২৫০ ডলার নিয়ে ইউক্রেন ছেড়েছিল এই হলিউড অভিনেত্রীর পরিবার

২০১৩ সালের নির্বাচিত সবচেয়ে আবেদনময়ী নারী মার্কিন অভিনেত্রী মিলা কুনেস
ইনস্টাগ্রাম

হলিউড অভিনেতা অ্যাশটন কুচারের শ্বশুরবাড়ি ইউক্রেনে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে স্বাভাবিকভাবে তিনি ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ছেড়ে আসা মাতৃভূমি আক্রান্ত হওয়ায় ভীষণ মনঃক্ষুণ্ন তাঁর স্ত্রী মিলা কুনেস। স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি ইউক্রেনের পাশে আছি।’

পশ্চিম ইউক্রেনের শহর চর্নভসিতে জন্ম মিলা কুনেসের। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর মাত্র সাত বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। ওই সময় তাঁর বাবার পকেটে ছিল মাত্র আড়াই শ ডলার। দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে ২০০৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে কুনেস বলেছিলেন, ‘আমার ও আমার ভাইয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সবকিছু ফেলে মাত্র আড়াই শ ডলার নিয়ে মা-বাবা আমেরিকায় চলে আসেন।’ তিনি জানান, খুব দ্রুত তাঁরা সুন্দর একটি জীবন পেয়েছিলেন। তবে নতুন জীবনের সংগ্রামের কারণে ইউক্রেনের স্মৃতি তাঁর প্রায় মুছে গেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সব সময় কাঁদতাম। ভাষা বুঝতাম না, মানুষগুলোকে বুঝতাম না।’

মিলা কুনিস ও অ্যাস্টন কুচার
ইনস্টাগ্রাম

রাশিয়ার আগ্রাসনের বিপক্ষে ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ব্লেক লাইভলি ও রায়ান রেনল্ডস। শরণার্থীদের ১০ লাখ মার্কিন ডলার সাহায্য পাঠানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা। জাতিসংঘের শরণার্থী তহবিলের ওয়েবসাইটকে ট্যাগ করে রেনল্ডস টুইটারে লিখেছেন, ‘গত ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেনের বহু লোক নিরাপত্তার জন্য আশপাশের দেশে পালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা দরকার। আপনারা তাদের সাহায্য করলে আমরাও ১০ লাখ ডলার দিতে চাই।’ একই পোস্ট ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন লাইভলি।

মিলা কুনেস

হলিউড তারকা মিলা কুনেস অভিনয় করেছেন ‘ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিটস’, ‘ব্ল্যাক সোয়ান’, ‘ব্যাড মমস’, ‘দ্য স্পাই হু ডাম্পড মি’সহ বহু সিনেমায়। এ ছাড়া বেশ কিছু মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ও ধারাবাহিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি বিয়ে করেন মার্কিন অভিনেতা, উদ্যোক্তা অ্যাশটন কুচারকে। তাঁদের দুই সন্তান।