ব্রিটনির কাছে ক্ষমা চেয়ে টিম্বারলেকের চিঠি

চার বছর প্রেম করেছেন সংগীত তারকা জাস্টিন টিম্বারলেক ও ব্রিটনি স্পিয়ার্সে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ওপরে যে ছবি দেখছেন, তার বয়স অন্তত দুই দশক। ছবির দুটো মানুষের রাস্তা দুদিকে বেঁকে গেছে, তা-ও প্রায় ১৮ বছর হতে চলল। বিশ্বসংগীতে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, এর কেন্দ্রীয় চরিত্র এই দুজন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রামাণ্যচিত্র ‘ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স’ মুক্তির পর থেকেই সাড়া পড়ে গেছে চারদিকে। হাওয়া বইছে মার্কিন সংগীত তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের পক্ষে। হঠাৎই ‘বখে যাওয়া’ পরিবারবিচ্ছিন্ন ব্রিটনির জন্য সহানুভূতির জোয়ার উঠেছে অনলাইন দুনিয়ায়।
১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত চার বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন আরেক সংগীত তারকা জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে। তাঁদের প্রেম ভেঙে যাওয়ার পর সেই দায় পুরোপুরি ব্রিটনির ঘাড়ে চাপান জাস্টিন। ‘ক্রাই মি আ রিভার’ গানে ব্রিটনির নতুন প্রেমকে দায়ী করেন এই শিল্পী। ব্রিটনি তখন এই বিচ্ছেদ নিয়ে একটি কথাও বলেননি। আর ১৯ বছর পর ‘ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স’ মুক্তির পর জানা গেল, সেই সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে সমান দায় ছিল জাস্টিনেরও।

তাই অনলাইনে ‘জাস্টিস ফর ব্রিটনি’ শিরোনামে আন্দোলন শুরু করেন ভক্তরা। তাঁদের দাবি একটাই, জাস্টিনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তিন দিনের মাথায় বিশাল খোলা চিঠি টুইট করে ক্ষমা চাইলেন।

জাস্টিন টিম্বারলেক
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জাস্টিন তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘আপনাদের পোস্ট, হ্যাশট্যাগ, ট্যাগ, মেসেজ আর উদ্বিগ্নতার পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই খোলা চিঠি। যা ঘটেছে, আমি সে জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি সত্য লুকিয়েছি। তাই আমি সবার আগে ব্রিটনির কাছে হাঁটু গেড়ে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি। এটা একটা লম্বা বিতর্ক। আমি আর সেদিকে এগোতে চাই না। আমি তাকে হারিয়েছি। এটা আমার ব্যক্তিগত ক্ষতি। আমি তাকে তখনো সম্মান করতাম। এখনো করি। এই ক্ষমা চাওয়ায় অতীতের কিছুই ঠিক হয়ে যায়নি। তবু আমার কৃতকর্মের জন্য আমি ক্ষমা চাই।’
২০০৪ সালে শৈশবের বন্ধু জেসন আলেকজান্ডারকে বিয়ে করে মাত্র ৫৫ ঘণ্টা পর বিচ্ছেদের পথে হেঁটে হইচই ফেলে দেন মার্কিন পপ গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। পরে মার্কিন নৃত্যশিল্পী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে তিন বছর ঘরসংসার করেন তিনি।