সময় এখন ব্রিটনির পক্ষে

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ইনস্টাগ্রাম

৩৯ বছর বয়সী ব্রিটনি স্পিয়ার্সকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা কানাঘুষা আর বিতর্ক। পপশিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের নতুন গান নেই, নেই সিনেমা। এত দিন তিনি আলোচনায় ছিলেন বাবা আর বয়ফ্রেন্ডের দ্বন্দ্বে বাবার সঙ্গে আইনি লড়াই নিয়ে। সেই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা দিয়েছেন প্রেমিক স্যাম আসগারি। ব্রিটনির বাবাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর জন্য আমার বিন্দুমাত্র সম্মান নেই। তিনি একটা বাজে লোক। তিনি কেবল পারেন আমাদের সম্পর্কের মধ্যে বাগড়া দিতে। তাঁর যাবতীয় কুকর্ম আমার ভালোই জানা আছে। তবে এসব নিয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। কারণ, আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করি।’

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ইনস্টাগ্রাম

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস–এর প্রামাণ্যচিত্র ফ্রেমিং ব্রিটনি স্পিয়ার্স মুক্তির পর থেকেই সাড়া পড়ে গেছে চারদিকে। অনেকটাই বদলে গেছে ব্রিটনির প্রতি মানুষের অনুভূতি। এই সংগীতশিল্পীকে দীর্ঘদিন ধরে বিষণ্ন, হতাশ, মাদকাসক্ত, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভোগা, বখে যাওয়া, বাবার অবাধ্য সন্তান এক তারকা ভাবা হচ্ছিল। প্রামাণ্যচিত্রটি দেখার পর ভক্তদের সেই ব্রিটনির জন্য এখন মনটা কাঁদছে। একটি প্রামাণ্যচিত্র যেন অজানা এক ব্রিটনির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল, যাঁর জন্য এই মুহূর্তে ভক্ত আর অন্য তারকাদের ভালোবাসার শেষ নেই। ব্রিটনির সংগ্রাম, দুঃখ, ভেঙে পড়া আর সফলতার গল্প জেনে দীর্ঘদিন ধরে নীরব ব্রিটনির জন্য অনলাইনে সমবেদনা জানাচ্ছেন ভক্তরা।

ব্রিটনি স্পিয়ার্স
ইনস্টাগ্রাম

১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আরেক মার্কিন শিল্পী জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রেম ছিল ব্রিটনির। প্রেম ছুটে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন ব্রিটনি। ‘ক্রাই মি আ রিভার’ গানে প্রেম ভাঙার জন্য ব্রিটনিকেই দোষারোপ করেছিলেন টিম্বার। সে সময় ব্রিটনি একটি কথাও বলেননি। এত বছর পরে এই প্রামাণ্যচিত্র জানিয়ে দিল, সেই বিচ্ছেদে দায় ছিল টিম্বারলেকেরও। তাই ‘ফ্রি ব্রিটনি’ আন্দোলনের সঙ্গে অনলাইনে ব্রিটনিকে ঘিরে বইছে নয়া আন্দোলনের হাওয়া। সেখানে ভক্তরা টিম্বারলেককে ক্ষমা চাইতে বলেছেন এই তারকার কাছে।