‘নো টাইম টু ডাই’ ছবিতে ড্যানিয়েল ক্রেগ।
সংগৃহীত

‘নো টাইম টু ডাই’–এর পরে আর বন্ড সিরিজের ছবি করবেন না ড্যানিয়েল ক্রেগ। তাই রব উঠেছিল, তবে পরের বন্ড নারী হোক। নামও এসেছিল কয়েকজনের। এর মধ্যেই আলোচনাটাকে উসকে দিলেন ক্রেগ। তাঁর প্রশ্ন, বন্ডকে নারী হতে হবে কেন?

ইয়ান ফ্লেমিংয়ের সৃষ্টি এই ব্রিটিশ এজেন্টের ভক্ত বিশ্বজুড়ে। ক্ষুরধার বুদ্ধি, অদম্য সাহস, পাথুরে মন এবং অস্ত্র চালনায় নিপুণ এই এজেন্ট। শুরু থেকেই বন্ড হিসেবে পুরুষ অভিনেতাদেরই দেখে আসছেন দর্শক। তবে বছর দুয়েক ধরেই বন্ড ফ্যানরা মেতেছেন একটি তর্কে। এক পক্ষের মতে, অনেক হলো, এবার ‘০০৭’–এর ভূমিকায় কোনো নারীকে দেখানো হোক। তাতে লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে যেমন বার্তা দেওয়া হবে, তেমনি গ্লোবালাইজেশনের সঙ্গেও পাল্লা দেওয়া যাবে। স্বাদেরও বদল হলো আরকি।

ড্যানিয়েল ক্রেগ।
ইনস্টাগ্রাম

ওদিকে অনেক বন্ড ফ্যানের চাওয়া পুরোনো ধারাই অব্যাহত থাকুক। পুরুষই থাকুক বন্ড। এ নিয়ে হলিউড তারকারাও দুই পক্ষ। ড্যানিয়েল ক্রেগ নিজেও এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আগে বলুন, কেন বন্ডকে নারী হিসেবে দেখানো হবে? এর প্রয়োজন কী? আসলেই তার কোনো দরকার আছে?’ সামান্য থেমে অল্প কথায় ‘বন্ড’ বলেন, ‘কেন শুধু শুধু একজন নারী বন্ডের চরিত্রে অভিনয় করতে যাবেন, যেখানে বন্ডের ছবিতে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে দিব্যি অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে নারীদের। তবে এটাও বলে রাখছি, বন্ড চরিত্রে সুযোগ রয়েছে যে কারোরই।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
ইনস্টাগ্রাম

’যদিও নারী বন্ডের ব্যাপারটি সামনে এলে অনেকেই বন্ড চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হয়েছিলেন। সেই তালিকায় আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। আর যদি পুরুষ বন্ড আসে পরবর্তী ছবিতে, সেখানে দেখা যেতে পারে হেনরি ক্যাভিল, টম হিডলস্টন, ক্রিস হেমসওয়ার্থ, টম হার্ডি, ইদ্রিস এলবার মতো তারকাদের। বন্ড হওয়ার প্রতি আগ্রহ তাদেরও কম নয়। পরবর্তী বন্ড পুরুষ হোক কিংবা নারী, কে হচ্ছেন ক্রেগ–পরবর্তী বন্ড, সেটাই এখন সবার আগ্রহের বিষয়।