাগে। তবে মা মাষকলাইয়ের ডাল দিয়ে একটা খিচুড়ি রান্না করে, ওইটা আমার খুব প্রিয়।

প্রশ্ন :

এবারের জন্মদিনে উল্টো আপনিই উপহার দিলেন ভক্তদের!

প্রতিবার সবার ভালোবাসার বিপরীতে শুকনা ধন্যবাদ জানাই। তাই এবার ভাবলাম অন্য কিছু করি। তাৎক্ষণিকভাবে ‘তোমায় ভালোবেসে ফায়ার ব্রিগেড হব’ গানটি লেখা, সুর করা আর গেয়ে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে ফেলা। এক দিনেই হুট করে বানানো গানটি দিয়ে আমি ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চেয়েছি। আসলে ভালোবাসার তো কোনো প্রতিদান হয় না। সবাই গানটা খুব পছন্দ করছে।

১৮ বছর ধরে যেকোনো দুঃসময়ে চিরকুট মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে
ফেসবুক

প্রশ্ন :

করোনাকালে লকডাউনে চিরকুটের কেমন কাটল?

১৮ বছর ধরে যেকোনো দুঃসময়ে চিরকুট মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। গত পাঁচ মাসে আমরা ছয়টি গান করেছি। এর ভেতর ঘরে থাকার গান আছে, বাচ্চাদের গান আছে, আছে আলোর গান। `আলোর গান' তো দারুণ সাড়া ফেলল। তা ছাড়া বেশ কিছু লাইভ শো করেছি। এখনো নতুন গান আর নতুন স্বাভাবিকে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে ব্যস্ত চিরকুট।

প্রশ্ন :

দুঃসময়ে যখন সবকিছু ভেঙে পড়ে, তখন আপনি কী করেন?

যখন একটা বড় ধাক্কা আসে, তখন খুব শক্ত মনোবলের মানুষটাও কেঁপে ওঠে। আমিও এর বাইরে নই। তবে আমি চেষ্টা করি যত দ্রুত সম্ভব সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে দাঁড়াতে। কারণ, দেরি হলেই সেটা জেঁকে বসবে। তখন সেটা ছাড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।

তিনি চিরকুটের সুমি
ফেসবুক