তটিনীর জীবনের নানা দিক

ছয় বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন। আর চার বছর ধরে নিয়মিত অভিনয় করছেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী। ছোট পর্দার আলোচিত মুখ। অভিনয়েও পার করছেন ব্যস্ত সময়। আজ তাঁর জন্মদিন। একনজরে জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের নানা দিক।
১ / ১০
এখন অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও ছোটবেলায় অভিনেত্রী হবেন—এমনটা ভাবেননি তটিনী। কিন্তু ভাগ্যই তাঁকে অভিনয়ে এনেছে। অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা ছিল গাইনির ডাক্তার হবেন। মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষাও দিয়েছিলেন।
২ / ১০
নীলফামারী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পান তটিনী। কিন্তু বরিশালের মেয়ে তটিনীর ইচ্ছা ছিল বরিশাল মেডিকেল। সেখানে পড়ার সুযোগ না পাওয়ায় আর মেডিকেলে পড়া হয়নি। পরে আর আলাদা করে ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো কিছু ভাবেইনি। এরপর ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন।
৩ / ১০
তটিনী ২০১৯ সাল থেকে বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ শুরু করেন। টানা দু-তিন বছর বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন। ওই সময় অভিনয়ের প্রতি তেমন দুর্বলতা ছিল না। একটা সময় চরকির অ্যান্থলজি সিনেমা ‘এই মুহূর্তে’-এ অভিনয় করেন। কাজটি করার পরই মনে হয়েছে অভিনয়কে সিরিয়াসলি নেওয়া যায়। তখন থেকেই অভিনয়ে নিয়মিত হন।
৪ / ১০
নাটকে অভিনয়ের কারণে একটা সময় এসে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেতে থাকেন তটিনী। তবে অনেক প্রস্তাবে রাজি না হলেও পিপলু আর খান পরিচালিত ‘জয়া আর শারমীন’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনয়জীবনের একদম শুরুর দিকে ছবিটিতে কাজ করেন তটিনী। মাত্র ১৫ দিনে, করোনা মহামারির কঠিন সময়ের মধ্যে সীমিত একটি দল নিয়ে ছবিটি তৈরি হয়। ছবিতে তটিনী ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, মোহসিনা আক্তার। যৌথভাবে ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পিপলু আর খান ও নুসরাত ইসলাম।
৫ / ১০
এরপর আরও সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে তটিনীর উত্তর ছিল এমন, ‘আমি নাটকটাই শুরু করেছি বেশি দিন হয়নি। নাটকে আমার আরও দর্শক হোক। বড় পর্দায় নিয়মিত হওয়া নিয়ে এখন সেভাবে ভাবছিই না। কারণ, বড় পর্দার জন্য যে পরিমাণ অভিজ্ঞতা, প্রস্তুতি দরকার, তা আমার হয়েছে বলে আমি মনে করি না। নাটকে আমাকে দর্শক অনেক ভালোবাসা দিচ্ছেন। ভালো গল্প, শক্তিশালী চরিত্রে কাজের সুযোগ হলেই বড় পর্দায় কাজ করব। সেটি আরও পরে।’
৬ / ১০
অভিনয়ের জন্য তটিনী এরই মধ্যে মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। ‘সময় সব জানে’ নাটকে অভিনয়ের জন্য ‘মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৩’-এ সেরা সমালোচক বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তটিনী। এ প্রসঙ্গে তটিনী বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, প্রথমেই আমি সমালোচক পুরস্কার পেয়েছি। বিজ্ঞ জুরিবোর্ড আমার কাজকে পছন্দ করে পুরস্কৃত করেছেন।’
৭ / ১০
অভিনয়ের ক্ষেত্রে কাউকে অনুকরণ বা অনুসরণ না করলেও কারও কারও অভিনয় তটিনীর বেশ ভালো লাগে। এই তালিকায় আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, নাজিয়া হক অর্ষা, মেহজাবীন চৌধুরী।
৮ / ১০
কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তটিনীর নিজস্ব পদ্ধতি আছে, যা তিনি মেনে চলার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে তটিনী বলেন, ‘প্রথমে গল্প পড়ি, তাই গল্পটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একটা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের নিচে নেমে কাজ করে আমিও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব না। তারপর পরিচালক ও সহশিল্পী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিন শেষে গল্প ভালো হলেও পরিচালক ও সহশিল্পী যদি ভালো না হন, কাজটা ভালো হওয়া খুবই কঠিন।’
৯ / ১০
নাটকের ক্ষেত্রে এখন অনেকে ভিউকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এই ভিউয়ের পেছনে ছোটার কারণে আবার মানসম্পন্ন কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখাটা চ্যালেঞ্জও মনে করেন কেউ কেউ। তটিনীও তা–ই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘ভিউ ভেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের আলাদা কোনো হিসাব থাকে হয়তো। তবে আমি কোনো দিন ভিউয়ের কথা চিন্তা করে কাজ করিনি। তাই এটা নিয়ে বলাটা আমার জন্য মুশকিল। ভিউ তো খুব সহজে পাওয়া যায়। তা ছাড়া আমার কাজের ভিউ তো এত হয় না, তাই আমি জানিও না আসলে। বেশি ভিউ হলে তখন হয়তো বলতে পারতাম।’
১০ / ১০
জুটি হিসেবে এ সময়ের কয়েকজনের সঙ্গে কাজ করেছেন তটিনী। তবে তাঁর সঙ্গে কার রসায়ন বেশি পছন্দ করেছেন দর্শকেরা—এমন প্রসঙ্গে তটিনী বলেন, ‘সত্যি বলতে মানুষ পছন্দ করেন ইয়াশ রোহান ভাইয়ার সঙ্গে। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অপূর্ব ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করে খুব মজা লাগে। আমি বলছি না, অন্যদের সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগে না। আমাদের কয়েকটি কাজ দর্শক পছন্দও করেছেন। আনুপাতিক হারে অন্যদের সঙ্গে আমার কম কাজ হয়েছে।’