‘এই বয়সে আমার মা আর দাদি কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন’

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এএফপি

২০১৩ সাল। হঠাৎই একটি খবর হইচই ফেলে দেয়, ঝুঁকিপূর্ণ জিনের কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় উভয় স্তনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এরপর নানা সময়ে তিনি ক্যানসার নিয়ে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। গতকাল রোববার টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের নতুন ছবির প্রিমিয়ারে আবারও অস্কারজয়ী অভিনেত্রী কথা বললেন ক্যানসার নিয়ে। দিলেন বেঁচে থাকার প্রেরণা। খবর রয়টার্সের

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি নিজের পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস ঘিরে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁর নতুন ছবি ‘কুত্যুর’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের আগে লালগালিচায় হাঁটতে হাঁটতেই এই কথা বলেন তিনি।

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এএফপি

‘সল্ট’ আর ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ তারকা বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৫০। এ বয়সে আমার মা আর দাদি কেমোথেরাপি নিচ্ছিলেন।’ পাশে ছিলেন ছবির সহ–অভিনেতারা। জোলি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সবার জীবনে কিছু দুশ্চিন্তা আছে, কিছু প্রিয় মানুষ আছে। সেগুলো হয়তো আমাদের কখনো থামিয়ে দেয়, মনে হয় আর এগোনো যাবে না। অথবা সেগুলোই আমাদের তাগিদ দেয়—যত দিন আছি, জীবনটাকে সেরাভাবে বাঁচতে হবে।’

জোলি বলেন, সন্তানদের আশ্বস্ত করার জন্যও তিনি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। যাতে ছয় সন্তান নিশ্চিন্ত থাকে—তাদের মা অকালেই ক্যানসারে মারা যাবেন না। কারণ, তাঁর নিজের মা মারা গিয়েছিলেন মাত্র ৫৬ বছর বয়সে।

আরও পড়ুন

এ সময় সিনেমায় জোলির সহ–অভিনেত্রী এলা রুমফ বলেন, ‘রোগ শরীরকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সে বিষয়ে জোলির ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে। তাই তিনি যেভাবে এই বিষয়ে কথা বলেন, সেটাই সবচেয়ে শক্তিশালী।’

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এএফপি

জোলির ‘কুত্যুর’-এর কাহিনি এক মার্কিন নারী চলচ্চিত্র পরিচালকের, যিনি প্যারিসের ফ্যাশন–দুনিয়ায় নিজের জায়গা খুঁজে নেওয়ার লড়াই করছেন। এর মধ্যেই জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
ছবিটি বানিয়েছেন ফরাসি নির্মাতা অ্যালিস ভিনোকু।