ধন্যবাদ আফরান নিশো, ধন্যবাদ তাসনিয়া ফারিণ

নিশো ও ফারিণ। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের এটা ছিল ২৬তম আয়োজন। প্রতিবারই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত সবার মুখে মুখে ফেরে একটা প্রশ্ন, কে বা কারা হবেন এবারের উপস্থাপক?
২০২৪ ছিল মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের রজতজয়ন্তীর বছর। মহা উৎসবটির কান্ডারি হয়েছিলেন দেশের সেরা উপস্থাপক হানিফ সংকেত। তিনি পঞ্চমবারের মতো এই অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন এবং সফলভাবেই শেষ করেন। তারপর! তার পর থেকেই শুরু হয় নতুন চিন্তা। আগামী বছর কে বা কারা হতে পারেন এই বিশাল মহাযজ্ঞের কান্ডারি?

বেশ কয়েকটি নামই মাথায় আসে। কিন্তু যোগ–বিয়োগ–গুণ–ভাগ করে কূলকিনারা করতে পারি না। তবু সাহস করে প্রথম ফোনটা তাসনিয়া ফারিণকেই করি। বলি, আগামী বছর (তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল ২০২৪ সালের অক্টোবরে) মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে আপনাকে ভাবছি। করবেন?
‘কী বলেন বকুল ভাই! আমি তো কখনো উপস্থাপনা করিনি। আমাকে দিয়ে এটা হবে না’—ফারিণের উত্তর।
আমিও নাছোড়বান্দা, ‘করেননি, এবার করবেন।’
কথা চলতে থাকল। বেশ কয়েকবার ফোনে কথা হল। শেষে ভেবে দেখার জন্য কিছুটা সময় চাইলেন ফারিণ।
তাঁকে ভাবনার সময় দিলাম।

এরপর ফোন করলাম আফরান নিশোকে। নিশোকে নিয়ে তিন বছর ধরেই পরিকল্পনা করছি। কিন্তু প্রতিবারই ফসকে যান নিশো। মানে উপস্থাপনার প্রস্তাবটি প্রতিবারই এড়িয়ে যান। বলেন, ‘ভাই, এটা আমাকে দিয়ে হবে না। আমাকে মাফ করেন।’
বললাম, হবে। হবে। আপনাকে দিয়েই হবে। এইবার শেষবারের মতো একবার শেষ চেষ্টা করেন। আপনি পারবেন।
নিশো পিছলান, আমি আবার ছাই দিয়ে ধরি।
শেষ পর্যন্ত দুজনকেই রাজি করালাম।

আরও পড়ুন

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দুজনই উধাও। কাউকেই পাই না। ‘দাগী’ ছবির প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত নিশো। আর ফারিণ গেছেন লন্ডনে, স্বামীর কাছে।

নিশো ও ফারিণ। ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

অগত্যা অপেক্ষা। এপ্রিলে আবার যোগাযোগ শুরু করি। ততদিনে লন্ডন থেকে ফিরেছেন ফারিণ। ‘দাগী’ মুক্তির পর নিশোও নির্ভার।

এক দুপুরে প্রথম আলোতেই দুজনের সঙ্গে প্রথম সিটিং দিই। সে–ই শুরু। তারপর শুরু হয় মহড়া। কাজটা নিয়ে দুজনেই যে কতটা সিরিয়াস এবং নিবেদিত, গত এক মাসেই তা টের পাওয়া গেল। প্রমাণ মিলল ২৩ মে উপস্থিত তিন হাজার দর্শকে পরিপূর্ণ হল অব ফেমের আলোঝলমলে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪–এর মঞ্চে। দুজনের চমৎকার রসায়নে উপস্থাপিত হলো উপভোগ্য জমজমাট সফল এক অনুষ্ঠান, যা মেরিল–প্রথম আলোর অন্যতম সেরা অনুষ্ঠান হয়ে থাকবে। ধন্যবাদ আফরান নিশো। ধন্যবাদ তাসনিয়া ফারিণ। এ রকম বর্ণাঢ্য একটি অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য দুজনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দুজনকেই অভিনন্দন।