ভাবতেই পারিনি, নাটকটি এতটা প্রভাব ফেলবে : জুডি কোমার

জুডি কোমার
রয়টার্স

দুনিয়াজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া এক সিরিজ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যাওয়া। কিন্তু এরপরই কিছুটা ছন্দপতন—না পেয়েছেন বলার মতো কোনো কাজ, যা-ও পেয়েছেন, সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি। তবে জুডি কোমার ঠিকই ফিরেছেন। কেবল ফিরেছেন বললে ভুল হবে, প্রবল দাপটের সঙ্গে আবার নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

১৫ বয়স থেকেই অভিনয় করছিলেন যুক্তরাজ্যের লিভারপুলে জন্ম নেওয়া জুডি কোমার। তবে তাঁর জীবন বদলে দেয় বিবিসি আমেরিকার স্পাই থ্রিলার ‘কিলিং ইভ’। ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রচারিত সিরিজটিতে গুপ্তঘাতক ভিলানেল চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি পান। জিতে নেন বাফটা, এমির সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। তবে এই সিরিজ ছাড়া অন্য কাজ দিয়ে আলোচনায় আসতে পারছিলেন না অভিনেত্রী। এর মধ্যে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে, রায়ান গসলিংয়ের সঙ্গে ‘ফ্রি গাই’, রিডলি স্কটের সিনেমা ‘দ্য লাস্ট ডুয়েল’-এ অভিনয় করেছেন; কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

মঞ্চনাটক দিয়ে ভক্তদের হতাশা দূর করে দিয়েছেন। গত বছর তাঁর মঞ্চে অভিষেক হয় ‘প্রাইমা ফেইসি’ দিয়ে। ব্রডওয়েতে অভিষেকই প্রশংসা কুড়ান তরুণ এ অভিনেত্রী। নাটকটি ছিল একক অভিনয়-নির্ভর, তাতে নিজের পরিণত পারফরম্যান্স দিয়ে বাজিমাত করেন জুডি। নাটকটির জন্য সম্মানজনক লরেন্স অলিভিয়ের অ্যাওয়ার্ডস, ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড থিয়েটার অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। এখানেই শেষ নয়, গত ১২ জুন নাটকটির জন্য টনি অ্যাওয়ার্ডসেও সেরা অভিনেত্রী হন জুডি।  

টনি অ্যাওয়ার্ডস হাতে জুডি কোমার
রয়টার্স

এক আইনজীবীকে নিয়ে নাটকটির গল্প, যিনি মূলত যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত পুরুষদের জন্য আইনি লড়াই করেন। কিন্তু সেই আইনজীবী নিজেই যখন যৌন হয়রানির শিকার হন, ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। নাটকটি মঞ্চস্থের পর মিলনায়তনে উপস্থিত দর্শককে কীভাবে নাড়া দিয়েছে, তা নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। ‘জুডি কোমার কি নতুন জেনিফার লরেন্স হচ্ছেন’, এমন শিরোনামে প্রতিবেদন করে দ্য টেলিগ্রাফ।

সিবিএস সানডে মর্নিংকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাটকটি কীভাবে তাঁর জীবন বদলে দিয়েছে জানিয়েছেন জুডি কোমার, ‘ভাবতেই পারিনি, নাটকটি এতটা প্রভাব ফেলবে। লন্ডনে দর্শকের সামনে পারফর্ম করা ছিল বিশেষ কিছু—অনেকেই অঝোরে কাঁদছিলেন। এটা আমার জন্য বড় অর্জন। কারণ, অনেকেই আমাকে নাটকে নিতে চাইতেন না। অডিশন দিয়েও বাদ পড়েছি। বলা হতো, থিয়েটারে আমার কোনো প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেই। কিন্তু হঠাৎই সুজি মিলারের নাটকে সুযোগ পেলাম, তা-ও আবার একক পারফরম্যান্স। মনে হলো, এটা আমার সবচেয়ে বড় উপহার।’

টনি অ্যাওয়ার্ডস পাওয়ার পর জুডি কোমারকে নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করছেন নির্মাতারা। অভিনেত্রী বলছেন, ক্যারিয়ার তো বটেই, এই নাটক দিয়ে তাঁর জীবনদর্শনও বদলে গেছে। সামনে ‘দ্য এন্ড উই স্টার্ট ফ্রম’, ‘দ্য বাইকরাইডার্স’ সিনেমায় জুডিকে দেখা যাবে।

জুডি কোমার
রয়টার্স