আগুনে পোড়া প্যারাস্যুট নিয়ে ১৬ বার লাফ, গিনেস রেকর্ড গড়লেন টম ক্রুজ

‘এমআই ৮’ সিনেমায় টম ক্রুজ। আইএমডিবি

নামটা যদি টম ক্রুজ আর সিনেমা যদি হয় ‘মিশন: ইমপসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির, তাহলে পর্দায় কী কী হতে পারে, সে সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকার কথা। তাহলে তিনি যে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন ছবিতে আগেরটিকে ছাড়িয়ে যান, সেটাও জেনে যাওয়ার কথা। গত ২৩ মে মুক্তি পেয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন সিনেমা ‘মিশন: ইমপসিবল-দ্য ফাইনাল রেকনিং’। এই সিনেমা দিয়ে আগের সবকিছু ছাড়িয়ে গেলেন ৬৩ বছর বয়সী তারকা, গড়লেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

১৯৯৬ সালে শুরু হওয়া এই জনপ্রিয় অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বারবার নিজের স্টান্ট নিজেই করেছেন টম ক্রুজ।

‘মিশন: ইমপসিবল-দ্য ফাইনাল রেকনিং’–এ টম ক্রুজ। আইএমডিবি

এবার তিনি হেলিকপ্টার থেকে ১৬ বার আগুনে পোড়া প্যারাস্যুট নিয়ে লাফ দিয়ে গড়েছেন ‘সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জ্বলন্ত প্যারাস্যুট জাম্প’-এর বিশ্ব রেকর্ড।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রধান সম্পাদক ক্রেইগ গ্লেনডে বলেন, ‘টম ক্রুজ শুধু অভিনয়ে নয়, বাস্তবেও অ্যাকশন হিরো। তাঁর সাফল্যের পেছনে রয়েছে একাগ্রতা, বাস্তবধর্মী উপস্থাপনা আর নিজের সীমানাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা। এই রেকর্ড তাঁর সেই সাহসিকতারই স্বীকৃতি।’

দক্ষিণ আফ্রিকার দ্রাকেনসবার্গে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্টের প্রস্তুতি চলে কয়েক সপ্তাহ। এরপর প্রায় ৭৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে হেলিকপ্টার থেকে লাফ দেন টম ক্রুজ।

প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট নিয়ে ‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’ এখন পর্যন্ত ‘মিশন: ইমপসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ও প্যারামাউন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছবি। আইএমডিবি

আগুনে জ্বলে ওঠা প্যারাস্যুট থেকে নিজেকে মুক্ত করে ব্যবহার করেন ব্যাকআপ প্যারাস্যুট। কিছু দৃশ্য ধারণে তাঁর শরীরেই যুক্ত ছিল ৫০ পাউন্ড ওজনের ক্যামেরা রিগ, যাতে ক্লোজআপ শটে ধরা পড়ে আগুন জ্বলা সেই রোমাঞ্চ।

আরও পড়ুন

শুটিংয়ের পেছনের কাহিনি নিয়ে তৈরি করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুরো ১৬টি টেকের প্রতিটিতে কীভাবে কাজ করেছেন টম ক্রুজ। দৃশ্যধারণের সময় সহকর্মীদের তিনি বলেন, ‘আমরা বুদ্ধিমানের মতো কাজ করব। আমি বলছি না, আমরা ঝুঁকি নেব। ঝুঁকি তো নিই না, এটাই স্বাভাবিক।’

তথ্যসূত্র: ডেডলাইন